মাস্ক ছিল না মুখে
দুপুর বেলায় ভাত খাওয়ার মিনিট-দশেক পরে
মদন এলো হেলতে-দুলতে নন্দিপাড়া মোড়ে।
খাওয়ার পরে একটু একটু ঘুমের মতো লাগে
একখানা পান মুখে দিতে ইচ্ছে তখন জাগে।
মজনু এলো লবণ নিতে—চুলায় তোলা ডাল
তরকারিতে লবণ বউয়ে দেয়নি গতকাল।
রঞ্জু মঞ্জু টানছে বিড়ি দুই দোকানের চিপায়
তারাই জানে বিড়ির মধ্যে রসগোল্লা কী পায়!
মৌ এসেছে শ্যাম্পু নিতে, তার চুলে যে জটা
মা’য় বলেছে, আনতে কিনে শুকনো মরিচ ক’টা।
ন’-দশ জনে গপ্পো দিচ্ছে চায়ের স্টলে বসে
গভর্মেন্টের মাকে তুলে গাল দিতেছে কষে।
এমনতর নানান পদের ‘ইমপোর্টেন্ট’ কাজে
ভিড় করেছে আমজনতা, যায় না ফেলা পা যে!
অমনি হঠাৎ ছোটাছুটি, কার গায়ে কে পড়ে,
দোকানদারের ঝাঁপ নেমেছে একটা একটা করে।
পোঁ পোঁ করে আসছে পুলিশ, ওই যে খানিক দূরে
সুরুজ মিয়ার গাল কেটেছে রতনশীলের ক্ষুরে।
রুনুর বাপের পায়ের চটি, ঝুনুর হাতের কলা
ছিটকে পড়ে কোথায় গ্যাছে, যাচ্ছে না তা বলা।
পুলিশ এসে ধরলো কিছু, ব্যাপার গেলো চুকে
কারণ হলো তাদের কারও মাস্ক ছিল না মুখে।
ফায়ার
রাস্তার পাশে টেবিল বসেছে,
টেবিলে সাজানো পান
সিগারেট বিড়ি চকলেট আর
পথচারীরা যা খান।
বিক্রি-বাট্টা হয় না তেমন,
দিন শেষে তিন-চার
ওতেই চলছে মিনহাজুলের
ছোটখাটো সংসার।
মিনহাজুলটা মাস্টার্স করা
চাকরি আছিল তার
করোনা আসায় কোম্পানি তাকে
রাখতে পারেনি আর।
ছিটকিনিহীন দোর, তার চে’ ভালো ভোর
রাতকে বলি, রাত
এই নে ধারাপাত
তিন দ্বিগুনে ছয়
অন্ধকারে ভয়
ছিটকিনিহীন দোর
তার চে’ ভালো ভোর
সাত-সকালে স্নান,
হয়তো অনুমান
পাখির পালক বেশ
এই ছড়াটি শেষ।
আরও পড়ুন: