কবি আবিদ আনোয়ারের জন্ম ১৯৫০ সালের ২৪ জুন। তার জন্মস্থান কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার চর আলগী গ্রাম। বাবা মোহাম্মদ আজিমউদ্দিন; মা হাসিনা বেগম। তিনি কটিয়াদী হাই স্কুল থেকে ১৯৬৬ সালে মাধ্যমিক, ১৯৬৮ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক (সম্মান) ও ১৯৭২ সালে স্নাতকোত্তর (থিসিস, রসায়ন শাস্ত্র) ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়াও ১৯৮৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরী থেকে স্নাতকোত্তর (থিসিস, সাংবাদিকতা) ডিগ্রি অর্জন করেন।
পেশায় চাকরিজীবী। সম্পাদক হিসেবে আছেন রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশে (আইসিডিডিআরবি)। তিনি বাংলাদেশের একজন কবি, প্রাবন্ধিক, গল্পকার ও বেতার-টিভির তালিকাভুক্ত বিশেষ শ্রেণীর গীতিকার। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সশস্ত্র যোদ্ধা হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ভারতের বিহারে অবস্থিত চাকুলিয়া ক্যাম্প থেকে বিশেষ কমান্ডো হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়ে ৩ নম্বর সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধ করেন। কিশোরগঞ্জ এলাকায় ধূলদিয়া রেলসেতু অপারেশন এবং ভাঙা সেতুর পাড়ে পরবর্তী যুদ্ধ পরিচালনায় তিনি প্রভূত সাফল্য প্রদর্শন করেন। কিশোরগঞ্জ মহকুমা মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পের প্রথমে সহধিনায়ক এবং শেষে পূর্ণাঙ্গ অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।
এমনই অনেক জানা-অজানা অধ্যায় চলে এসেছে আমাদের সামনে। এক মলাটে বন্দি হয়েছে কবির আদ্যোপান্ত। বইটির নাম ‘বহুমুখী আবিদ আনোয়ার’। সম্পাদনা করেছেন কবি, গবেষক ও গীতিকার ড. তপন বাগচী। যদিও একজন কবির জীবনকে একটি মলাটে আবদ্ধ করা যায় না। অনেকটা থেকে যায় আবৃত। অনেক কাহিনি রয়ে যায় অপঠিত। তবু তপন বাগচী যে কাজটি নিষ্ঠা ও সম্মানের সঙ্গে করেছেন; তা অমূল্য সম্পদ—একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। বিশিষ্টজনরা বিভিন্ন সময়ে কবিকে নিয়ে প্রবন্ধ লিখেছেন, স্মৃতিচারণ ও মূল্যায়ন করেছেন; বইটিতে আমরা সবকিছু একসঙ্গেই পেয়ে যাচ্ছি। কঠিন শ্রমসাধ্য কাজটি সুনিপুণভাবেই করেছেন তপন বাগচী। কবি আবিদ আনোয়ারের একান্ত সহযোগিতা না থাকলে হয়তো কাজটি এত সুন্দর হয়ে উঠতো না।
বইটি পাঠে আমরা জানতে পারি, বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক পুরস্কার ও পদক লাভ করেছেন। কর্মময় জীবনে লিখেছেন অসংখ্য কবিতা। তার মধ্যে মলাটবদ্ধ হয়েছে—
১. ধলপহরের পদাবলি, আগামী প্রকাশনী, ২০১৯;
২. আটকে আছি মধ্যনীলিমায়, আগামী প্রকাশনী, ২০০৯;
৩. নির্বাচিত কবিতা, আগামী প্রকাশনী, ২০০৫;
৪. কাব্যসংসার, বিশাকা প্রকাশনী, ২০০৩;
৫. কাব্যসংসার, বর্ধিত সংস্করণ, আগামী প্রকাশনী, ২০০৫;
৬. খড়বিচালির বৃক্ষজীবন, দিব্য প্রকাশ, ২০০১;
৭. স্বৈরিণীর ঘরসংসার, বিশাকা প্রকাশনী, ১৯৯৭ (দ্বিতীয় সংস্করণ, ১৯৯৮; তৃতীয় সংস্করণ, ২০০১);
৮. মরা জোছনায় মধুচন্দ্রিমা, অনিন্দ্য প্রকাশ, ১৯৯২;
৯. প্রতিবিম্বের মমি, অনিন্দ্য প্রকাশ, ১৯৮৫ প্রভৃতি।
তার প্রবন্ধ-গবেষণা হচ্ছে—
১. বাংলা কবিতার আধুনিকায়ন, আগামী প্রকাশনী, ১৯৯৭ (দ্বিতীয় সংস্করণ ২০০৪, তৃতীয় সংস্করণ ২০১৮);
২. চিত্রকল্প ও বিচিত্র গদ্য, আগামী প্রকাশনী, ২০০৫;
৩. বরেণ্য কবিদের নির্মাণকলা, আগামী প্রকাশনী, ২০১৫;
৪. ছন্দের সহজপাঠ, আগামী প্রকাশনী, ২০১৮;
৫. আমার মুক্তিযুদ্ধ: রাজপথ থেকে রণাঙ্গন, আগামী প্রকাশনী, ২০১৫ প্রভৃতি।
এছাড়া তার গল্পগ্রন্থ হচ্ছে—তিন পাখনার প্রজাপতি, মাওলা ব্রাদ্রার্স, ২০০৬। শিশুসাহিত্য হচ্ছে—মশার মেয়ে পুনপুনি, আগামী প্রকাশনী, ২০১২; সৃষ্টিছাড়া ত্রিশটি ছড়া, প্রাচ্যবিদ্যা প্রকাশনী, ১৯৯৯; আগল-ভাঙা পাগল ছড়া, অনিন্দ্য প্রকাশ, ১৯৯২ প্রভৃতি।
তিনি সম্পাদনা করেছেন—আহসান হাবীবের শ্রেষ্ঠ কবিতা (২০০০); আহসান হাবীবের নির্বাচিত কবিতা, বাংলা একাডেমি, ২০১৮; শিল্পসাহিত্যবিষয়ক নিয়মিত/অনিয়মিত কলাম; মধ্যদিনের জানালা (আহসান হাবীব সম্পাদিত দৈনিক বাংলার সাহিত্য সাময়িকী, ১৯৮১-৮২, নিয়মিত পাক্ষিক কিস্তিতে); বাংলা কবিতার আধুনিকায়ন (আবুল হাসনাত সম্পাদিত সংবাদ সাময়িকী, ১৯৯৬-৯৭, অনিয়মিত কিস্তিতে)।
এর বাইরেও তিনি গীতিকার ছিলেন। খোন্দকার নুরুল আলম, বশির আহমদ, সৈয়দ আব্দুল হাদি, আব্দুল জব্বার, অণুপ ভট্টাচার্য, সাবিনা ইয়াসমিন, সুবীর নন্দীসহ পঞ্চাশ দশকোত্তর বিখ্যাত শিল্পীদের কণ্ঠে তার লেখা শতাধিক গান প্রচারিত হয়েছে।
শিল্প-সাহিত্য চর্চার স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন অনেক পুরস্কার। তিনি জাতীয় পর্যায়ে বাংলা কবিতায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার; শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্য ২০০৬ সালে সুকুমার রায় সাহিত্য পুরস্কার; সাহিত্যকর্মের জন্য ১৯৯৭ সালে স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী স্মারক পুরস্কার (সৈয়দ নজরুল ইসলাম পদক); ১৯৯৭ সালে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতির সংবর্ধনা; সাহিত্যকর্মের জন্য ১৯৯৬ সালে রাইটার্স-এর স্মারক পদক ও সংবর্ধনা; বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও কারিগরি প্রকাশনার জন্য ১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতি পদক লাভ করেছেন।
এছাড়া আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও তিনি পুরস্কার-স্বীকৃতি পেয়েছেন। তিনি ২০০৮ সালে বাংলাদেশ বেতারের প্রোফাইলভিত্তিক ইংরেজি স্ক্রিপ্ট রচনার জন্য কমনওয়েলথ পুরস্কার; বাংলাদেশ বেতারের ডিজিটাইজেশন-সংক্রান্ত ইংরেজি স্ক্রিপ্ট রচনার জন্য ২০০৫ সালে কমনওয়েলথ পুরস্কার; ১৯৯২ সালে ইউএসএআইডি’র বিশেষজ্ঞ দল কর্তৃক প্রদত্ত ‘অ্যাবলেস্ট সায়েন্স জার্নালিস্ট ইন বাংলাদেশ’ খেতাব; ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ‘জাতীয় সাংবাদিকতা বিশেষজ্ঞ সমিতি’র সম্মানসূচক সদস্যপদ লাভ করেন।
আমাদের দেশে গুণীজনরা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলে মূল্যায়ন করা হয়। কিন্তু এখানে ব্যতিক্রম এই যে, কবি আবিদ আনোয়ার তার জীবদ্দশায় মানুষের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ অবলোকন করতে পারলেন। এমনকি ভবিষ্যতে কেউ কবিকে নিয়ে গবেষণা করতে চাইলে বইটি অনেকটাই উপকার করবে। এর জন্য আগামী প্রকাশনী ও ড. তপন বাগচীকে সাধুবাদ জানাতেই হয়।
বইটি প্রকাশ প্রসঙ্গে বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক ড. তপন বাগচী বলেন, ‘কবি আবিদ আনোয়ার সত্তর দশকের গুরুত্বপূর্ণ কবি। পাশাপাশি প্রবন্ধ, গীতিকবিতা, হাইকু, ছড়া, ছোটগল্প, সম্পাদনা, অনুবাদ—অর্থাৎ যুগপৎ সৃজন ও মননে তাঁর প্রাধান্য অনস্বীকার্য। বিজ্ঞানী এবং মুক্তিযোদ্ধাও তিনি। তাঁর সৃষ্টিকর্ম মূল্যায়ন করেছেন খ্যাতিমান লেখকেরা। এই সময়ের তরুণ সাহিত্যিকদেরও তিনি শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন। আবিদ আনোয়ারকে নিয়ে মূল্যায়নধর্মী রচনাগুলোর সংকলন এবার প্রকাশ করেছে আগামী প্রকাশনী। আমি তো নিমিত্ত মাত্র। তবে স্বীকার করতে দ্বিধা নেই যে, একটি মৌলিক গ্রন্থ রচনার চেয়ে এই লেখাগুলো সংকলন ও সম্পাদনা করাকে আমি দায়িত্ব হিসেবে গ্রহণ করেছি।’
চলতি বছরের অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে ‘বহুমুখি আবিদ আনোয়ার’ বইটি। বইটির সূচিপত্রের আগে একটি বিভাগ রাখা হয়েছে, যার শিরোনাম ‘বিশিষ্টজনদের চোখে কবি আবিদ আনোয়ার’। সেখানে যারা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন, তারা হলেন—শওকত ওসমান, শামসুর রাহমান, ড. হুমায়ুন আজাদ, মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সৈয়দ আলী আহসান, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ, আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, ড. মাহবুব সাদিক। সংকলনে সম্পাদকীয় নিবন্ধ লিখেছেন ড. তপন বাগচী। নিবন্ধটি ৬২ পৃষ্ঠায় গিয়ে শেষ হয়েছে। এ নিবন্ধে কবি আবিদ আনোয়ারের সাহিত্যচর্চার কোনো কিছু বাদ পড়েছে বলে মনে হয় না।
বইটিতে যেসব প্রবন্ধ স্থান পেয়েছে, সেগুলো হলো—
১. সম্পাদকীয় নিবন্ধগুচ্ছ ॥ ড. তপন বাগচী ১১
২. দুই গ্রন্থ : নানা চিন্তা ॥ শওকত ওসমান ৬৩
৩. প্রতিবিম্বের মমি ॥ সৈয়দ আলী আহসান ৬৭
৪. আবিদ আনোয়ার : তাঁর কবিতা ॥ শামসুর রাহমান ৬৯
৫. প্রতিবিম্বের মমি ॥ মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ ৭৩
৬. প্রতিবিম্বের মমি ॥ ড. হুমায়ুন আজাদ ৭৬
৭. মরা জোছনায় মধুচন্দ্রিমা ॥ ড. মাহবুব সাদিক ৭৯
৮. কবি আবিদ আনোয়ার-এর গানের কবিতা ॥ মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান ৮৬
৯. স্বৈরিণীর ঘরসংসার : একটি সামান্য প্রতিবেদন ॥ অসীম সাহা ৯০
১০. প্রতিবিম্বের মমি ॥ ড. রফিকউল্লাহ খান ৯৩
১১. সময়ের বিশ্বস্ত চিত্রকর : আবিদ আনোয়ার ॥ শেখর ইমতিয়াজ ৯৭
১২. আবিদ আনোয়ার: ছন্দ-সাঁকোতে ব্যঞ্জনাময় চিত্রকল্প নির্মাতা ॥ সুমন সরদার ১০০
১৩. আবিদ আনোয়ার-এর কবিতায় মনীষার সন্ধানে ॥ মোহম্মদ নূরুল হক ১০৪
১৪. আবিদ আনোয়ারের কবিতা : হৃদয়ে গভীর অনুরণন ॥ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ ১১১
১৫. আজ, কাল ও পরশু’র জন্য বার্তা ॥ কৌশিক গুড়িয়া (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) ১১৮
১৬. আবিদ আনোয়ারের ‘ধলপহরের পদাবলি’ ॥ ড. তারেক রেজা ১২৩
১৭. অন্য এক শুদ্ধতার কবি আবিদ আনোয়ার ॥ শ্যামসুন্দর সিকদার ১৩৭
১৮. প্রাজ্ঞনীলিমায় কবি আবিদ আনোয়ার ॥ বাসুদেব মণ্ডল (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) ১৪০
১৯. সংগ্রামী কাব্যভাষার কবি ॥ ড. শ্যামল কান্তি দত্ত ১৫১
২০. ছন্দ-বিশেষজ্ঞ কবি আবিদ আনোয়ার এবং প্রকরণসিদ্ধ বাংলা হাইকু ॥ রহিমা আখতার কল্পনা ১৬২
২১. প্রকরণসিদ্ধ বাংলা হাইকু রচনার পথিকৃৎ কবি ও প্রাবন্ধিক আবিদ আনোয়ার ॥ দুলাল বিশ্বাস ১৬৭
২২. বাঙলা কবিতার আধুনিকায়ন ॥ শাকিল রিয়াজ ১৬৯
২৩. স্বৈরিণীর ঘরসংসার ও বাঙলা কবিতার আধুনিকায়ন ॥ সেলিনা আহমেদ ১৭০
২৪. Rhythmic Arrangement of Images – AUM Fakhruddin 173
২৫. Fictions Crafted in a New Ambience – Junaidul Haque 176
২৬. আবিদ আনোয়ার: গল্পের মানচিত্রে আঁকেন বিমূর্ত সর্বনাশ ॥ মনি হায়দার ১৭৯
২৭. আবিদ আনোয়ার-এর কবিতা: পার্থিব বাস্তবতায় অপার্থিব সৌন্দর্য ॥ ড. মাসুদুল হক ১৮৭
২৮. কবি আবিদ আনোয়ার: গুণী মানুষের সান্নিধ্যে ॥ অণিমা মুক্তি গমেজ ১৯১
২৯. বরেণ্য: আবিদ আনোয়ার (দৈনিক যুগান্তর) ১৯৫
৩০. Abid Anwar on the back cover of Shabdaghar Magazine 195
৩১. উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে ১৯৭
৩২. পরিশিষ্ট: অন্য পরিচয়ে আবিদ আনোয়ারের কৃতিত্ব ২০০।
সূচিপত্রই বলে দেয়, বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব শাখায়ই বিচরণ রয়েছে কবি আবিদ আনোয়ারের। সুতরাং এই সূচিপত্র দেখলেই পাঠক বুঝতে পারবেন; এটি কেবল ক্রয়যোগ্য নয়, সংগ্রহযোগ্যও বটে। আমাদের দেশে গুণীজনরা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলে মূল্যায়ন করা হয়। কিন্তু এখানে ব্যতিক্রম এই যে, কবি আবিদ আনোয়ার তার জীবদ্দশায় মানুষের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ অবলোকন করতে পারলেন। এমনকি ভবিষ্যতে কেউ কবিকে নিয়ে গবেষণা করতে চাইলে বইটি অনেকটাই উপকার করবে। এর জন্য আগামী প্রকাশনী ও ড. তপন বাগচীকে সাধুবাদ জানাতেই হয়।
বই: বহুমুখী আবিদ আনোয়ার
সম্পাদনা: ড. তপন বাগচী
প্রকাশক: আগামী প্রকাশনী
প্রচ্ছদ: ইব্রাহিম খলিল বাবু
প্রকাশকাল: বইমেলা ২০২১
মূল্য: ৫০০ টাকা