সেদিন হবে কাত
নানান রঙে ঢাকছে তারে
ঘেরাটোপে মাছের চারে
গিললে কিস্তিমাত
বাজার জুড়ে হাজার রূপে
তাদের লম্বা হাত।
হাতের যশে মিলছে জাদু
বিষের বোতল তাওতো মধু
বদজাতি, সু-জাত
দিনের আলো করছে কালো
এম্নি তেলেসমাত।
কালোর জলে ডুবলে আরে
‘সত্য’ কি তাই তাকে ছাড়ে
ঝেড়ে কষাঘাত ?
জ্বাললে ‘সত্য’ লোভের ডেরা
সেদিন হবে কাত।
অভাব
দিনে দিনে বাড়ে দাম
অভাবটা বুড়ো ভাম, একগুঁয়ে বান্দা
মরে নাকো তাজা হয়
টুঁটি চিপে করে ক্ষয়
জীবনকে হরদম, মারবার ধান্ধা।
হাড়-গোড় ধরে চাম
ঝরাবার নেই ঘাম, চোখ দুটো আন্ধা
গিলে খাওয়া যত ভয়
বাজারের পরিচয়
খালি হাতে বাড়ি যায়, হয় নাকো রান্ধা।
বিস্বাদ এ ধরাধাম
রোজ আসে নীল খাম, মেঘে ঢাকে চান্দা
ব্যথা বাড়ে বুকময়
অভাবের নেই লয়
ধুকে ধুকে মরি তাই, পাই নাকো কান্ধা।
জীবনঘানি
জোড়াতালি দেয়া হায়রে জীবন!
আর কতকাল তোকে টানি
জনমের দায় বাড়ে আর বাড়ে
জীবনযুদ্ধে পেরেশানি।
তেল চিনি ডিম কিনতে ঘায়েল
ক্ষ্যাপা পিঁয়াজের ঝাঁঝপানি
শত কিলো বেগ গতির নিশান
জ্বালে পকেটের সব মানি।
ঘর-দোর আর চায়ের দোকান
সব একাকার এই জানি
হাহাকার এসে জাঁকিয়ে বসেছে
নেই সুখকর কোনো বাণী।
দিন দিন বলি বাড়ছে অভাব
শুধু রোষারেষি মনমানি
তবু টেনে চলি আগুন বাজারে
এই জীবনের যত ঘানি।