ছড়া
ছড়ায় যদি ছন্দ থাকে
পড়তে লাগে ভালো,
ছন্দ ছাড়া অনেক ছড়া
পায় না খুঁজে তালও।
ছন্দ ছাড়া লেখেন ছড়া
ভুল রয়ে যায় দুটি,
মাত্রা হিসাব ঠিক থাকে না
তাল লয়ে হয় ত্রুটি।
অন্ত্যমিলে লেখেন ছড়া
ঠিক না রেখে ছন্দ,
এমন ছড়া নিয়ে আছে
ছান্দসিকের দ্বন্দ্ব।
পাঠক পড়ে তৃপ্তি পেলে
সেই ছড়াটি বেশ,
ভালো ছড়ায় আলো ছড়ায়
মজার নেই তো শেষ।
নালিশ
মাগো আমায় ক্ষমা করো
অন্যায় থাকলে মারো,
সত্য কি না মিথ্যে সেটা
যাচাই করতে পারো।
যখন তুমি যা বলিবে
তাই মানিতে রাজি,
আমার কিন্তু রাগ ওঠে মা
কেউ বলিলে পাজি।
দোষের কিছু করি না তো
সঠিক পথে চলি,
পড়াশোনায় দেই না ফাঁকি
সত্য কথা বলি।
খেলতে গিয়ে ঝগড়া করি
নালিশ করেন যারা,
এক হাতে কি বাজে তালি
ভালো মানুষ তারা?
দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি
দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি
মরার ওপর খাঁড়ার ঘা,
গরিব-দুখী কষ্টে আছে
কেমন করে সইবে তা।
দিন-মজুরে একদিনে যা
করতে পারে কিছু আয়,
বাজার করতে গিয়ে তারা
হচ্ছে শুধু নিরুপায়।
আজকে যেটা একশ টাকা
কালকে সেটা দ্বিগুণ হয়,
এখন কিছু কিনতে গেলে
মনে লাগে অনেক ভয়।
মধ্যবিত্ত গরিব-দুখী
কষ্টে আছে তাই অতি,
নুন আনিতে পান্তা ফুরায়
ঠিক তো নাই মতিগতি।
ধোঁকা
হঠাৎ খোকা একলা পথে
চিৎকার দিল তাই,
দৌড়ে গেলো মা দরদি,
চার পাশে কেউ নাই।
গাছের তলে ঠিক দুপুরে
কাঁদছে ভয়ে খোকা,
ভাবছে মায়ে ভূতের নজর
পথেই খেলো ধোঁকা।
ঝাড়ফুঁকে ওঝা বলে
খোকার হলো দৃষ্টি,
গাছের ডালে ভূতের বাসা
রোগ হয়েছে সৃষ্টি।
ডাক্তার এলো ওষুধ দিলো
শুনলো অভিযোগ,
ওষুধ খেয়ে সুস্থ খোকা
নেই তো কোনো রোগ ।
বাধা
মাঠের পাশে রাখাল ছেলে
বটের মূলে বসে,
মধুর সুরে বাজায় বাঁশি
মন মাতানো রসে।
পাশের গাঁয়ে একটি মেয়ে
তাকেই ভালোবাসে,
সুযোগ বুঝে সেই মেয়েটি
তারই কাছে আসে।
এসব দেখে পাড়ার লোকে
নানান কথা বলে,
সকল কিছু শুনেও ওরা
আপন পথে চলে।
মনের সাথে মন মিলেছে
প্রেম হয়েছে আধা,
চতুর দিকে কাঁটার বেড়া
সমাজ হলো বাধা।