অভাবের দিন
অভাবের দিন বেহিসেবী ঋণ
স্বভাবের জামা ছেঁড়া
নেই বলে তেল চুল কেটে বেল
নিজেকেই করি ন্যাড়া।
পেয়ে অবহেলা কেটে যায় বেলা
ঘুর ঘুর ঘোরে মাথা
নড়বড়ে ঘর নিয়ে গেছে ঝড়
শিক ভাঙা ছেঁড়া ছাতা।
রোজ করি ছল রাঁধি খালি জল
অকাজের ঘামে ঘামি
নুন আটা চাল আলু শাক ডাল
জীবনের চেয়ে দামি।
চান্দু কাকা
স্বপ্নে দেখে চান্দু কাকা
পকেট ভরা আছে টাকা
এবার তিনি কিনতে পারেন
মানুষ কিংবা দেশ।
যশ-খ্যাতি সব কিনবে নাম
হোক না যতই চড়া দাম
মাথায় পরে সোনার তাজ
পরবে নতুন রাজার সাজ
জানিয়ে দেবেন নাম পরিচয়
ব্যান্ড বাজিয়ে বেশ।
টাকার জামা থাকলে গায়ে
ঘুরবে শ্রদ্ধা ভক্তি পায়ে
তাইতো কাকা কিনবে এবার
চামচা ডজন খানিক
চামচারা সব বলবে প্রভু
তুমিই হীরা মানিক।
চামচা পিছে আগে কাকা
সব অপকাজ দেবে ঢাকা
রাতকে কাকা বললে দিন
জি হুজুর সব ঠিক
মনের সুখে পান খাবে আর
ফেলবে রঙিন পিক।
হঠাৎ করে দেখলো কাকা
হাওয়ায় চড়ে উধাও টাকা
পকেট কেটে করলো ফাঁকা
কে জানি কোন্ ফাঁকে
স্বপ্ন ভেঙে চান্দু কাকা
উদাস চেয়ে থাকে।
একা
টো টো করে ঘুরছি শুধু একলা একা
বন্ধু স্বজন দেখতে কেমন, পাইনি দেখা
টোকাই বলে নাম দিয়েছে অচেনা লোক
হাসি-খুশি আনন্দ নেই, নেই কোনো শোক।
কার ভাবনায় রাত জাগা চোখ দিন জেগে রই
একলা একা ছন্নছাড়া জীবনটা বই
চোখের নীচে বিষণ্নতা মুখটা ফিকে
ঠিকানাহীন ঘুরছি শুধু দিগ্বিদিকে।
যখন যে কাজ পাই তখনি করি সে কাজ
অভাব পেটে স্বভাব ছেড়া নেই কোনো লাজ
পুষ্টিবিহীন শীর্ণ দেহ পাটের খড়ি
তার উপরে পড়ে কত বেতের ছড়ি।
হাত পা ছুড়ে কাঁদি বাবা মাকে ডেকে
কোন্ সুদূরে থাকেন তারা আমায় রেখে
পথে পথে কুড়াই জীবন পাই না খুঁজে
হরেক রঙা স্বপ্ন দেখি দু’চোখ বুঁজে।
উলট পালট অনিয়মের ধূধূ খরা
প্রশ্ন হাজার, জবাব কেনো দেয় না ধরা
মনটা খুঁড়ে জাগিয়ে তুলি, স্বপ্ন আঁখি
দেখছি একা উর্ধ্বে উড়ে ছোট্ট পাখি।