খোকাবাবুর রান্না
মায়ের সাথে রান্না করি, আমি কাজের কাজি
আব্বা, হিয়া যা খেতে চায়, তাতেই থাকি রাজি।
পানির মধ্যে আলু দিয়ে সাথে পেঁয়াজ কুচি
রাঁধতে পারি যা, তা খেলে বেড়ে যাবে রুচি।
কিংবা ধরো রসুন দিয়ে ছোট-বড় গাড়ি
হাড়িতে সব মেখে নিয়ে জলে চামচ নাড়ি;
হাবুডুবু খাবার ভাবছ, কেমন হবে স্বাদে?
নাম শুনে যাও আরও কী কী থাকবে এসব বাদে:
আদা, মরিচ, হরিণ, ভালুক আরও কিছু মিলে
কিংবা আপুর মাথার কিলিপ, ফিতে দুটো দিলে;
খাবার যেটি পড়বে পাতে, বসবে নড়েচড়ে।
মায়ের চেয়ে এগিয়ে আছি এসব রান্না-দোড়ে।
এত রান্না করতে গিয়ে ভিজিয়ে দিলে জামা
ধমক দিয়ে বলবেই মা, থামা, এসব থামা!
হই চই চই
হই চই চই হই চই
হিসান সোনা গেল কই?
খুকুমণি এই দেখ না
আম এনেছি, চিড়া-দই।
হই চই চই হই চই
ওই দেখ না খোকন সোনা-
খাচ্ছে একটা মস্ত বই!
হই চই চই হই চই,
হিসান গালে মাখছে দই!
মাঠের পরে মাঠ
মাঠের পরে মাঠ পেরোচ্ছি
গ্রামের পরে গ্রাম
কী জানি কী নাম!
পাকা ধানের ক্ষেত পেরিয়ে
সাবধানে দুই পা মাড়িয়ে
পথের ভিতর পথ হারিয়ে
মাঠের পরের গ্রাম ছাড়িয়ে
ইচ্ছে করে পা বাড়িয়ে
ঘুরি পাথারময়
সঙ্গে নিয়ে সত্যিকারের
রাখাল পরিচয়।
বৃষ্টির ডাক
মেঘের দেশে
বাউল বেশে
সাদা কালো ঢেউ
যাচ্ছে উড়ে
উদাসপুরে
কোমল হেসে কেউ!
তপ্ত মাটি
স্বপ্ন খাঁটি-
মনে জলের ডাক;
সবুজ বনে
বৃষ্টিক্ষণে
ভিজছে পাখির ঝাঁক।
বৃষ্টি এলো
এলোমেলো
হঠাৎ হলো সব!
বিশ্বচরে
উচ্চ স্বরে
শুনলো বানের রব…
ছড়ায় আঁকি
ছড়ায় আমি নদী আঁকি
ছড়ায় আঁকি পাখি
ছড়ার সুবাস সারাবেলা
সারাটা গায় মাখি।
ছড়ায় আমি পাহাড় আঁকি
ছড়ায় আঁকি বাড়ি
ছড়ার চোখে আকাশ রেখে
মেঘে চড়াই গাড়ি।
ছড়ায় আমি সাগর আঁকি
ছড়ায় আঁকি ঘুড়ি
ছড়ায় তুলে ভোরের মায়া
সবুজ হাওয়ায় উড়ি।