চৈত্রের প্রতি
বিদায় দিলাম চৈত্র তোমায় এবার তুমি যাও
চৈতি ক্ষরণ দুঃখ গ্লানি সঙ্গে তোমার নাও
যাও নিয়ে সব হিসেব নিকেশ শূন্য বাকির খাতা
অভিমানে ঝরে পড়া ধুলোয় ধুষর পাতা।
উড়িয়ে নিও বৃষ্টিবিহীন মেঘ গুলোকে দুরে
উদাস হওয়া ঠোঁটের জমিন উঠুক ভরে সুরে
কুড়িয়ে নিও ক্রোধ ঘৃণা সব আজ বিদায়ের ক্ষণে
জাগুক পাতা নতুন কুঁড়ি ধুসর বনে বনে।
মনের কাছে মন দামি হোক, বাড়ুক প্রাণের প্রীতি
দাও মুছে দাও কষ্ট কথা স্বপ্নভাঙ্গা স্মৃতি
ফুটুক গোলাপ সব হৃদয়ে জাগুক মূল্যবোধ
মনের আঁধার দূর করে দিক বৈশাখী ওই রোদ।
বৈশাখী দিন
সময়ের সীমানায় পড়ি ধারাপাত
নিবিড়-নীরব দিন কেটে যায় রাত
ইচ্ছেরা পাখা মেলে স্বপ্নের ঘোরে
আলোর ময়ুর নাচে ফুল ফোটা ভোরে।
ছন্দ নুপুর পরে খুশিতে রঙিন
আসলো নতুন সাজে বৈশাখী দিন
গোলাপ কুঁড়ির মতো হেসে ওঠে ভোর
দৃষ্টির আঙিনায় খোলা সব দ্বোর।
ঢাক-ঢোল করতাল বাঁশরীর সুরে
বিষণ্ন পুরাতন উড়ে যায় দূরে
চেতনার আসমানে অফুরান রোদ
উৎসবে জেগে ওঠে বর্ণিল বোধ।
স্বপ্নের সুরজাল রেশম কোমল
মনের গোপন ছুঁয়ে করে ঝলমল
বাংলার মুখ হাসে শুভ এই ক্ষণে
দেখে তাতে আশা জাগে, ভাষা জাগে মনে।