স্বাধীনতার বলে
টুকটুকিটা ছবি আঁকে-
নদীর বাঁকে নৌকো রাখে
বৈইঠা রাখে কাছে।
তীর ঘেঁষে সে ঘর আঁকে
গরু-ছাগল, হাঁস আঁকে
পুকুর ভরে মাছে।
পাঠশালাটা কাছেই আঁকে
গাছ-গাছালি ফাঁকে ফাঁকে
ফড়িং ওড়ে ঘাসে।
পাকাধানের ক্ষেতে চাষি
গাছের ছায়ায় রাখাল বাঁশি
সূর্যিমামা হাসে।
খেলার মাঠে ছেলেমেয়ে
খুশি মনে ছলছলিয়ে
একই সঙ্গে চলে।
নীল আকাশটা ভালবেসে
দূরের পাখিটা আঁকে সে
মেঘও দলে দলে।
মনের ভেতর পাহাড়
করবে কোথায় তা দাঁড়
ঝরনাফোটা জলে !
পতাকা একে টুকটুকি
হয়ে যায় সে খুবই সুখি
স্বাধীনতার বলে।
দশটি ছানা
একটি হাঁসের দশটি ছানা
সবই যে তার ধরতে মানা!
কিন্তু ওরা কার কথা কে শোনে?
সুবহামনি ধরে ধরেই গোণে!
নরোম নরোম তুলতুলে গা
প্যাঁকপ্যাঁক ডাকে হাঁস ছানার মা
তবু সুবহা পায় না তো ভয়
চিঁয়ি চিঁয়ি ছানারা কয়-
চলো না যাই পুকুরের জলে
সাঁতার শিখি মিলে সকলে !
সুবহা ছানা ধরেই থাকে
মা হাস প্যাঁক প্যাঁকই ডাকে ।
কাঁদো কাঁদো বিড়াল
সুবহা যাবে চিড়িয়াখানায়
নুসাইবা যাবে যাদুঘরে
একটা পোষা বিড়াল আছে তাদের
সেও বুঝি আরেক গো ধরে,
রঙিন টুপি মাথায় দিয়ে
শিশুপার্কে একাই যাবে
নাগরদোলায় চড়ে শেষে
চটপটি, ঝালমুড়ি খাবে।
নুসাইবা, সুবহা যত বলে-
তুই তো বিড়াল, থাকবি বাড়িতে
ইঁদুরের উৎপাত ঠেকাবি
যা আছে দিবি পাহারা ঘরের হাঁড়িতে !
কাপড়-জামা সব তুলবি
এসে পড়লে হটাৎ বিষ্টি
কী খাবি তুই, গরম? না ঠাণ্ডা?
আনবো খুব বড় মিষ্টি ?
কথ শুনে বিড়ালের চোখ
কাঁদো কাঁদো। মনটাও যে ভাঙা,
দুধ চিনি বেশি দিয়ে এককাপ
কফি খেয়ে একা বাড়ি থাকে সে চাঙা!