বড় হবো
সকালটা রোজ হয়, দোয়েলের ডাকে
ওই সময় খুব-করে মনে পড়ে মাকে।
খোকা তুমি জেগে ওঠো রবি দিলো হানা
ডেকে ডেকে বলে যায় শুয়ে থাকা মানা।
ওঠো খোকা বসো খোকা বই খুলে পড়ো
সব থেকে তোমাকে যে হতে হবে বড়!
‘সব থেকে বড় হবো আমি করি পণ
তাই পড়ি বই-গুলো পাঠে দেই মন।
বই পড়ি লিখি আর দেখি ডানে বাঁয়ে
বড় হবো সব থেকে বলেছিল মায়ে।’
আমার খেলা
মনটা ভীষণ খারাপ হলে চেয়ে আকাশ পানে
খুঁজি তখন শাদা মেঘের ওড়া-উড়ির মানে।
ভাবতে থাকি আকাশজুড়ে উড়ছে আমার ঘুড়ি
নীল আকাশে এপার-ওপার আমিও তখন উড়ি।
আকাশ নীলে রূপের মায়া মেতে থাকি রোজ
শিরি-শিরি হিমেল হাওয়ায় হই আমি নিখোঁজ।
মনের ভেতর যত দুঃখ, অবসান হয় ধীরে
সূর্য তখন পাঠে-বসে পাখিরা যায় নীড়ে।
আমি তখন পাখির মতো মেলে দিয়ে ডানা
শাদা মেঘের সাথে উড়ে যাই ছুটে একটানা।
মেঘের দেশে অবশেষে মেঘ শিশুদের দেখা
জড়িয়ে ধরে আদর করে আমায় পেয়ে একা।
তাদের সাথে খেলছি আমি দারুন মজার খেলা
উড়ে উড়ে ঘুরে- ঘুরে কাটাই সারা বেলা।
খারাপ মনটা একটু ভালো, খেলার মাঝে থেকে
স্বপ্ন আমার ভঙ্গ হলো মা নিলো যেই ডেকে।
খোকার আকাশ
খোকা আঁকে মেঘের সাথে দারুণ করে মিল
একাই খোকা সারাটা দিন এসব করে ফিল-
চৈত্র মাসের আকাশে রঙ কোনটা ভালো হয়
আঁকলো তবু, নীলের সাথে সাদা কালোর ভয়!
চৈত্র মাসের আকাশ যদি সাদা কালোয় ভরে
মানুষ না কি! ভীতু তখন কালবৈশাখী ঝড়ে।
এসব ভেবে খোকার মাঝে ভাবনা হলো ঠিক
থাকে না আর কালো রঙের নতুন কোনো দিক।
নীলের সাথে সাদা প্রলেপ আকাশ হলো আঁকা
তবুও দেখি ঈশান কোনে কালো মেঘের ঢাকা
সেদিক পানে তাকিয়ে থাকে ভাবে অনেক কিছু
ভাবনাগুলো হয় না যে শেষ থাকে সামন পিছু।
আঁকলো শেষে পুরো আকাশ ভরলো কালো মেঘে
আকাশ পানে দেখল চেয়ে ঝরে ক্যামন বেগে।
উঠলো বাঁয়ু ঈশান কোণে বৃষ্টি আকাশজুড়ে-
মন ধুয়ে যায় বৃষ্টির জলে রয় না খোকা দূরে।