খুঁজে ফিরি
মনে পড়ে এক প্রভাতে
তোমার-আমার দেখা
আমি তখন দাঁড়িয়েছিলাম
পথের পাশে একা।
হঠাৎ করে অঝোর ধারায়
বৃষ্টি এলো ঝেপে
ভিজে যাওয়ার ভয়ে যেন
অজান্তে যাই কেঁপে।
আচমকা-ই কোথা থেকে
তুমি এলে পাশে
তোমার ছায়া এলিয়ে যায়
লজ্জানত ঘাসে।
আনমনেতে নিজেই আমি
বিভোর হয়ে আছি
থেমে গেছে বৃষ্টি কখন
নেই যে কাছাকাছি।
সোনা ঝরা রৌদ্র যখন
চুইয়ে পড়ে গায়
বললে আমায় খুঁজে পাবে
কোনো এক বর্ষায়।
দুই চোখেতে কত বর্ষা
গেছে ঝরে ঝরে
আলো-ছায়ার মুখটি কি আর
তোমার মনে পড়ে?
শ্রাবন এলে আজো থাকি
সে সব স্মৃতি ঘিরে
যেমন করে সন্ধ্যা বেলায়
ফেরে পাখি নীড়ে।
সপ্ন
যে কথাটি কেউ জানে না
আজকে তোমায় বলি
কেন আমি আনমনেতে
একা পথে চলি।
দিনটি ছিল বৃষ্টিমুখর
মিষ্টি মিষ্টি দোলা
স্মৃতির মণিকোঠায় আজো
ভাঁজে ভাঁজে তোলা।
ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি যেন
চুইয়ে পরে গায়
দাঁড়িয়ে আছে কেউ পাছে
নীরব দুটি পায়?
চমক ভেঙে আপন মনে
তাকিয়ে যখন দেখি
হৃঁদয়ে যার ছবি আঁকা
দাঁড়িয়ে আছে সে কি?
হঠাৎ আলোর ঝলকানিতে
উঠছে দুলে ঘর
বুকের মধ্যে এক নিমিষে
বইছে প্রেমের ঝড়।
নিজেই তখন আকাশ হয়ে
ওঠাই সোনা রোদ
এত দিনের সব অপেক্ষার
হোকনা তবে শোধ।
আলো এবং ছায়ার মাঝে
হারিয়ে গেলাম যেই
উধাও হলো স্বপ্ন হঠাৎ
কোথাও যে কেউ নেই।
মেঘের বালক
মেঘের বালক এমন করে
নিলি প্রতিশোধ
বৃষ্টি বুঝিস বুঝলি না তুই
ভালোবাসার রোদ।
চোখের উঠোন যাচ্ছে ভিজে
যার বিরহের ভারে
কোন নদীতে সাঁতার কেটে
লুকাই এখন তারে?
তোরই প্রেমের কাজল পরা
এই যদি হয় ভুল
তাই কি আমায় বানালি তুই
বাদল দিনের ফুল?
বর্ষা এসে ভিজিয়ে দেয়
পুড়ছে তবু বুক
তৃর্ষাকাতর চাতক হয়ে
পাই না জলের সুখ।