ওঙ্কার হুঙ্কার
জলের দেয়ালে গুমরানো ঢেউ আঁচড় কাটতে চায়
নিমিষে হাসায় পলকে শাসায় চমক লাগায় গায়
জিজ্ঞাসু চোখে নির্মল সুখে প্লাবিত জোয়ারে ভাসে
দমকা বাতাসে শিহরিত হয়ে চুম্বনে জাগে হাসে
মায়ার বাঁধনে হাঁসফাঁস করে উপায়ের পথ খোঁজে
শান্ত থেকেও লড়াই করার কায়দা ঠিকই বোঝে
মুক্তির নামে বাজায় ঘণ্টা গোঙানির স্বরে ফোঁস
আজীবন ভর শাসকশ্রেণীর এভাবেই ফেরে হুঁশ।
অলীক অহম
মানুষে ফানুসে জড়াজড়ি করা সাগরে নগরে ভেলা
অলস কলস হাবুডুবু খায় অথয়ে তাথই খেলা
সরবে গরবে মুখরিত হয় মাতিয়ে বেড়ায় পাশ
জীবনমরণ দাপাদাপি শেষে চূর্ণিত করে আশ
এফোঁড় ওফোঁড় ভুঁইফোঁড় এঁটে তুমুল হেঁচকি তুলে
লম্ফেঝম্পে হানাহানি করে বিচার বিবেক ভুলে
হম্বিতম্বি সাময়িক জেনে লাফিয়ে বেড়ায় যারা
সুফল কুফল হিতাহিত জ্ঞানে হদিস পায় না তারা।
মেঘের ভাঙন
মেঘের এবেলা মনের দুয়ারে খিড়কি আঁটানো আছে
অঝরে নাইবা মাতাবে ঝর্ণা সুরের দোলায় মিছে,
বোঝার ভুলের মাশুল গুনবে কতইবা আর সেধে
চেনার পরেও বুকের ভেতর কেন এত কাঁটা বেঁধে!
ভেলায় ভাসানো সাধের স্বপ্ন রুখবে আজি সে
জ্বরায় জড়ানো ব্যাথার শিকল ভাঙবে বুঝি শেষে
জেনেছে যে মেঘ হবে না কখনো সপ্তডিঙায় পার
নেশায় ডোবানো হৃদয় এমনি ভেঙে দেয় বার-বার