প্রথমত কঠিন কাজ হচ্ছে কবিতা লেখা। আরও কঠিন কবিতা পাঠ। সবচেয়ে বেশি কঠিন কাজটি হলো কবিতার আলোচনা করা। আজ সে কাজটিই করতে হচ্ছে। ভেতরে এক ধরনের শংসয় কাজ করছে। কেননা, আমার মূল্যায়ন তাকে প্রস্ফুটিত করবে নাকি সীমাবদ্ধতার গণ্ডিতে নিয়ে যাবে? তাই আমার অপারগতা আমি শুরুতেই স্বীকার করে নেই। শুধু একজন পাঠক হিসেবে কেমন লেগেছে ‘সুখী ধনুর্বিদ’; তা-ই বলবার চেষ্টা করব।
ব্যক্তি রাসেল রায়হান বা কবি রাসেল রায়হানের সঙ্গে এখনো আমার মুখোমুখি দেখা হয়নি। শুধু কাব্যগ্রন্থের আলোকেই আমি আবিষ্কার করতে চেষ্টা করেছি একজন কবিকে। একজন শব্দসৈনিক রাসেল রায়হানকে।
কবিতা মানেই শব্দের খেলা। যে যত বেশি শব্দ নিয়ে খেলতে পারে; সে তত বড় শব্দশ্রমিক। রাসেল রায়হান প্রচলিত নিয়ম ভেঙে আবির্ভূত হয়েছেন। সম্প্রতি প্রকাশ করেছেন তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘সুখী ধনুর্বিদ’। আলোচনায় কবিতার ছন্দ বা প্রকরণ নিয়ে খুব বেশি বলার নেই আমার। শুধু পাঠান্তে যে অভিব্যক্তি আমি ধারণ করতে পেরেছি, তারই কিছু অংশবিশেষ পাঠকের সঙ্গে ভাগাভাগি করার বাসনা রাখলাম।
‘সুখী ধনুর্বিদ’ কাব্যগ্রন্থে মোট আটত্রিশটি কবিতা স্থান পেয়েছে। এরমধ্যে সতেরোটি গদ্যকবিতা। চারটি কবিতা ক্ষুদ্র- এক কিংবা সর্বোচ্চ চার পঙ্ক্তির।
পাতা উল্টে ‘সুখী ধনুর্বিদ’ গ্রন্থে প্রথমেই দেখতে পাই, ‘মানুষের মুখ দেখেই তার ভেতরের খবর বলে দেওয়া যায়’। কবির ‘জ্যোতিষবিদ্যা’ এমনই কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। কেননা মুখই হচ্ছে মানুষটিকে চেনার সহজ একটি উপায়। আয়নাস্বরূপ। কবিতার শেষদিকে এসে নবাব সিরাজের মৃত্যুর ইতিহাস টেনে এনেছেন কবি। জ্যোতিষবিদ্যার সঙ্গে ইতিহাসের মেলবন্ধন ঘটানোর অভিপ্রায় লক্ষ করা যায়। কবি বলেন, ‘যেকোনো জ্যোতিষী জানে, তার কাছে আসা লোকটির হাত নয়, মুখ পাঠ করতে হবে।’
‘পোশাক’ কবিতায় পাথরের ভেতরে গাম্ভীর্য, বিভাজিত আত্মার একটি খণ্ড লুকিয়ে রেখেছেন। পাথরের পাশেই ময়ূরের নৃত্য এসেছে উপলক্ষ হিসেবে। আত্মা ও শরীরের তুলনামূলক পার্থক্য তুলে ধরেছেন। অন্যদিকে ‘ইজিপশিয়ান কুইনের পোর্ট্রেট’ কবিতাটি ইতিহাসজাত। তবে এটি গল্প না কবিতা—বুঝতে হবে আগে। পাঠকের সে বোধশক্তি থাকা চাই। কবিতায় গল্পের মতো করেই বলে যাওয়া। এতে কাব্যের ছন্দ-অলঙ্কার অবহেলিত হলো কি না—তাও ভাববার বিষয়। তবে পাঠ শেষে একটি দৃশ্যকল্প ভেসে উঠবে চোখের সামনে। কবির ভাষায়— ‘… একটিতে রাজার মুখ অঙ্কিত। আর অন্য মুখটি আমার মতো দেখতে কোনো ক্রীতদাসের’।
‘ফায়ারব্রিগেড’ কবিতায় তিনি দেখাতে চেয়েছেন, সিজোফ্রেনিয়া এক ধরনের ভয়্ঙ্কর মানসিক অব্যবস্থাপনা। নিজেকে অস্বাভাবিক মনে না হলেও মানুষের চোখে তিনি অস্বাভাবিক হয়ে ওঠেন। চমৎকার উপস্থাপনায় একজন সিজোফ্রেনিয়া রোগির ঘটনা বিবৃত করেছেন। সমকালীন সাহিত্যে একে গদ্যকবিতা বলা হয়ে থাকে। আমি যাকে ঠিক দুর্বল কাব্য বলি। যদিও কোনো কোনো পাঠক বা অধিকাংশই আমার সাথে একমত হবেন না। তাতে আমার কিছু করার নেই। তবে গদ্য ও পদ্য আলাদা বৈশিষ্ট্য নিয়ে উজ্জ্বল হয়ে আছে। কিন্তু দু’টোকে এক করে সঙ্কর প্রজাতির কিছু সৃষ্টি করার আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা। তবে সময়ের ব্যবধানে তা গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠলে সাহিত্যের বাঁক পরিবর্তন হতে পারে। এটুকুই আশার বাণী।
‘জাহাজ’ কবিতায় সমুদ্রের জাহাজকে হিলজুতোর সঙ্গে তুলনা করেছেন কবি। বলেছেন,
সমুদ্রে তুমি
জাহাজ দেখ?
আমি দেখি তার
কয়েকপাটি
হিলজুতোদের
উল্টো ভাসছে।
‘সুফি, মাহুত, সুবেহ তারা’ কবিতায় অধঃপতন ঠেকানোর চেষ্টা বা অবলম্বন খোঁজার অভিপ্রায় লক্ষ করা যায়। কবির ‘মাছের চোখের বদলে যার তির/বিদ্ধ করে রমণীর হৃদয়/সেই সুখী ধনুর্বিদই/সাক্ষাৎ পাবে এই সুফির’ সেই ‘সুখী ধনুর্বিদ’ই আলোচ্য কাব্যগ্রন্থের নামাঙ্কিত করেছে। যদিও ‘সুখী ধনুর্বিদ’ হতে তার প্রত্যেকটা লক্ষ্যই অতিক্রান্ত হতে হয়। লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ধনুর্বিদ কখনোই সুখী হবেন না। জীবনে মোক্ষম সুযোগ লাভের জন্য অভিষ্ট লক্ষ্যে তির ছুড়তে হবে।
‘বৃষ্টির পর, ব্লু ফরচুন’ কবিতায় কখনো কখনো আক্ষেপ দেখা যায়। স্মৃতিতাড়িত হয়ে প্রিয়তমার জন্য অপেক্ষা। কবির উচ্চারণ- ‘তুমি স্বপ্নে না এলে আমার ঘুম ভাঙে না’। ‘করাতকল’ কবিতায় গভীর থেকে গভীরতর ভাবাবেগ, যৌনস্পর্শকাতরতাময় উচ্চারণ। মর্মার্থে গভীর পর্যবেক্ষণ রয়েছে।
গ্রামবাংলায় বিভিন্ন মৌসুমে, মেলায় বা পার্বণে ‘সার্কাস’ একটি প্রিয় অনুষঙ্গ। বহুল পরিচিত অথচ বিলুপ্তপ্রায় সার্কাস খেলার করুণদশা প্রস্ফুটিত হয়েছে কাব্যে। জটিল সমীকরণ কবিকে আপ্লুত করে। পাঠকও স্মৃতি হাতড়ে দেখবেন চোখের সামনে কখনো ‘সার্কাস’ উপভোগ্য হয়েছিল কিনা?
রাসেল রায়হানের কবিতার উপমায় রাজ্য, রানী, ক্রীতদাস ও জীব-জন্তুর উপস্থিতি লক্ষণীয়। ‘সিংহ’ কবিতায় কবি বলেছেন, ‘লাস্ট সাপারের সেই নারীটি এ জন্মে হলো হ্রদ,/রোদের টঙ্কার তাকে দিয়েছে সমুদ্র-প্রসূন/তার পাশে সিংহ হয়ে বসে আছে স্বীয় মসনদ,/সেই সিংহ অনভ্যাসে রূপ নিচ্ছে আ-রতিকরুণ।’ তবে কবিতার মর্মার্থ উদঘাটন অনেকের জন্যই কষ্টসাধ্য হবে বলে মনে হয়। এর একেকটি কবিতাই একেকটা ইতিহাসের জন্ম দেয়। ফিরে তাকাতে হয় অতীতে।
‘পাশা’ কবিতায় পাশা খেলার প্রসঙ্গ এসেছে। জুলিয়াস সিজার থেকে অনুভূতি সংগ্রহ করে নিজের সৃজন কর্ম মধুময় করেছেন কবি। তার বিভিন্ন কবিতায় পানকৌড়ি, দারোগা, ফেরিঅলা, রুবিকন নদী, অন্তর্বাস, সম্মোহনীবিদ্যা, দরবেশ, সদরঘাট, ঘোড়া, খরগোস, কারবালা, হাসান-হোসেন, মোহর, নূহের নৌকা, বিমান, মাছ, দোয়ায়ে ইউনুস, ঝিনাইদহের স্মৃতি, ভিয়েতনাম, ময়ূর, ঈশ্বর, হ্যামেলিন শহর, ইঁদুর, হলুদ ট্যাক্সি, বর্ষাতি প্রভৃতি এসেছে প্রাসঙ্গিক ভাবেই।
‘শিরিন ও শাদা বাড়ি’ কবিতা পাঠে পাঠকমনে প্রশ্ন জাগতে পারে- কে এই শিরিন? সে কি সমাজের তথাকথিত ভাসমান পতিতা? কখনো সে মানুষের সঙ্গ চায় না। মানুষ তার সঙ্গ চায় কিনা প্রশ্ন থেকেই যায়। তার ‘ফায়ারব্রিগেড’ কবিতায় এক সিজোফ্রেনিয়া রোগির মনোবৈকল্যের বিশ্লেষণ আমরা দেখেছি। এবার ‘সং অব সিজোফ্রেনিক’ কবিতায় রোগটাকে নিয়ে কবির ভাবনা বিস্তৃত হয়েছে। পারস্যের বিখ্যাত কবি ‘ইমরুল কায়েস’ এলে তাঁর সঙ্গে কবির গল্প হয়। গল্প বলতে- ইমরুল কায়েস বলেন, কবি কেবল শ্রোতা। একটি রজনীগন্ধার ডাটা ক্রমশ বেড়ে ওঠার রহস্য ঘনীভূত হতে থাকে।
তবে একথা বলতেই হবে যে, প্রত্যেকটি কবিতায় চমৎকার উপমা স্থাপন করেছেন কবি। একটি চরম সত্য উন্মোচিত হয়েছে তাঁর কবিতায়। কল্পনার গভীরতা পাঠককে ভাবনার অতলে নিয়ে যেতে বাধ্য করবে। এছাড়া শব্দ চয়ন, বাক্য নির্মিতি অসাধারণ। কাব্যের আলাদা একটি শক্তি লক্ষ করা যায়। পাঠককে টেনে নিয়ে যায় কবিতার শেষ পঙ্ক্তিতে। কবির পাপবোধ আমাকে চমকিত করেছে। মানুষ চাইলেই অনেক কিছু করতে পারে। এ জগতে পাপ-পুণ্যের হিসেবে করে কী লাভ? কবির বক্তব্য— ‘প্রোটিন চাইলে মানুষ খাবেন;/পুড়িয়ে নেবেন অল্প আঁচে।/পাপ হবে না। এই জমানায়/মানুষই আর কদিন বাঁচে?’ কথাগুলোর মধ্যে অব্যক্ত ক্ষোভ আর তিক্ত শ্লেষ ফুটে উঠেছে। মানুষকে মানুষ খাবে, তাতে কোনো পাপ নেই। এ এক প্রতিবাদী উচ্চারণ। মানুষের বোধকে অবশ্যই নাড়া দিতে সক্ষম।
‘কিংবদন্তি’ কবিতায় দেখি বাঘের ‘তীক্ষ্ণ নখের আড়াল থেকে’ নরম তুলো ছিড়ে আনেন। কিন্তু কী করে তা সম্ভব—হয়তো কবিই ভালো জানেন।
‘সতেরোই এপ্রিল’ কবির স্মৃতিতে কেন বিষাদময়? তা আর খোলাসা করে বলবার অপেক্ষা রাখে না। একটি গোলাপ ও একজন অন্ধ মেয়ের প্রসঙ্গটাই এসেছে ঘুরেফিরে। পরের কবিতায় কবি চলে গেলেন মুকাভিনয়ের জগতে। মুকাভিনয়ের পাঁচ মিনিট কবিকে আলোড়িত, আন্দোলিত, মর্মাহত করেছে। এ কবিতা পাঠে মুহূর্তেই পাঁচ মিনিটের একটি মাইম আর্ট ভেসে উঠবে পাঠকের চোখের তারায়। যদি কেউ মাইম আর্ট উপভোগ করে থাকেন।
‘অভিজ্ঞান’ কবিতাটিকে একটি অনুগল্পই বলা যায়। বর্তমানে যারা অনুগল্পের চর্চা করেন, তারা একে নির্দ্বিধায় অনুগল্পের কাতারে ফেলবেন। কবিতায় কবির কি আকাঙ্ক্ষা রয়েই গেল, কৌতূহল নিবৃত হলো কি না—তা আর বলে দিতে হবে না। অনেকটা পরাবাস্তববাদ দর্শন কবির মগজে ঘুরপাক খায়।
কবির দৃষ্টিতে প্রতিটি উৎসবের আগের রাতে তার বাবার পিঠের বাঁকানো ভঙ্গির মতোই চাঁদ ওঠে।‘সিজদা’ কবিতায় ঈদ প্রসঙ্গে কবি এমনটাই বলেছেন। রাসেল রায়হানের কবিতায় মিথ, পুরাণ, ইতিহাস, শৌর্য-বীর্য এসেছে। ধর্মীয় অনুষঙ্গ এসেছে প্রয়োজনে। তবে কবি অতিমাত্রায় স্বপ্নপ্রবণ। রঙের মধ্যে ‘ম্যাজেন্টা’ ও ‘ঘিয়া’ রঙ বোধ হয় কবির প্রিয়। এ রঙের ব্যবহার পাওয়া যায় তার কবিতায়। এছাড়া আধুনিক যুগে এসেও মোহরের লোভ সত্যিই রাজকীয় চিন্তার প্রতিফলন ঘটায়।
একটি কথা হয়তো বাহুল্য হবে না, কাব্যগ্রন্থে প্রমিত বাংলা বানানের রীতি অনুসৃত হয়নি। যদিও সেটা কবির ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করে। তবে কবির অসম্ভব ভাবনাদীপ্ত উচ্চারণ পাঠককে সত্যিই কবিতাপাঠের স্বাদ দিতে পারে।
কবির একটিমাত্র চরণের কবিতা ‘প্রত্যাগমন’ কবি হেলাল হাফিজের ‘ওড়না’ কবিতাকে স্মরণ করিয়ে দেয়। ওই কবিতার সঙ্গে মিল না থাকলেও একটিমাত্র বাক্যে সীমাহীন অভিব্যক্তি প্রকাশের সাহস দেখিয়েছেন কবি। যা তাঁর অতুজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিগন্তকে বিস্তৃত করে তুলবে। ‘বাঁশিওয়ালা’ কবিতায়ও একবাক্যে তিনি বাঁশি না কিনে কণ্ঠনালী কেনার বাসনা ব্যক্ত করেছেন। তার এ অল্পবাক্যে সীমাহীন জিজ্ঞাসা। যার উত্তর একবাক্যে দেওয়া সম্ভব নয়। অন্যরকম এক মুন্সিয়ানা রয়েছে।
কবি বোঝাতে চেয়েছেন—আমরা যতই আধুনিক হই না কেন, আমাদের কান্নার ভঙ্গি এখনো প্রাচীন। চিরকালই প্রাচীন থাকবে। হয়তো হাতেবোনা রুমালের পরিবর্তে ব্যবহৃত হবে টিস্যু। বহুজাতিক কোম্পানির লাভ—যেন প্রেমিকার স্মৃতি বিতাড়িত হয়ে যায়।
‘মনোপলি’ কবিতায় ক্রিকেটার মুত্তিয়া মুরালিধরন, অভিনেতা জনি ডেপ, আলোকচিত্রি ফ্রিদা কাহলোকে এনেছেন সুনিপুণ ভাষাভঙ্গিতে। শেষে কবি বলেন, ‘… রাসেল জানে, হিব্রু ভাষায় ধর্মগ্রন্থ লিখছে আরেক রাসেল, ইসরায়েলে’। ‘প্রতিশোধ’ কবিতায় কবির দারুণ অভিব্যক্তি আমাকে মুগ্ধ করেছে। শরণার্থীরা সমুদ্রে ডুবে ডুবে মাছ হয়ে যায়। আয়লান ভেসে আসে মাছের মতোই। কবির ভাষায় বলতে গেলে— ‘মাছ হয়ে জন্মাইনি, তাই/শব হয়ে জলে সাঁতরাই’।
সর্বশেষ কবিতা ‘ফোবিয়া’য় তিনি বিপদকে ট্রেন আসার সঙ্গে তুলনা করেছেন। শেষ কবিতার সঙ্গে সুর মিলিয়ে আমিও বলতে পারি- অভাবনীয় দৃশ্যকল্প, ভিন্নতর চিন্তা-চেতনা, প্রচ্ছন্ন দর্শন কবিকে সারল্য দান করেছে। তরুণ কবিদের সারিতে একধাপ এগিয়ে থাকার প্রত্যাশা তার জন্য আমরা করতেই পারি। তবে অনুপ্রেরণার আতিশয্যে গা ভাসিয়ে শিল্পীসত্তা বিনষ্ট করার অভিপ্রায় যেন কখনোই তাকে প্ররোচিত না করে। ধৈর্য, অধ্যবসায়, চিন্তা ও উৎকর্ষতার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার বাসনা আবশ্যক। আরও চমৎকার সৃষ্টির অপেক্ষায় পাঠককূল।
সুখী ধনুর্বিদ
রাসেল রায়হান
প্রচ্ছদ: রাজীব দত্ত
প্রকাশক: প্লাটফর্ম
প্রকাশকাল: এপ্রিল ২০১৬
মূল্য: ১০০ টাকা