মেঘ-কুয়াশায়
পাহাড়জুড়ে মেঘের খেলা
তিস্তা নদী কই?
সবুজঘেরা ছোট্ট গ্রামে
বৃষ্টি নামে ওই।
বনের পথে গা ছমছম
পাখির কত ঢং
মেঘবাড়ির ওই বারান্দাতে
ঝরছে কত রঙ।
রঙ ছুঁয়েছে পাতার সাঁকো
জল ছুঁয়েছে ফুল
রাতের আকাশ চাঁদ ছুঁয়েছে
রূপকথা বিলকুল।
সেই দেশেতেই জোনাকঝিঁঝি
ঝর্ণা শোনায় গান
মেঘ-কুয়াশার চাদরজুড়ে
লিখছে তোমার নাম।
বন্ধু
বন্ধু মানে তো হাতে হাত রেখে
একসাথে পথচলা
বন্ধু মানে তো সুখ-দুঃখের
কত না গল্প বলা।
বন্ধু মানে তো পৃথিবীর পথে
পাশাপাশি হেঁটে যাওয়া
বন্ধু মানে তো ক্রোধের আগুনে
প্রেমের স্পর্শ দেওয়া।
বন্ধু মানে তো ভালোবাসা-ঘেরা
স্বপ্নের সেই বাড়ি
বন্ধু মানে তো শুধু ভাব জমে
একটুও নয় আড়ি।
বন্ধু মানে তো সবুজ বিকেলে
একরাশ অভিমান
বন্ধু মানে তো বাংলার নদী
নকশীকাঁথার ঘ্রাণ।
বন্ধু মানে তো মৈত্রীর সুরে
শত্রুরা খান খান
বন্ধু মানে তো আরশিনগরে
লালনের সেই গান।
বন্ধু মানে তো প্রতিবাদী মুখ
মানুষের কলতানে
বন্ধুরা আজও বেঁচে আছে দ্যাখো
জীবনের শিরোনামে।
ছবি
ছোট্ট হাতে আঁকল সবাই ছবি
নানান রঙে সাজল মনের বাড়ি
নৌকা ভাসে শান্ত নদীর জলে
পাহাড়জুড়ে সবুজ গাছের সারি।
কলসি মাথায় ওই চলেছে মেয়ে
গ্রামের পথের দুধারে স্বপ্ন ঝরে
রবীন্দ্রনাথ প্রাণেরঠাকুর আজও
কল্পনাতেও আসেন মনের ঘরে।
মননৌকায় রঙিন মেঘের সুর
ঘাসফুলেরাও ছন্দে লিখছে গান
ছোট্ট আঙুল আঁকছে তোমার মুখ
সেই ছবিটাই গল্পের শিরোনাম।