পলাশ আলোয় মুগ্ধ করি
এই যে জরির কাটুমকুটুম কি নাম তোমার মিষ্টি বুঝি
আমরা এখন সবুজ নেশায় ভুবন আঁকার বিষ্টি খুঁজি
মেঘনা পুরের গানের মেলায় নবীন তারাও যোদ্ধা নাকি!
বলছে তা বেশ এবার আবেশ দাঁড়াও পাতায় শ্রদ্ধা রাখি!
দুলছে অরূপ সাগর, পাহাড়, সানাই পালক, শঙ্খ আলো
শিখছে নেশায় রাতের আকাশ নতুন পুরের অঙ্ক ভালো!
এই তো আমার টাপুর-টুপুর হরিণ বনের দুগ্ধপরী
ভাবছি তিতির তোমায় আবার পলাশ আলোয় মুগ্ধ করি!
মেঘের চিঠি
ও মেঘনা দিন বলতে বলতে শনশনিয়েই বাতাস এসে,
বলতে থাকে ঝুমঝুমি ঢেউ বেশ চলো যাই গানের দেশে!
গানের দেশের ফুল, পাখি, চাঁদ ছড়িয়ে দিলেই খুশির গুঁড়ো
সুখের ছটায় চিকচিকিয়ে দুলবে জানি এ-মন পুরো!
দুলতে দুলতে কখন যেন আবেগ ছুঁয়ে অবাক কবি,
আবার বুকে সাজিয়ে দেবে আঁকন বাঁকন তারার ছবি!
খুশির আলোয় ভিজবে কি যে শিউলি, টগর, পাপাই মিঠি
এতোল-বেতোল সুখ ছড়িয়ে উড়বে রঙিন মেঘের চিঠি!
যুদ্ধ নয় শান্তি চাই
ক্ষুধায় কত কাতর শিশু ওই যে মলিন বস্ত্র
ধুলায় যদি লুটায় জাতি চাই না এমন অস্ত্র!
শ্বাপদ ফণা নেশায় দোলে চাউনি বড়ই ক্রুদ্ধ
অযুত শিশু সবাই বলি—চাই না মোটেও যুদ্ধ!
সরুক ও মা বারুদ—বোমা, চাই না কোনো ধ্বংস
দেশের মাটি হবেই খাঁটি, আমরা জাতির অংশ!
মানবমেলা সুখের ভেলা ঝরলে খুশির বৃষ্টি
সফল হবে বাঁচার মানে চাই যে নতুন সৃষ্টি!
যাবো তোমার কাছে
যেমন ধরো আকাশ আমি তুমি রাতের তারা
তোমার বুকে দোলাই সুখে শত গোলাপচারা!
আকাশ পাখি, আকাশ পাখি দেখা তোমার পেলে
পাহাড় ছুঁয়ে নদীর বুকে দেবো প্রদীপ জ্বেলে!
যেমন ধরো বাতাস তুমি, আমি পথের নুড়ি
কুড়াও যদি আদর করে আশা আবার জুড়ি!
খুশির বনে আপন মনে যদি হরিণ নাচে
আলুক ঝুরি, শালুক ঝুরি যাবো তোমার কাছে!