একজন মানুষের ক’টি চোখ? দু’টি। কেউ কেউ চশমা ব্যবহার করে। দুষ্টামিচ্ছলে আমরা তাকে চারচোখা বলি। দুটি নয়, চাটি নয়, কারও ছয়টা চোখ থাকলেও তিনি দেখতে পাবেন না অনেক কিছুই। এই অনেক কিছুকে দেখতে হলে প্রয়োজন পড়ে অন্য এক চোখের। বোদ্ধাজন একে বলেন অন্তর্চক্ষু। বলে রাখা ভালো এ চোখের পাওয়ারেও ব্যক্তিভেদে তারতম্য রয়েছে। ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের জীবনবোধ ইত্যাদি ক্ষেত্রে কারও রয়েছে প্রখর দৃষ্টিশক্তি, কারও ক্ষীণ। আমাদের উদ্দিষ্ট ব্যক্তির চোখের পাওয়ার এক্ষেত্রে আশাব্যঞ্জক। তিনি সমাজ বা জীবনবোধকে যেভাবে দেখেন, তারই সুক্ষ্ম চিত্রায়ণ করেছেন গল্পের মাধ্যমে। এমন নিরীক্ষাধর্মী নয়টি গল্প নিয়ে ইতোমধ্যে আমাদের মধ্যে হাজির হয়েছেন গল্পকথক সাফি উল্লাহ্। অমর ২০১৬সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হয়েছে তার প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘সাত নম্বর বাস’।
এ তরুণ গল্পকারের বিশেষত্ব হলো, তিনি গল্প লেখা নয়, গল্প বলার চেষ্টা করেছেন। তার চারপাশে হাজারো গল্প ছড়ানো-ছিটানো। দু’চোখ খোলা রেখে তিনি কেবল সেগুলোকে চিত্রায়িত করতে থাকেন। নিরীক্ষার দূরদৃষ্টিতে লেখা ‘সাত নম্বর বাস’-এর মোটামুটি সব গল্পেই ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ জোগাতে পেরেছেন। যা সাধারণ পাঠককে যেমন আনন্দ দিতে দিতে টেনে শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাবে, তেমনি বোদ্ধা পাঠকের মনে রস জোগাবে। আর গল্প শেষে পাঠক কখনো আবেগাক্রান্ত হবে, কখনো ক্রোধান্বিত, কখনো সমাজ-জীবন নিয়ে গভীর ভাবনায় ডুব দেওয়ার মানসিক প্রস্তুতি পর্ব শেষ করতে পারবেন।
‘সাত নম্বর বাস’-এর নয়টি গল্পের আটটিতেই শহুরে যুবক শ্রেণীর জীবন বাস্তবতা চিত্রায়ণ করা হয়েছে। তাদের জীবন-অনুষঙ্গ ফেসবুক, সেলফি, চাকরির চিন্তা বা বেকার মানষ এমনকি হল ও মেসজীবন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ উপস্থাপনে সাফি উল্লাহ্ দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তার গল্প নিয়ে গুণী অনুবাদক ও সাহিত্য সমালোচক অধ্যাপক ফকরুল আলম সম্ভবত এ জায়গাটিই ধরেছেন এভাবে, ‘অনাকাঙ্ক্ষিতের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গি, ব্যাঙ্গাত্মক অবলোকন ও গল্পে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সরস মুহূর্তগুলোর মূল্যায়ন পাঠকরা করবেন। তিনি তরুণ-যুবকদের চেতনাবোধকে নাড়া দেওয়ার মতো আবহ সৃষ্টিতে সক্ষম।’
প্রথম গল্প ‘নিরীহ চোরের মামলা’তে তিনি দেখিয়েছেন আমাদের যুবক শ্রেণীর মধ্যে নিয়ম না মানার যে প্রবণতা, যদি নিয়ম-কানুন না থাকতো, তবে সে নিয়মহীন সমাজব্যবস্থা কেমন হতো? অনিয়মের পিঠে অনিয়ম চড়ে কী ধরনের বিড়ম্বনা তৈরি হতে পারে, সেই চিত্র এঁকে গল্পকার বলে দিয়েছেন, ‘অনিয়ন্ত্রিত স্বাধীনতার আনন্দ মেঘের আড়ালে ঢাকা পড়ে।’
দ্বিতীয় গল্প ‘পেঁয়াজু সেকশন’। উত্তর-আধুনিকতার সুন্দর উপস্থাপন। একটি ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিতে সুপারভাইজার হিসেবে চাকরি পায় সীমান্ত। পেঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, টিক্কা ইত্যাদির বানিজ্যিক উৎপাদন করে কোম্পনিটি। এ যুবক পেঁয়াজু সেকশন দেখভালের দায়িত্বে নিয়োজিত। উচ্চাসিত যুবক একদিন ফেসবুকে তার কোম্পানির এমডি লুৎফুন নাহারকে পেয়ে যায় ও কথা বলার চেষ্টা করে। পিএইচডির জন্য ম্যানচেস্টারে থাকা এমডি তার সঙ্গে নিঃসঙ্গ সময় কাটাতে চায় অথচ সময় ঘুরলে তার ভিন্নরূপের যে বর্ণনা পাওয়া যায়, তা আধুনিকতার বিষণ্ন মানুষের ছবি হাজির করে। আবার তেমনি উত্তর-আধুনিকাতাবাদের অনুষঙ্গ মিডিয়ার বদৌলতে নেতিবাচক সংবাদও কী ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, তার একটি উজ্বল দৃষ্টান্ত পেঁয়াজু সেকশন গল্প।
‘স্মৃতির ভাঙা আয়না’ তৃতীয় গল্প। একজন উচ্চতর শিক্ষিত যুবক, যার সব সার্টিফিকেট পোড়ালে, গল্পকারের ভাষায়, এক শীতের সকাল অনায়াসে পার হয়ে যায় কিন্তু মেলে না একটি চাকরি। কারণ আমাদের জানা নেই টাকা, নেই ক্ষমতার দাপট বা মামার পাওয়ার। অগত্য একটি মুদি দোকানের চাকরিতে তুষ্ট থাকতে হচ্ছে। এ যুবকের মনে এক গুপ্ত বাসনা আছে, তার নিজস্ব একটা আয়না থাকবে। সুযোগে সে আয়নায় দেখবে আপন বদন। কিন্তু পরিস্থিতি তাকে সেই আয়নার শখ পূরণের আনুকুল্য দেয় না। সেলুনের ছেলেদের দেখে হিংসুক হয় সে; আহা! যদি চুল কাটার অভিজ্ঞতা থাকতো, তবে আয়না দেখার অবারিত সুযোগ মিলত। শিক্ষিত এ যুবকের জানা নেই সেলুনবিদ্যা। এ যুবক, আবু অরণ্য তালুকদার। নামে যার আভিজাত্য প্রকাশ পেলেও চেহারা দেখার চার ইঞ্চি আয়না ছাড়া মেসে বাথরুমের আয়নাও নেই। ঘটনার মারপ্যাঁচে তার বস মুদি দোকানমালিক মাসুদের মুখে শুনতে পেল, কিছুদিনের মধ্যে বাবা হতে চলছেন তিনি। মালিকের কথা শুনে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলে, অনাগত অতিথির নাম সে রাখবে। কিন্তু মাসুদ সাহেবের মনে তখন অন্য ঝড়। কারণ সে জানে, বউয়ের নয় তার নিজের সমস্যার কারণে কখনো বাবা হতে পারবেন না তিনি। তবে এ সন্তান কার! তালুকদারের এমন উচ্ছ্বাস দেখে সন্দেহ নিশ্চিত হয়ে গেলো তালুকদারই তবে সেই নাটের গুরু! হঠাৎ একদিন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে কিন্তু সে জানে না কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। তবে তালুকদারকে জেলহাজতে যে কক্ষে রাখা হলো, সেখানে আয়নার বেষ্টনী দেখে আবু অরণ্য তালুকদার কিছুটা সুখ পেলো বটে। কিন্তু এই বন্ধ ঘরে তার দম আটকে আসে। হতাশ তালুকদার একদিন সিদ্ধান্ত নেয় সে আয়নায় লাফিয়ে পড়ে আত্ম-হনন করবে। এভাবে সামাজিক বাস্তবতাকে চিত্রিত করেন সাফি উল্লাহ।
চতুর্থ গল্প ‘তানির সাথে পার্কে’। একজন হতদরিদ্র ঢোল বাদক। যার মেয়ে সদ্য কৈশোরে পা দিয়েছে। একদিন বাবার সঙ্গে পার্কে বেড়াতে যায় মেয়ে। যেখানে বাবার হাত ধরে একটি টিনএজার হাঁটতে গেলে নানা রকমের তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়।বিচ্ছিরি গালি, উত্তক্ততা ইত্যাদির সম্মুখীন হতে হয়। আমাদের কাছে মনে হয়েছে এই গল্পটি পাঠকমনে আলোড়ন তুলবে।
পঞ্চম গল্প ‘বাস্তব অঙ্ক’। সদ্য চাকরিপ্রাপ্ত এক যুবক অপবাদে চাকরি চলে যাওয়ায় যার বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। শেষ সম্বল তার চাকরিটুকু হারিয়ে যাওয়ায় ঠাঁই হয় না কোথাও। হতাশ যুবক ফুটপাতে রাত কাটাতে বাধ্য হয়। হঠাৎ দেখা হয়ে যায় তানিয়ার সঙ্গে। চাকরি পাওয়ার পর যার সঙ্গে বিয়ের কথা-বার্তা চলছিল। এভাবে বাড়তে থাকে গল্পের শরীর। মেসে মাসিক খাবার টাকা ও ভাড়া দিতে না পারায় কিভাবে সবার চক্ষুশূল হতে হয়েছে, তার বর্ণনা আমাদের শোকাতুর করে দেয়। যুবকের শেষ সম্বল ছিল একটি মোবাইল, যার মাধ্যমে মায়ের একবেলা খোঁজ নেওয়া চলতো। কিন্তু রিচার্জের জন্য নেই পকেটে টাকা। ছিনতাইয়ের কবলে সেই মোবাইলটিও হারায় যুবক হাসু। অন্যের বিপদে আমাদের সহযোগিতাহীন মানসিকতার সমাজকে সাফি উল্লাহ্ এভাবেই চিত্রায়িত করেছেন।
‘খেলা বনাম বাস্তবতা’ ষষ্ঠ গল্প। আমাদের শহুরে সংযোগ ভাসমান পতিতাবৃত্তি। তাদের ঘিরে আবার কিছু চক্র ধান্ধায় লিপ্ত থাকে। মিডিয়ায় আমরা এসব সংবাদ হরহামেশাই দেখি-শুনি। সাফি উল্লাহ্ জীবন বাস্তবতার গ্যাঁড়াকলে এসব নিম্মবৃত্তের জীবন উপস্থাপন করেছেন। জীবন যে শৈশবের বউতোলা খেলা নয়, সে চিত্র পাওয়া যায় এ গল্পে। এ গল্পে তিনি স্ল্যাংয়ের শৈল্পিক উপস্থাপন করেছেন।
সাত নম্বর গল্প ‘স্বীকারোক্তি’। পরাবাস্তবতার উদাহরণ হতে পারে। সমসাময়িক রাজনৈতিক অবস্থার একটা বর্ণনা পাওয়া যায়। গল্পের নায়ক লাবু, যে কিছুটা পাগলাটে স্বভাবের। একদিন ভোরে মর্নিংওয়াকে বের হয়েছে। একসমময় কুকুরের ভয়ে দৌড়াতে থাকে। কিন্তু পুলিশ ইতোপূর্বে সেখানে ঘটে যাওয়া পিকেটার ভেবে তাকে গ্রেপ্তার করে। যদিও সে জানে না- কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। বইপড়ায় ঝোঁক এই লাবুর। জেলের বাইরে খাওয়া-পরার নিশ্চয়তা নেই, অথচ জেলে এগুলোর সঙ্গে পাচ্ছে বই পড়ার অঢেল সময়। তবু মন বসে না তার। কারণ এসবের পরও সে চায় মুক্তজীবন। এর মধ্য দিয়ে গল্পকার আমাদের চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার অবসান চেয়েছেন হয়তো। সার্বিক উন্নয়ন, সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আঁচ করা যায় গল্পে।
‘সাত নম্বর বাসের’ আট নম্বর গল্প ‘দিনের অন্ধকার’। গল্পের শরীরবৃদ্ধির সঙ্গে-সঙ্গে হাস্যরস জোগাচ্ছে। এটিই এই বইয়ের একমাত্র মফস্বল অঞ্চলের গল্প হলেও যুবকদের আধুনিক যোগাযোগের অনুষঙ্গ ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি থাকছে। পাশাপাশি গ্রামের চায়ের দোকানে সেই চিরাচরিত আড্ডায় গ্রামের প্রতিটি বিষয়ের চুলচেরা বিশ্লেষণ পাই আমরা। অহেতুক কোনো বিষয়ও গ্রামের মানুষগুলোর আলোচ্য বিষয় হয়ে কী ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তা দেখতে পাই। অথচ গল্পের মূল বিষয় গল্পের নায়ক সাজিদের ছোটবোনকে নিয়ে। যে ক্লাসের ফাস্টগার্ল। কিন্তু সেই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষকের মেয়েও ফাস্ট হওয়ার কারণে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম হয়। এ ধরনের পরিস্থিতি বোধ হয় আমাদের দেশের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেখা যায়। অথচ সাফি উল্লাহ্ যখন এটিকে গল্পে চিত্রায়িত করেছে তখন দারুণ রস জোগাচ্ছে সেটি।
‘সাত নম্বর বাস’ সর্বশেষ গল্প। উচ্চশিক্ষারত কোনো এক বিশ্ববিদ্যালয়ের যুবকের গল্প। হল পলিটিকস, ঢাকার নৈমিত্তিক জীবনাচার আর দারিদ্র্যের সঙ্গে যার লড়াই করে চলতে হয়। তবু যখন তার কাছে কেউ হাত পাতে, তখন তাকে হাসি মুখে সাহায্য করতে ভোলে না যুবক। এই ‘সাত নম্বর বাস’ আমাদের দেশের মিডল ক্লাস সোসাইটির ইঙ্গিত। ঠাসাঠাসি সেই বাসে চড়ে দু’চোখ বাইরে রাখতেই কত বিচিত্র পৃথিবী ভেসে ওঠে! এ গল্পের শেষ লাইন তথা বইয়ের শেষ লাইন উদ্ধৃত করার লোভ সামলাতে পারছি না। ‘আসাদ অ্যাভিনিউ থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স কাঁদতে কাঁদতে এসে মিশে গেল মিরপুর রোডের গাড়ি বহরে।’ গল্পটির ঘটনার পরম্পরায় কি চমৎকার বর্ণনা! হতদরিদ্র ভিক্ষুকদের চোখে চাকচিক্যময় যে জগৎ, সে জগতের ভেতরে তো অসুখ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে আধুনিক নগরগুলোর প্রাণ-কোলাহলে। অথচ নেই সেখানে অনাবিল শান্তি। এ চাকচিক্য আর বিলাসিতার দিকে আপাত দরিদ্রজন যে প্রত্যাশা করছে, সেই চাহিদা যে পূরণ করতে অক্ষম নগর সভ্যতা। তাই হয়তো গল্পকার নির্দেশ করতে চেয়েছেন।
সাত নম্বর বাস গ্রন্থের নামের দিকে লক্ষ করলে বোঝা যায়, গল্পকারের দৃষ্টি সমাজের আমাদের মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নমধ্যবিত্তের মধ্যেই ঘূর্ণায়মান। তাদের সংকট, জীবনাচার বা বচনভঙ্গিই সাফি উল্লাহ্ ধরতে চেয়েছেন। যদিও গল্পগুলোর নামকরণে তিনি আরও সচেতন থাকতে পারতেন। শব্দ চয়নে তার দৃষ্টি সচরাচর আমাদের অপরিচিত শব্দের তুলনায় পরিচিত শব্দর দিকে ছিল। সাধারণ পাঠকের জন্য এটি সুখকর বটে।
এক লাইনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার প্রয়োজন মনে করছি, গল্পগুলোয় আধুনিক-উত্তর চিন্তাধারায় গল্প বলার যে প্যাটার্ন বা আঙ্গিক ধরা পড়েছে, তা সাফি উল্লাহ্কে ভিন্নভাবে চিন্তা করার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই জন্যই সমসাময়িক অন্য গল্পলেখকদের তুলনায় তাকে আলাদা করে চিহ্নিত করার প্রয়াস পাই আমরা। তার প্রথম বইয়েই ভিন্ন আঙ্গিকে গল্প বলার একটা পূর্বভাস পাই আমরা। অন্যভাবে বললে, একটি গোলাপ ফোটার পূর্বাভাস বলা যেতে পারে।
তার গল্প শুরু করার ধরন ম্যাজিকাল। হঠাৎই শুরু করেন গল্প। এরপর নিবিড় মায়ায় আবিষ্ট করে পাঠককে প্রবেশ করান মূল গল্পে। আর গল্প পড়ার আগের পাঠক ও পরের পাঠকের মধ্যে পার্থক্য তৈরির শক্তি ‘সাত নম্বর বাসে’ আছে। তিনি কথোপকথনের চেয়ে নেরেটিভওয়েতে গল্প বলার ক্ষমতা রাখেন। নিঃস্বন্দেহে এটি একজন গল্পকারের জন্য পজেটিভ দিকি। অধ্যাপক ফকরুল আলম তো স্পষ্ট করে লিখেই দিয়েছেন, ‘এ গল্পগুলো থেকে বোঝা যায়, বড় গল্প লেখার তার সামর্থ্য রয়েছে।’
সাত নম্বর বাস
লেখক: সাফি উল্লাহ্
প্রকাশক: আদর্শ পাবলিশার্স
প্রকাশকাল: ফেব্রুয়ারি ২০১৬
মূল্য: ১১০টাকা