যুগে-যুগে ধর্ম-দর্শন-রাজনীতি-সাহিত্য ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র স্বভাবের ব্যক্তিত্বের আভির্ভাব ঘটে। তাদের ঘিরে তৈরি হয় একেকটি বলয়। কেউ কেউ আস্ত একটি যুগের স্রষ্টাও হয়ে ওঠেন। তারা কখনো কখনো সমাজকে আমূল বদলেও দেন। অন্তত বদলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই চার শ্রেণীর ব্যক্তিত্বের মধ্যে রাজনীতিকদের কাজের ফল সমাজ সরাসরি ভোগ করে। সমাজের দৃশ্যমান পরিবর্তনে রাজনীতিকদের প্রত্যক্ষ অবদান রয়েছে। ধর্ম-দর্শনের বাণী মানুষ সহজে গ্রহণ করে না। গ্রহণ না করলেও সমাজে তাৎক্ষণিক কোনো ক্ষতিও হয় না। এমনকী সাহিত্যিকের প্রচারিত মতবাদ-তত্ত্বও সমাজকে সঙ্গে সঙ্গে প্রভাবিত করতে পারে না। তবে, সমাজ পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হলো রাজনীতি। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সমাজকে যেমন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তেমনি পারে দীর্ঘদিন ধরে পিছিয়েপড়া সমাজের সংস্কার করতেও। একটি দেশের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সর্বোপরি সাংস্কৃতি পরিবর্তনেও রাজনীতিবিদদের ইতিবাচক ভূমিকা তাৎক্ষণিক ও সদূরপ্রসারী এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রভাব ফেলে। আর এসব ক্ষেত্রে যে রাজনীতিবিদ যত বেশি সফল, তিনি তার স্বজাতির কাছে তত বেশি মান্য হয়ে ওঠেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু-কন্যা, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তেমনি একজন রাজনীতিক। যার ইস্পাতকঠিন হাত রাষ্ট্রযন্ত্রকে দিয়েছে স্থিতিশীলতা। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ দমন, বঙ্গবন্ধূ হত্যার বিচার, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের আয়োজনসহ রায় কার্যকরে সফল হয়েছে। এসব কারণে বলা যায়, শেখ হাসিনা জাতির ইতিহাসে স্বতন্ত্র আসন লাভ করেছেন।
শেখ হাসিনার ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে তুলে ধরে দেশের কবি-সাহিত্যিকরা বিভিন্ন সময়ে কলাম, কবিতা, প্রবন্ধ, নিবন্ধ রচনা করেছেন। সেসব রচনার সবই যে শিল্পোত্তীর্ণ হয়েছে, তা বলা যাবে না। কারণ এসব রচনায় শিল্পগুণের চেয়ে বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বক্তব্যকে স্পষ্ট করার চেষ্টায় অনেক সময় একেবারে নিরলঙ্কার-স্লোগানধর্মী রচনাও তৈরি হয়েছে। বিচিত্র সব রচনার ভেতর থেকে এই গদ্যের আলোচ্য বিষয় শেখ হাসিনাকে নিবেদিত কবিতা। শেখ হাসিনাকে নিবেদিত ৭১টি কবিতা নিয়ে চলতি বছরের একুশের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে একটি সংকলন—‘পিস অ্যান্ড হারমনি’। এতে কবীর চৌধুরী থেকে শুরু করে নবীন কবি শরাফত হোসেন পর্যন্ত একাত্তরজনের কবিতা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। মূল কবিতার পাশাপাশি রয়েছে ইংরেজিতে অনুবাদও। অনুবাদগুলো করেছেন আনিস মুহম্মদ। আর সম্পাদনা করেছেন অধ্যাপক আহমেদ রেজা। এই সংকলনে যেসব কবিতা স্থান পেয়েছে, সেগুলো চরিত্র বিশ্লেষণ করলে মোটা দাগে তিন ধরনের কবিতা পাওয়া যায়।
ক) প্রশংসা
খ) সমবেদনা
গ) অনুপ্রেরণা।
ওপরের তিনটি বৈশিষ্ট্যের মধ্যে, বেশিরভাগ কবিতার মধ্যেই এই গুণগুলোর দুটি বা তিনটি একসঙ্গেই রয়েছে। তাই আলাদা করে আলোচনায় না গিয়ে একত্রে বিশ্লেষণের চেষ্টা করা হলো।
সংকলনের প্রথম কবিতা কবীর চৌধুরী রচিত ‘শেখ হাসিনা’। কবিতাটি মাত্র ৫ পঙ্ক্তির। এই পাঁচ পঙ্ক্তিতেই কবীর চৌধুরী বাংলাদেশের চারিত্র্য ও শেখ হাসিনার মানবিক-রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের একটি নিপুণ চিত্র অঙ্কন করেছেন। বলেছেন:
শেষ নেই তার সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখার
খনি খুঁজে ফেরে সদাই সুখের সবার
হারিয়ে যেতে দেবে না কভু স্বপ্নটি তাঁর
সিনথেটিক তো নয়, বাংলার মাটি জলে অতি মজবুত
নাই তার ক্ষয় বা বিনাশ, সে যে অনিন্দ্য নিখুঁত।
প্রথম দুই পঙ্ক্তিতেই শেখ হাসিনার দেশপ্রেম, দেশের প্রতি অঙ্গীকার ও স্বপ্নের চিত্র এঁকেছেন কবীর চৌধুরী। কবি বলতে চেয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে শেখ হাসিনা তার বাবা বঙ্গবন্ধুর মতো স্বপ্ন দেখেন। তিনি সর্বদা দেশ ও জাতির সুখের জন্য পরিশ্রম করে যান, কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে কাজ করেন।
সৈয়দ শামসুল হকের কবিতাটি নাম ‘আহা, আজ কী আনন্দ অপার’। এটি শেখ হাসিনার কোনো এক জন্মদিন উপলক্ষে রচিত। এই কবিতায় পঁচাত্তর-পরবর্তী দেশ-আওয়ামী লীগের সংকট, শেখ হাসিনার দৃঢ়মনোবল ও নেতৃত্বের গুণের কথা বর্ণনা করা হয়েছে। দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার কৃতিত্বের বর্ণনা দিতে গিয়ে সৈয়দ হক বলেন, ‘শেখ হাসিনা সব নদীতে/ দুর্জয় গতিতে/ টেনে তোলেন নৌকা আনেন উন্নয়ন জোয়ার।’
বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীরের কবিতার শিরোনাম ‘হাসিনা, তুমি আশ্চর্য’। এতে তিনি সম্ভাবনার কথা বলেন, দূর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে চলার সাহসের কথা বলেন। বলেন নির্ভরতার কথাও।
পঁচাত্তরের পটভূমিতে রচিত তোফাজ্জল হোসেনের কবিতা ‘শেখ হাসিনা শোক করো না’। এই কবিতায় শেখ হাসিনাকে শোক না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে দেশকে ভালোবাসতে বলেছেন কবি।
রফিক আজাদের কবিতার নাম ‘তিনি আমাদেরেই লোক’। শেখ হাসিনার চোখে দেশ-স্বজাতির সুখ-দুঃখের চিত্র এঁকেছেন। বলেছেন, ‘তিনি আমাদেরই লোক—তাঁর চোখে এদেশের/ প্রতিটি ঋতুর রূপ রঙ ধরা থাকে/ বাঙলার প্রিয় মাটি-জল তাঁর নিঃশ্বাসের বায়ু।’
বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে শেখ হাসিনা যেমন কঠোর, তেমনি দরিদ্র, আশ্রয়হীন মানুষের জন্য তিনি দয়ার সাগর। আবার বিবদমান সংকট নিরসনে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে তিনি সংঘাতপূর্ণ পথে না গিয়ে শান্তিপূর্ণ পথ বেছে নিয়েছেন তিনি। সমুদ্রসীমার বিরোধ নিরসন থেকে শুরু করে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনীতিক আলোচনা চালিয়ে যাওয়া এবং রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারে আশ্রয় দেওয়ার মতো ঘটনাগুলো প্রমাণ করে শেখ হাসিনা শান্তির প্রতীক। বিষয়টি ফুটিয়ে তুলেছেন মুহম্মদ নুরুল হুদা তার ‘শান্তিকন্যা শেখ হাসিনা’ কবিতায়। বলেছেন—‘সংগ্রামে অনন্যা তুমি, গণকন্যা, পরাজয়হীনা/ শান্তির পতাকা হাতে তৃতীয় বিশ্বের নেত্রী হে শেখ হাসিনা।’
মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারকবাহক দলের পুনর্জাগরণ ও সে জাগরণে শেখ হাসিনাকে আহ্বান করেছেন নির্মলেন্দু গুণ। শেখ হাসিনার বাবা-মা-ভাই হারানোর বেদনাকে ‘পথে পথে পাথর’ কবিতায় এভাবেই চিত্রায়িত করেছেন কবি—‘শেখ হাসিনা, আপনার বেদনা আমি জানি/ জানি, দুঃখরজনী ফুরাতে চায় না সহজে।’ এরপরই বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে সিঁডিতে/ আপনি পা রেখেছেন মাত্র। / আপনার পথে পথে পাথর ছড়ানো/ পাড়ি দিতে হবে দুর্গম গিরি, কান্তার মরুপথ।’ অর্থাৎ দেশগঠনে, দেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার সুগম নয়। এজন্য শেখ হাসিনাকে অনেক বন্ধুর পথ পাড়ি দিতে হবে। আর সমকালীন রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ যারা পর্যবেক্ষণ করেন, তারা নিশ্চয় স্বীকার করবেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার, মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করে তা কার্যকরে শেখ হাসিনাকে কতটা দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হয়েছে, দেশি-বিদেশে কত বাধা অতিক্রম করতে হয়েছে তাকে।
শেখ হাসিনার কারাবন্দিকালীন ঘ্টনাপ্রবাহকে অসীম সাহা দেখেছেন ভিন্ন আঙ্গিকে। বর্ণনা করেছেন খোদ শেখ হাসিনার বয়ানেই। সেই বয়ানে আছে ক্রোধ, দেশপ্রেম ও দৃঢ়তা। কথক স্বৈরশাসকদের উদ্দেশে বলছেন,
আমার রক্তে দ্রাবিড়, মঙ্গোলীয় ও কৌম রক্তের ধারা;
তোমরা আমাকে বধ করবে,
তোমরা আমাকে এই বাংলার শেকড় থেকে উৎপাটিত করবে
তোমরা আমাকে বৃন্তচ্যুত করে দিয়ে ফেলে দেবে অচেনা মাটিতে?
শেখ হাসিনাকে হত্যাষড়যন্ত্র করা হয়েছে বারবার। এরমধ্যে ২১ আগস্টের ঘটনা সবচেয়ে ভয়াবহ। উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় ২৪ জন নিহত হন। এছাড়া তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাসহ প্রায় ৩০০ লোক আহত হন। ওই সময় শেখ হাসিনাকে যারা ভালোবাসেন, যারা শ্রদ্ধা করেন, তাদের দিন-রাত কেটেছে নানা উৎকণ্ঠায়। ওই দিনের পটভূমিতে রচিত বুলবুল মহলানবীশের ‘২১ আগস্টের রাতে তোমার জন্য’। কবির উচ্চারণ:
তোমার জন্য হাসু আপা
বিনিদ্র রাত একলা বসে
অন্ধকারে লক্ষ মায়ের
জায়নামাজে কাল কেটেছে।
পরিবারের সবাইকে হারানো শেখ হাসিনাকে বিশাল অরণ্যের নিঃসঙ্গ হরিণের সঙ্গে তুলনা করেছেন কবি মোহাম্মদ সাদিক। তার কবিতার নাম ‘একলা হরিণ’। কবি বলছেন, এই হরিণটিকে এই শ্যামল বাংলা, তার প্রকৃতি সবাই চেনে। এই হরিণটি একদা তার বাবা-মা-ভাইদের হারিয়েছে। তবে তার সঙ্গী এখন হাওড়, পাখি, শস্য, নদী ও সমুদ্র। তার দুঃখে কান্নায় বাংলার মাটি ভিজে যায়।
একটি হরিণ একলা হরিণ
দুঃখে ভরা বুক
বাপ মরেছে মা মরেছে
বিষণ্ন তার মুখ।
বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে শেখ হাসিনা যে কৃতিত্ব দেখিয়েছেন, তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন কবি মুহাম্মদ সামাদ। শেখ হাসিনার দৃঢ়ব্যক্তিত্বের রূপটি ফুটিয়ে তুলেছেন কবি ‘তুমি ভূমিকন্যা’ কবিতায়। লিখেছেন,
জাতিসংঘে, অগণিত বিশ্বসভায়
তোমার সাহস আর শৌর্যের প্রভায়
সাম্য মুক্তি শান্তির আকাঙ্ক্ষায়
এশিয়া-আফ্রিকা ল্যাটিন আমেরিকায়
সংগ্রামরত মানুষেরা জেগে ওঠে।
শেখ হাসিনা, জনগণমননন্দিত নেত্রী
আমাদের শাশ্বত ফিনিক্স পাখি তুমি
অগ্নিস্নানে শুচি হয়ে বারবার আসো
তুমি ভূমিকন্যা—তুমি প্রিয় মাতৃভূমি।
দেশ-জাতির প্রতি প্রেম, বীরত্ব-নেতৃত্ব ও ভালোবাসার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে কামাল চৌধুরীর ‘বাঙালির সম্মান’ কবিতাটি শেখ হাসিনার সিংহভাগ বৈশিষ্ট্যধারণে সক্ষম। ষাণ্মাত্রিক মাত্রাবৃত্তে রচিত এই কবিতাটি কেবল সুখপাঠ্যই নয়, একইসঙ্গে বোধের গহনে অভিঘাত সৃষ্টিতেও পারঙ্গম। এই কবিতায় শেখ হাসিনাকে তার বাবা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর মতোর রাজনৈতিক প্রজ্ঞার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
বাংলার মাটি কাদাজলে লেখা নাম
পিতার মতোই তুমি আছ পতাকায়
তোমার নৌকা পাল উড়িয়েছে স্রোতে
জনগণ আজ শেখ হাসিনার নায়।
আসাদ মান্নানের ‘চাই তাঁর দীর্ঘ আয়ু’ শীর্ষক কবিতাটি আরও বিস্তৃত ক্যানভাসে রচিত। নিটোল অক্ষরবৃত্তে রচিত এই কবিতায় বঙ্গবন্ধু স্বপ্নবাস্তবায়নে শেখ হাসিনার ভূমিকাকে মহিমান্বিত করা হয়েছে। সমস্ত ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে যে নেত্রী দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ‘সূর্যকে আঁচলে নিয়ে কুয়াশার জাল ছিঁড়ে পিতার মতোন’ দেশকে ভালোবেসেছেন, তার জন্য কবিার প্রার্থনা—‘আমার আয়ুর কিছু তাঁকে দিয়ে চাই তাঁর দীর্ঘ আয়ু’।
খালেদ হোসাইনের ‘তুমিই আমার পরম, তু্মিই আমার নিয়তি’ কবিতায় শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশকে অভিন্নার্থে কল্পনা করা হয়েছে। কবি লিখেছেন, ‘তুমিই আমার বাংলাদেশ/ তুমি আমার আকাশ বাতাস।’
শামীম রেজার কবিতার শিরোনাম, ‘একুশে আগস্ট’। এই কবিতায় কবি বলেছেন, একুশে আগস্টের রাতে সত্যিকার অর্থে পৃথিবী থেমে গিয়েছিল, সবাই স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল। ঘাতকের ভয়ে কোথাও কোনো প্রার্থনার সাহস পর্যন্ত পায়নি মানুষ। অথচ সেদিন শেখ হাসিনা নিজের প্রাণ সংশয়ের নিশ্চিত কারণ যেন, ছিলেন দৃঢ়চেতা। কবি বলছেন,
চারিদিকে কনভয় পুরোনো হায়েনার থাবা
একুশে আগস্ট নৃশংস দিবাযামে
ঘাতক-উল্লাসে আঁধার স্তব্ধতা নামে
শহর ছিল না শহরে
মৃত্তিকার বুক লাল
শিশুজন্ম থেমে গিয়েছিল ক্ষণকাল।
একুশে আগস্ট হিমাতঙ্গ বুকে
প্রীতিলতার দৃঢ়তা
দেখেছি তোমার মুখে।
শেখ হাসিনার দেশপ্রেম, সাহস, দৃঢ়তা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা—ইত্যাকার বিষয়কে উপজীব্য করে আরও যাদের কবিতা রয়েছে এই সংকলনে তাদের মধ্যে উল্লেযোগ্য হলেন, বেলাল চৌধুরী, আনোয়ারা সৈয়দ হক, কাজী আবু জাফর সিদ্দিকী, রবিউল হুসাইন, মহাদেব সাহা, হাবীবুল্লাহ সিরাজী, জাহিদুল হক, রবীন্দ্র গোপ, খালেক বিন জয়েনউদদীন, দিলারা হাফিজ, আমিনুল ইসলাম, নাসির আহমেদ, আমিনুর রহমান সুলতান, আমীরুল ইসলাম, আনজীর লিটন, মাহবুবুল হক শাকিল, তপন বাগচী, কামরুল ইসলাম, আনিস মুহম্মদ প্রমুখ।
বইটিতে অন্তর্ভুক্ত কবিতাগুলো পাঠ করলে শেখ হাসিনার প্রতি দেশের কবিদের শ্রদ্ধা-ভালোবাসার স্বাক্ষর অনেকটাই পাওয়া যাবে।
পিস অ্যান্ড হারমনি
সম্পাদক: আহমেদ রেজা
অনুবাদ: আনিস মুহম্মদ
প্রচ্ছদ: মাসুক হেলাল
প্রকাশক: গল্পকার
প্রকাশকাল: বইমেলা, ২০১৮
মূল্য: ৬০০ টাকা।