সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এনইউবি) বাংলা বিভাগের জার্নাল ‘বাংলা সাহিত্য সংস্কৃতি গবেষণা পত্রিকা’র দ্বিতীয় সংখ্যা। পত্রিকাটি সম্পাদনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা, সাহিত্য, গবেষণা অনুষদের ডিন ও বাংলা বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. রকিবুল হাসান। জার্নালের প্রতিটি লেখাই পাঠক ও গবেষককে উপকৃত করবে। গবেষণাধর্মী প্রবন্ধগুলো অন্যান্য গবেষণার দ্বার উন্মোচন করবে বলেও আশা রাখছি।
২৪৭ পৃষ্ঠা সংবলিত এই সংখ্যায় পনেরোটি প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ড. আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহর ‘বাঙালি অবক্ষয়ের অতল থেকে উঠে এসে জীবনমুখী হয়ে দাঁড়াবে’ প্রবন্ধটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ড. আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ তার প্রবন্ধে বলতে চেয়েছেন, অতীত ইতিহাস থেকে দেখা গেছে, বহু জাতি মেধা ও সম্পদ ধরে না রাখতে পারার ব্যর্থতায় আপন সত্তা হারিয়ে বিলুপ্তির পথে চলে গেছে। নিজস্ব ঐতিহ্য, সংস্কার ও সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে। দখল করে নিচ্ছে অপসংস্কার ও অপসংস্কৃতি। পাশ্চাত্য সভ্যতার সংস্পর্শে নিজস্ব সংস্কৃতির অন্তর্নিহিত ভাবসত্যটি অতলে তলিয়ে যাচ্ছে। বাঙালির যে আচার-আচরণ ও মূল্যবোধ, দ্রুত তার পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে। সাংস্কৃতিক বিচ্ছিন্নতাবোধ প্রবল হয়ে উঠেছে। মূল্যবোধহীন এক সমাজ তর তর করে বেড়ে উঠছে। যে কারণে মাতৃভাষা, সাহিত্য সংস্কৃতি, সংগীত, শিল্পকলার প্রতি ঔদাসীন্য ও অশ্রদ্ধার প্রকাশ ঘটছে। বাংলাদেশ ও বাঙালির জন্য এই আত্মধ্বংসী প্রবণতা রোধ জরুরিভাবে সময়ের দাবি হয়ে পড়েছে।
ড. রকিবুল হাসানের প্রবন্ধ ‘ভারতবর্ষের স্বাধীনতা: বাঘা যতীনের অবদান’পাঠককে স্মরণ করিয়ে দেবে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ইতিহাস। আমরা জানি, ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামের মহানায়ক যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় (বাঘা যতীন, ৮ ডিসেম্বর ১৮৭৯—১০ সেপ্টেম্বর ১৯১৫), স্বার্থ কখনো যার অন্তর স্পর্শ করতে পারেনি। অবিশ্বাস্যরকম স্বদেশপ্রেম ও প্রাণে বিশাল উদারতা ধারণ করে তিনি সর্বজন-হিত-সাধনে ব্রতী মহাপুরুষ ছিলেন। তিনি স্ত্রী-সন্তান-সংসার ছেড়ে স্বদেশের জন্য যেভাবে জীবন বিসর্জন দিয়েছেন, তা কেবলই এক অপার বিস্ময়ের জন্ম দেয়। আমাদের বুঝে নিতে কষ্ট হয় না তিনি কত বড় আসক্তিশূন্য বীর ছিলেন। এ বীর পুরুষ সম্পর্কে বলার আগে ভারতে কীভাবে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন গড়ে উঠেছিল সে বিষয়েও সামান্য দৃষ্টিপাত করা প্রাসঙ্গিক ও সঙ্গত বলে মনে করেছেন লেখক।
রবীন্দ্র্রনাথের হাতে ছোটগল্পের যাত্রা বলেই হয়তো তাঁর সমসাময়িক লেখকেরাও তাঁরই রীতি গ্রহণ করেছেন। চারুচন্দ্রও তাই। উভয় গল্পেরই মূল বিষয় হৃদয়বৃত্তি। তবে, একটিতে অসম বয়সের হৃদয়াকুতি, অন্যটিতে বিসম শ্রেণিগত সমস্যা প্রকাশিত।
নাড়ুগোপাল দের প্রবন্ধ ‘সৈকত রক্ষিতের গল্প: পুরুলিয়ার জনজাতি প্রসঙ্গ’ভারতের পুরুলিয়া জেলার আদ্যোপান্ত জানতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। সৈকত রক্ষিত লিখেছেন মূলত ‘সাবঅলটার্ন’দের নিয়ে। মফস্বল শহর, গ্রাম এবং গ্রামজীবন তার লেখার উপজীব্য। সেটা পুরুলিয়ার। আদিবাসী অধ্যুষিত পুরুলিয়ার এক প্রত্যন্ত গ্রামে তার জন্ম। তার পূর্বপুরুষদেরও আদিভূমি পুরুলিয়া। কুড়ি বছর ধরে তিনি জেলার সাঁওতাল-আদিবাসী ছাড়াও বিভিন্ন জনগোষ্ঠী নিয়ে গল্প-উপন্যাস লিখেছেন। তার পেশাহীন ভ্রাম্যমাণ দিনযাপনের সূত্রে গ্রামের এসব মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করে মনে হয়েছে, তাদের মতো দেশে একজন দরিদ্র মানুষই বোধ হয় জীবনের ব্যাপ্তি ও বৈচিত্র্যকে অনেকবেশি উপলব্ধি করতে পারে। দারিদ্র্যই জীবনের সঙ্গে যোগ করে জীবনের বহুমাত্রিকতা। তার লেখায় এই বহুমাত্রিকতার সঙ্গে পাঠকের পরিচয় করিয়ে দিতে চেয়েছেন।
ড. উৎপল মণ্ডলের প্রবন্ধ ‘প্রবন্ধের স্বরূপ ও সংস্কৃতির সন্ধান’পাঠককে প্রবন্ধ ও সংস্কৃতি সম্পর্কে বিশদভাবে জানতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি বাসুদেব মণ্ডলের প্রবন্ধ ‘কবিতা ও চিত্রের নিবিড় সম্পর্ক’ও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কেননা কবিতা ও চিত্রকলা কিংবা কবি ও শিল্পীর পারস্পরিক সম্পর্ক ও সাযুজ্যের ইতিহাস অত্যন্ত সুপ্রাচীন। কবিতার মাধ্যম শব্দ এবং চিত্রের উপকরণ রং। দুটো মাধ্যমেই অতীব নৈর্ব্যক্তিকতায় অনুভূতি ও চেতনার নিবিড় অভিনিবেশ ঘটে। কবির দৃষ্টিবদ্ধ চিত্রকল্প প্রকাশ পায় কবিতায় আর শিল্পীর দেখা চিত্ররূপ ফুটে ওঠে ক্যানভাসে। দুই মাধ্যমেরই চিত্রভাষ্য রয়েছে এবং রয়েছে দৃশ্যপট ও শিল্পশৈলীর প্রতিপাদন । কবির অনুভূতির রূপান্তর ঘটে শব্দে এবং শিল্পীর অনুভূতির প্রকাশ ঘটে ছবিতে। তাই তো পিকাসো বলেছিলেন, ‘কবিতা শিল্পকলারই পরিপূরক। যে কথা রঙে বলা যায় না, সেটা ভাষার অক্ষরে বলা সম্ভব।’
ড. মো. আব্দুল মতিনের প্রবন্ধ ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ: বাঙালির বহুমাত্রিক অর্জন’। তাই তো বলা যায়, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ রাজনীতির কবি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অমর সৃষ্টি। বাঙালি জাতির চিরঞ্জীব অনুপ্রেরণার এক মহাকাব্য। যে মহাকাব্যটি বাঙালির হাজার বছরের সংগ্রামের ধারা ও স্বাধীনতার লালিত স্বপ্ন থেকে উৎসারিত হয়েছে। ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখা যায়, একমাত্র বঙ্গবন্ধুর পক্ষেই এমন মহাকাব্যিক ভাষণ উচ্চারণ সম্ভব ছিল। কেননা তিনিই ছিলেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। ইতিহাস আর কাউকে সেই অথরিটি প্রদান করে না। পৃথিবীর ইতিহাসে সেরা রাজনৈতিক ভাষণের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের অনন্য সাধারণ ভাষণটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম।
কবি আবুল হাসান স্বল্পসময়ে আধুনিক কবি। তিনি পেশায় সাংবাদিক ছিলেন। তাঁর প্রকৃত নাম আবুল হোসেন মিয়া; সাহিত্যিক নাম আবুল হাসান। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ার বর্নি গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরের ঝনঝনিয়া গ্রামে। তিনি সত্তর দশকের গীতল কবি হিসাবেও জনপ্রিয়। ষাটের দশকের অন্যতম জনপ্রিয়, মেধাবী কবি-প্রতিভা আবুল হাসান। মাত্র ২৮ বছরের জীবনকাল। এর মধ্যে তাঁর কাছ থেকে পেয়েছি তিনটি কাব্যগ্রন্থ ও অগ্রন্থিত কিছু কবিতা। এ ছাড়াও রয়েছে গল্প ও কাব্যনাটক। মাত্র এক দশকের কাব্যসাধনায় তিনি আধুনিক বাংলার ইতিহাসে এক বিশিষ্ট স্থান অধিকার করেন। তার কবিতা নিয়ে প্রবন্ধ লিখেছেন ড. নিতাই কুমার ঘোষ। শিরোনাম ‘আবুল হাসানের কবিতা: চোখের পাতায় লেগে থাকা হিরণ্ময় বেদনা’।
শাফিক আফতাবের ‘বাংলা উপন্যাসের চার লেখক: সমাজ ও সমকালের রূপকার’ প্রবন্ধটি ষাটের দশকের শওকত আলী, সত্তর দশকের আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আশির দশকের মঞ্জু সরকার ও নব্বই দশকের রকিবুল হাসানকে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
মোহাম্মদ নূরুল হকের প্রবন্ধ ‘পোস্টমাস্টার ও বায়ু বহে পুরবৈয়াঁ: মিল-অমিলের সন্ধানে’। এ প্রবন্ধে লেখক বলতে চেয়েছেন, ছোটগল্পের বড় সুখ রাবীন্দ্রিক, বড় দুঃখও তাই। সাহিত্যের এই কনিষ্ঠ শাখার দিকে তাকালে রবীন্দ্র-আধিপত্যের দেখাই মেলে। সেই আধিপত্য আকাশের সমান যেমন বিপুল, তেমনি সমুদ্রের মতো গভীরও। এই বিশালতা-গভীরতার মাঝখানেই ছোটগল্পের বিস্তৃতি। রবীন্দ্র প্রভাবের কথা বলার সঙ্গত কারণ রয়েছে। সেই প্রভাব যেমন বিষয়ে, তেমনি কাহিনির গাঁথুনিতেও। উত্তর-রৈবিক অনেক ছোটগল্প লেখকের রচনায়ই রবীন্দ্র-ছায়া প্রচ্ছন্নভাবে পড়েছে। কেউ সেই ছায়ায় সচেতনভাবে নিজের ভুবন নির্মাণ করেছেন, কেউবা অবচেতনে আশ্রয় নিয়েছেন। এতে ছোটগল্পের সমৃদ্ধিই ঘটেছে। ক্ষতি কিছু হয়নি। এমন দাবির পেছনে দুটি গল্পের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। একটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পোস্টমাস্টার’, অন্যটি তাঁর সমসাময়িক লেখক চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বায়ু বহে পুরবৈয়াঁ’। রবীন্দ্র্রনাথের হাতে ছোটগল্পের যাত্রা বলেই হয়তো তাঁর সমসাময়িক লেখকেরাও তাঁরই রীতি গ্রহণ করেছেন। চারুচন্দ্রও তাই। উভয় গল্পেরই মূল বিষয় হৃদয়বৃত্তি। তবে, একটিতে অসম বয়সের হৃদয়াকুতি, অন্যটিতে বিসম শ্রেণিগত সমস্যা প্রকাশিত। উভয় গল্পে উচ্চবিত্তের নিশ্চিত চাকচিক্যময় জীবনের কাছে নিম্নবিত্তের পরাজয়। উভয় গল্পেই নিম্নবিত্তের নিষ্ফল আকুতি প্রকাশিত। তবে, সেই আকুতি কোনো গল্পের নিম্নবিত্তের প্রতিনিধিই মৌখিকভাবে প্রকাশ করে না। কেবল আচরণ দিয়ে বোঝায়।
এখানে গবেষণার যাবতীয় নিয়ম-পদ্ধতি মেনেই প্রতিটি প্রবন্ধ রচিত হয়। ফলে এনইউবির বাংলা বিভাগের এ জার্নালটি পাঠক ও গবেষকের অন্তরের তৃষ্ণা নিবারণ করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।
মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন লিখেছেন ‘নজরুলের কবিতা ও প্রবন্ধ : সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ’। প্রবন্ধটি বহুল চর্চিত একটি বিষয়কে নতুন আঙ্গিকে তুলে এনেছে। কাজী নজরুল ইসলামের অসাম্প্রদায়িক চেতনা সম্পর্কে সবারই কমবেশি জানা। ফলে প্রবন্ধটি আপাতদৃষ্টিতে কম গুরুত্বপূর্ণ মনে হলেও গবেষণাকর্মে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। কারণ এতে নজরুলের বিদ্রোহী সত্তার দার্শনিক দিক আলোচনা করা হয়েছে। একইভাবে আল মাকসুদের প্রবন্ধ ‘গীতাঞ্জলি ১৯১০: রবীন্দ্র কাব্যসত্তার মানসভূমি’ এবং ড. সেতু চট্টোপাধ্যায়ের ‘পদ্মানদীর মাঝি: রূপ-অরূপ অন্বেষণ’বহুল আলোচিত বিষয় বাংলা সাহিত্যের। আমরা জানি, রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি ও মানিকের পদ্মানদীর মাঝি ছোট-বড় সবার নখদর্পণে। তারপরও প্রবন্ধ দুটি বিষয়বৈচিত্র্যে পাঠককে আকৃষ্ট করবে বলে আশা করি।
জান্নাতুল যূথী তার প্রবন্ধ ‘ফোকলোর: বাংলা ও বাঙালির শেকড়সন্ধানী রূপভেদ’এ বলতে চেয়েছেন, কালের ধারাবাহিকতায় বিন্দু-বিন্দু জল জমে তা সিন্ধুর সৃষ্টি করেছে। এখনো অব্যাহত রয়েছে। বর্তমান নাগরিক জীবন থেকে বহুকাল আগে সেই অতীতের চিন্তা-ভাবনা ফোকলোরে স্থান পেয়ে বিচিত্র পরিবর্তনের মাধ্যমে আধুনিক যুগে এসে উপনীত হয়েছে। এর সঙ্গে অতীত জীবনের রূপটিও বহন করে এনেছে। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে লোকসংস্কৃতি জীবনাচরণ বদলে গেলেও শেকড় থেকে তা লুপ্ত হয়ে যায়নি। জীবনের বিচিত্র ধ্যান-ধারণাকে ঘিরেই এর ডালপালা গজিয়েছে। ক্রমাগত পরিবর্তন ও পুনরাবৃত্তির ভেতর দিয়ে তা পরিণামে একটা সামগ্রিক রূপ লাভ করেছে। যাকে আমরা একত্রে ফোকলোর নামে অভিহিত করছি।
সঞ্জিত সরকারের প্রবন্ধ ‘আধুনিক বাংলা কবিতায় মনসামঙ্গলের নতুন পাঠ’। এখানে আধুনিক কবিতায় মনসামঙ্গলের প্রভাবের কথা বলা হয়েছে। জীবনানন্দের কবিতা থেকে শুরু করে বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, অরুণ মিত্র ও জয় গোস্বামীর কবিতায় চাঁদ সদাগর ও লখিন্দরের অন্তরের সুর বেজে উঠেছে। ফলে গবেষণাকর্মটি পাঠক ও গবেষকদের নতুন কিছুর সন্ধান দিতে পারবে বলে মনে হয়। জার্নালের শেষ প্রবন্ধ রাহিমা আকতার বিথীর ‘শহীদ কাদরীর কবিতা: নিঃসঙ্গতার অভিজ্ঞান’। এখানে লেখক কবিতায় শহীদ কাদরীর নিঃসঙ্গতা তুলে এনেছেন। কেননা শহীদ কাদরী যাপিত জীবনের যাবতীয় অবক্ষয়-স্খলন-পতন ও বিষাদ-নৈরাশ্য, ক্ষোভ-ক্রোধ-নিঃসঙ্গতা আক্রান্ত সংবেদী কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। মাত্র চারটি কাব্যগ্রন্থ দিয়েই তিন স্বকীয় আসনটি নির্দিষ্ট করে নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। শহীদ কাদরীর নিঃসঙ্গতা সম্পর্কে জানতে প্রবন্ধটি বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি।
বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকের সাহিত্যপাতা, লিটল ম্যাগ কিংবা ওয়েবম্যাগের প্রবন্ধ-নিবন্ধ নয়; জার্নালে যেসব প্রবন্ধ স্থান পায়, সেগুলো সত্যিকারের গবেষণা হয়ে ওঠে। এখানে গবেষণার যাবতীয় নিয়ম-পদ্ধতি মেনেই প্রতিটি প্রবন্ধ রচিত হয়। ফলে এনইউবির বাংলা বিভাগের এ জার্নালটি পাঠক ও গবেষকের অন্তরের তৃষ্ণা নিবারণ করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। আমি জার্নালটির উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি। তবে মুদ্রণজনিত ত্রুটিগুলো ভবিষ্যতে আর চোখে পড়বে না বলে ভরসা রাখতে পারি সম্পাদকের ওপর। আমি জার্নালটির বহুল পাঠ ও প্রচার কামনা করছি।