হৈ হৈ রৈ রৈ
হৈ হৈ রৈ রৈ রৈ রৈ হৈ হৈ
কৈ কৈ ধর ধর, ধর ধর কৈ কৈ
ঐ ঐ ঐদিকে, ঐদিকে ঐ ঐ…
নিউমার্কেটে ভারী গোলমাল হৈ চৈ।
কেউ হাঁকে আন লাঠি, কেউ বলে আন দাও
রাইফেল পিস্তল ছোরা বন্দুক লাও।
কেউ চিৎকার করে বলে, ভাই, ঘের দাও
পালাতে না পারে যেন, হাতে হাতে বেড় দাও।
ছুটে আসে সিক্যুরিটি, বেজে ওঠে হুইসেল
থেমে যায় গাড়ি ঘোড়া রিক্সা ও সাইকেল।
চারদিকে টেলিফোনে ঘন ঘন হয় রিং
হ্যালো হ্যালো জিরো জিরো ওয়ান টু ক্রিং ক্রিং।
ধেয়ে আসে কোতোয়ালী দামপাড়া লালখান
ঝটপট পজিশনে বুকে বাঁধা ব্রেনগান
এক তলা দুই তলা তিন তলা ‘ক্যাপচার’
চার তলা খুঁজে দেখো, কোথা ব্যাটা নচ্ছার।
সাবধান ব্যাটা চোর, মস্ত পকেটমার
আরে না না, ব্যাটা ঠিক ডাকাতের সর্দার।
উঁহুঁ, সেই খুব বড় খুনি বদমাশ এক
মার্কেটে নিশ্চয় করবে সে হাইজ্যাক।
মার মার ধর ধর…চলে খুব তোড়জোড়
চারদিকে হাঁকডাক, বাড়ে হৈ হুল্লোড়।
অবশেষে ধরে তাকে চীনেম্যান ফ্যাং চ্যাং
চোর নয়, ডাকু নয়, চারঠ্যাঙে কোলা ব্যাঙ।
এই ব্যাটা বান্দর
এই ব্যাটা বান্দর
তাড়াতাড়ি কান ধর
আরে না না, তোর কান
তোর কান তোর কান
বাঁদরের হাতে বুঝি যায় মান-সম্মান!
এই ব্যাটা বান্দর
আকাশের চান ধর।
কী বললি, পারবি না
তবে ব্যাটা গান ধর
এক হাতে কান ধরে
সা রে গা মা তান ধর
আরে না না তোর কান….
তোর কান তোর কান
বান্দর বোঝে না তো
ইজ্জত সম্মান।
তুই কি পারিস
তুই তো পারিস
শীতের দিনে
লেপ-তোষক আর চাদর কিনে
কোট-সোয়েটার জুতো-মোজা
শাল-জ্যাকেট আর টাইয়ের বোঝা
গাধার মতোই চাপতে পারিস
আমার মতো অমন করে
দু’হাত বেঁধে বুকের পরে
খালি গায়ে ঠকঠকিয়ে
দেখি কেমন কাঁপতে পারিস?
কী আর পারিস
মোষের মতো
খাস তো কেবল অবিরত
আয় তো কেমন একটা দিনও
না খেয়ে তুই কাটতে পারিস
আমার মতো কদিন ধরে
শুকনো পেটে পানি ভরে
ঘিয়েভাজা বাতাস খেয়ে
দেখি কেমন হাঁটতে পারিস?
গবেষণা
বুদ্ধির ঢেঁকি নাকি ঢেঁকিদের বুদ্ধি
এই নিয়ে গবেষণা করে কলিমুদ্দি
রাতদিন অবিরাম বই-খাতা ঘাঁটছে
তত্ত্ব ও তথ্যের গলি গুঁজি হাঁটছে
ফর্মুলা থিওরি ও অনুসিদ্ধান্তের
রেফারেন্স, কোটেশন বড় বড় গ্রন্থের
দর্শন ইতিহাস বিজ্ঞান এমনকী,
খুঁজে খুঁজে হয়রান, ওঠে রাম হেঁচকি।
পড়ে চীন-রাশিয়ার মোটা মোটা পুস্তক
বিষয়ক নানা বাদ-মতবাদ ইস্তক
নামি-দামি ভিনদেশী পত্রিকা ম্যাগাজিন
ঘেঁটে ঘেঁটে দিন-রাত চক্ষুর জ্যোতি ক্ষীণ।
মগজের কোষে কোষে আঁতিপাঁতি হাতড়ায়
সদা মহাচিন্তার পারাবার সাঁতরায়
কোনোভাবে হয় না তো গবেষণা সার্থক
সময়ের অপচয় অকাজে অনর্থক।
ভেবে হিমশিম খান মিয়া কলিমুদ্দি
বুদ্ধির ঢেঁকি নাকি ঢেঁকিদের বুদ্ধি!
গেলি!
ছুঃ মন্তর ছুঃ!
আমার মাথা বাদে সবার
মাথায় কাকের গু।
কী বললি?
থুঃ!
কাকের গুয়ে কী উপকার
জানিস নাকি, উঁ?
জানিস না তো কম কথা ক’
বোকাচন্দর, হুঁ!
লাগ ভেলকি লাগ
পাগল ছাগল ভাগ
আমার মতো চালাক যারা
তারাই কেবল থাক
দেখবি আলীবাবার চিচিং
এক্কেবারে ফাঁক।
কী বললি? গুল!
ব্যাটা হাবা! ফুল!
আর একবার ক’ তো দেখি
ছিঁড়ে দেব চুল
জলজ্যান্ত মন্ত্রখানা
বলে কিনা গুল!
ব্যাটা গাধার গু!
গেলি? নাকি পুলিশ ডাকুম?
বুঝবি মজা! হুঁ!