‘ডুমুরের ফুল’ মানে অদৃশ্য বস্তু। ফুল ছাড়াই জন্মে যে ফল, তা-ই ডুমুর। যার আয়ুষ্কাল খুবই অল্প। সবজি হিসেবে সুস্বাদু। ডুমুর পেকে গেলে পঁচে যায়। তাই ডুমুরের আয়ু বেশি দিনের নয়। প্রবাদে ‘কই মাছের প্রাণ’ বলতে বোঝায়—যা সহজে মরে না। আর ‘পুঁটি মাছের প্রাণ’ মানে সহজেই মরে যায়। তবে ইলিশ মাছের প্রাণও কিন্তু চোখের পলকে শেষ হয়। জল থেকে ডাঙায় তুললেই প্রাণপাখি ফুড়ুৎ। তবে ডুমুরের আয়ু কেমন হতে পারে? ডুমুরের জন্ম হলো বৃক্ষের বুক চিরে। ডুমুর জন্মের পর সবুজ হলো ক্ষণিকে। দেখতে দেখতে আবার হলুদ। তারপর বৃন্তচ্যুত। এই তো আয়ু। মাত্র মাসখানেকের ব্যাপার।
মানুষের আয়ু কি দীর্ঘ? হতে পারে। আবার না-ও হতে পারে। মানবের আয়ুর তো গ্যারান্টি নেই। কচু পাতার জল যেমন। এই আছে, এই নেই। এমন অনিশ্চয়তা নিয়েই মানবের বেঁচে থাকা। মানুষের যাবতীয় সৃষ্টিকর্ম-ধ্বংসযজ্ঞ, প্রেম-অপ্রেম, সফলতা-ব্যর্থতা, হাসি-কান্না, আশা-হতাশা সবই চলতে থাকে এরই ধারাবাহিকতায়। তাই কবি এখানে ‘ডুমুরের আয়ু’ কথাটি প্রতীকী হিসেবেই ব্যবহার করেছেন। মানবজীবন এই ডুমুরের মতো। এর বেশি কিছু নয়।
বলছিলাম কবি শামীম হোসেনের কাব্যগ্রন্থ ‘ডুমুরের আয়ু’র কথা। বইটি এ বছর বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে। এতে মোট ৫৭টি কবিতা স্থান পেয়েছে। একদিন আড্ডায় কথা হচ্ছিল ‘ডুমুরের আয়ু’ নিয়ে। কথা হচ্ছিল এর নির্মাণ, বিষয়বৈচিত্র্য, নামকরণ ইত্যাদি বিষয়ে। সে আলোচনার সারমর্ম হিসেবে আমি বলতে পারি—শামীম হোসেনের কাব্যগ্রন্থটি পাঠক পড়ছেন। ইতোমধ্যে চারিদিকে ছড়িয়েও পড়েছে। ফলে অন্য সব কবিতার ঈর্ষার কারণ হতেও পারে। সুতরাং ডুমুরের আয়ু ক্ষণিকের হলেও কবিতায় তা অনন্ত যৌবনা।
তাঁর কবিতায় প্রাচীন আবহ পাঠকের মন কাড়ে। একেবারে মাটিমগ্ন কবিতা। কবিতায় নদী-জল-প্রকৃতি এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। অন্তর্নিহিত ক্ষোভ-হতাশা উৎসারিত পঙ্ক্তিমালা পাঠককে বিমোহিত করে। অনিশ্চয়তার দোলাচলে মানুষ তবু আশ্রয় খোঁজে। ডুমুরের মতোই মানুষের জীবন। ডুমুরের আয়ু যেমন বেশিদিনের নয়; মানুষের জীবন কখনো কখনো তার চেয়েও কম।
শামীম হোসেনের কবিতায় মাটির ঘ্রাণ, পাতাদের ঝরে পড়া, পাখিদের কুঞ্জন সবই ধরা পড়ে। কবিতার দেয়ালে ইতিহাস, গ্রামীণ আবহ, স্মৃতিকাতরতা উঠে আসে পরম মমতায়। কবিতর স্থান-কাল-পাত্র প্রাচীন হলেও সমসাময়িক আবেদন তৈরি করে অবচেতন মনে। কেননা ‘ডুমুরের আয়ু’র কবিতাগুলো বিষয়বৈচিত্র্যে অনবদ্য। যেন ভাব ও অভাবের সম্মিলন। ভালো লাগার মুহূর্ত তৈরি করার ক্ষমতা রাখে।
কবির প্রথম কবিতায়ই সে চিত্র চোখে পড়ে। অনবদ্য এক গ্রাম উঠে আসে কবিতায়। বাহ্যিক দৃষ্টিতে মনোরম। অন্তর্দৃষ্টিতেও মর্মভেদী নিঃসন্দেহে। তাই তো কবি বলেন—
এ গ্রামে মধু, ঠোঁটে নয়—
পায়ে লেগে থাকে!
(মধুগ্রাম)
এটি বাঁশফুল খোঁপায় গোঁজা একটি গ্রাম। যেখানে রমণীরা মাটি দিয়ে চুল ধোয়। এমন স্মৃতি মুহূর্তেই পাঠককে তার নিজগ্রামে পৌঁছে দেয় অবলীলায়।
শামীমের কবিতার দর্শন আমাদের বিমোহিত করে। সহজ-সরল একটি বিষয়কে কেমন তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে অনেক বেশি দুর্বোধ্য করে তুলতে পারে। কবি বলেন—
নগ্ন হওয়ার আগে পোশাক পরতে হয়!
কিংবা অন্যত্র বলেন—
পোশাক পরার আগে নগ্ন হতে হয়!
(দূতিকা)
একই দার্শনিক তত্ত্ব তাঁর ‘যাত্রা’ কবিতায়। একই সুরে কবি গেয়ে ওঠেন—
পাহাড়ে ওঠার আগে জঙ্গলে যেতে হয়
কিংবা কবিতার শেষের দিকে আবার বলেন—
জঙ্গলে যাওয়ার আগে পা থাকা লাগে!
বিষয়গুলো আমাদের ভাবিয়ে তুলতে পারে এবং ভাবায়ও। এর ব্যাখ্যা হয়তো আমাদের প্রত্যেকের কাছেই আছে। দিতেও পারি। কিন্তু ব্যাখ্যার চেয়ে কবির মুখনিঃসৃত কাব্যধ্বনিই বেশি আলোড়িত করে। পুলকিত হই অনায়াসেই।
কবি শামীম হোসেনের উপমার মাধুর্য পাঠককে কল্পজগতে টেনে নিতে পারে। ভিন্ন একটি আবহ তৈরি করতে পারে। কেননা কবি বলেন—
সুলতানের দুচোখে ভেসে ওঠে চাঁদের স্তন!
(সুদূর ইতিহাস)
অথবা কবি যখন বলেন—
আর সমস্ত দেয়ালজুড়ে তখন
ঘড়িটি শুধু একা একা জাগে!
(মেয়ে ও টিকটিকি)
দেয়ালজুড়ে শুধু ঘড়িই জাগে না। জেগে থাকি আমরাও। জীবনজুড়েও আমাদের জেগে থাকা। কিছু ছুঁয়ে দেখার তীব্র আকাঙ্ক্ষা। কাছে পাবার সুতীব্র বাসনা। কবি আরও বলেন—
সঙ্গমরাত্রি থেকে ঝরে পড়ে ভোরের আলাপ
(মুঠোসঙ্গম)
যৌনতাড়িত জীবনের ভিন্ন এক অনুষঙ্গ মুঠোফোন। মুঠোফোনেও এখন রাগমোচন হয়। ফোনালাপে যৌনতৃপ্তি খোঁজে মানুষ। সে বোধ বা ব্যাধিই তুলে ধরেছেন কবি। অথচ কি সাবলীল বাক্যালাপ!
তাঁর কবিতায় বাগাড়ম্বরতা নেই। অল্প কথায় অনেক কিছু বলার প্রয়াস রয়েছে। ছোট ছোট কবিতার শরীরজুড়ে বিশাল বিশাল আকাঙ্ক্ষা ও অনুভূতি জন্ম নেয়।
‘ঈশ্বরীপুরের সন্ধ্যায়’ কবিতায় কবি দূর অন্ধকারে সাপের চোখে বসে থাকেন। কবি বলেন—
‘রুগ্ণ বিছানায় যখন এলিয়ে দিচ্ছ প্রাকৃতিক শরীর—অবসন্ন স্যাঁতস্যাঁতে বিষাদে তোমার ভরে উঠছে মন! দেখো আমাদের জাফলং গল্পটা কিন্তু শেষ হয়নি—কাঁকড়ার দাঁত নিয়ে গবেষণা এখনো বাকি। সব পাখি কি নদীর কিনারে যায়? যতটা খাদের গভীরে ঘুটঘুটে আঁধারে আমরা দাঁড়িয়ে থাকি!
কবি সমূহ-যাপনের ভার নিয়ে নৌকার গলুই ধরে পাড়ি দিচ্ছেন শরীরের পথ। তিনি যখন ডুমুরের কথা বলেন; তখন ভেসে ওঠে মাকড়ির দুল! সোনালুর ডাল ধরে পাখা নাড়ে বিরহী কোকিল। কবি আরোগ্য হাওয়ার ভেতর তৈরি করেন পরাবাস্তব পথ। সবশেষে তিনি ঈশ্বরীপুরের সন্ধ্যায় পুনরায় শিশু হয়ে ওঠেন।
শামীম হোসেনের কবিতায় শব্দের গাম্ভীর্য নেই। বাহুল্য বা আতিশয্য নেই। তবু আচানক জেগে ওঠে মর্মভেদী আকাঙ্ক্ষা। নিছক কাব্যালঙ্কার নয়, সুসজ্জিত কাব্যরমণী সাজিয়ে নেন অলৌকিক হাতের জাদুতে।
কবি অনায়াসে বলতে পারেন—
সেই এক তরমুজের বন—লালরস রক্তবর্ণ চোখে শুয়ে আছে। উড়ে উড়ে জাঁহাবাজ পাখি ঠোঁটে ধরে কালো বিড়ালের দাঁত—পার হচ্ছে শান্ত নদী। আমাদের তৃষ্ণা মেটানো পথ—ছোট হতে হতে পকেটে ঢুকেছে। মুগ্ধতার গাছজুড়ে ফুটেছে মায়াবতী ফুল।
(এ রাত ডানার হলে)
কিংবা যখন বলেন—
‘সমুদ্রে বাতাস হলে নড়ে ওঠে আকাশের চাঁদ!—এ ব্যাখ্যা বাসি ভেবে চোখভর্তি জোছনা নিয়ে হাঁটি। পাতা কুড়ানো রাতে গ্রামে গ্রামে জ্বলে ওঠে কুয়াশার বাতি। ভাপ ওঠা ভাতের মতো দুর্লভ কিছু শ্রুতি কানে কানে বলে যায় হাওয়াদের পরি।
(এ রাত ডানার হলে)
সবশেষে কবি বলেন, ‘এ রাত ডানার হলে ওড়ার বাসনা আমি মনে পুষে রাখি!’ মানুষের হৃদয়জুড়ে কত কিছুই না খেলা করে। চোখের সামনে প্রিয় কিছু দৃশ্যমান হলে হৃদয় নেচে ওঠে। তবুও কখনো কখনো আমাদের আকাঙ্ক্ষা অপূর্ণই থেকে যায়।
‘ডুমুরের আয়ু’ কাব্যগ্রন্থে কবি চিরচেনা গ্রামীণ জনপদ, কৃষি নির্ভর অঞ্চল, সে অঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ছবি এঁকেছেন। কৃষকের হাতের আঙুলও বিশিষ্ট হয়ে উঠেছে তাঁর কবিতায়। কবি বলেছেন—
চোখের খুব কাছে এসে
খুলে দিলে আমার দুচোখ
পাগলও পালক চেনে
তুমি কেন পলক বোঝো না!’
কবিতার শেষের দিকে এসে বলছেন—
‘কী এমন বার্তা লুকিয়ে ছিল—
বসন্তের চতুর বাহক!বলতে পারো দৃশ্যের বিপরীতে কখন—
ছুঁয়েছিল ধানপোঁতা হাতের আঙুল!’
(ধানপোঁতা হাতের আঙুল)
প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় কবির সব অনুভূতি। আবেগের নিস্তরঙ্গ ফেনায় বুদ্বুদ ওঠে। শিমুলগাছের বৈশিষ্ট্যও অন্যরকম মাধুর্য নিয়ে ধরা দেয় কবিতায়। কবি বলতে চান—
একটা শিমুলগাছ একা ভিজে যায়!
আর দূরে রিকশাবন্দি যুগল মেঘের
কাতর চোখ বেয়ে—অঝোর ধারার মতো
ফোঁটা ফোঁটা জল ঝরে যায়—
প্রণয়ের মতো গভীর জলমগ্ন বরষায়।
(শিমুলগাছ)
কবি শামীম হোসেনের কবিতায় গ্রামঘনিষ্ঠ বিষয়গুলো বেশি মাত্রায় চোখে পড়ার মতো। তাঁর উপমায়, শব্দ চয়নে, ভাব নির্মাণে, বাক্য বিনিময়ে গ্রামের সহজাত শব্দগুলো একের পর একের সারিবদ্ধ উটের মতো দাঁড়িয়ে যায়। কবি বলেন—
‘ঘাসফুলে জমে থাকে শীতের শিশির
আলোর চুমুতে মুছে যায় বেদনার রঙ।
(ঘাসসূত্র)
শামীমের কবিতায় শৈশবের স্মৃতিও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। স্মরণ করিয়ে দেয় স্কুলের ঘণ্টা। শৈশব এক সময় বড় হয়ে ওঠে। চশমার ফ্রেম হয়ে ওঠে মোটা। হাতের তালুতে থাকে কুচকানো ভাব। তবুও প্রত্যেকটি মানুষ কী যেন খুঁজে বেড়ান। আবিষ্কার করতে চান কিছু। কবি তাই বলেন—
স্কুলঘণ্টার সুরে যে শৈশব বড় হয়ে গেছে
মোটা তার চশমার ফ্রেম—হাতের তালুতে কুচকানো ভাব।
মাটি ও মায়া লুকানো সকাল
খোঁজ করে বিজ্ঞানীর চোখ।
(নীল দিগন্তে লাল ঘোড়া)
কোনো কোনো চিন্তা কবিকে সবসময় জাগ্রত করে রাখে। সারারাত কোনো গন্ধ খোঁজেন কবি। বুকের কাছে কিছুর উপস্থিতি টের পান তিনি। হাওয়ার ভেতর লুকিয়ে থাকেন কবির প্রিয়জন। কবির ভাষায় তাই বলতে হয়—
টেবিল-বাতির আলো জ্বালিয়ে রাখো
সারা রাত্রিময়—গোলাপ জলের গন্ধ
থেকে থেকে বুকের কাছে বয়—
হাওয়ার ভেতর তুমিই লুকিয়ে থাকো।
(অনুচিন্তা)
কবির তাঁর নাম কবিতায় মাটির শরীর, বিস্তীর্ণ মাঠ, গাছে গাছে ডুমুর উচ্চকিত হয়ে উঠেছে। প্রত্যেকটি মানুষ কত কিছুই না করে। তারা অমরত্ব পেতে চায়। অনন্তকাল বেঁচে থাকতে চায়। কত সংগ্রাম, কত প্রচেষ্টার ভেতর দিয়ে তার সময় অতিবাহিত করে। লাটিমের মতো মাঠে মাঠে ঘুরে ঘুরে কিছু খুঁজে বেড়ায়। কিছুকে অবলম্বন করেই সে আকড়ে ধরতে চায় মাটির শরীর। অথচ সেই গ্রামেই একসময় জ্বলে ওঠে তার প্রিয় মাটির শরীর। ডুমুরের আয়ুর মতোই যেন মানুষের আয়ু। ক্ষণস্থায়ী জীবনে আমরা আসলেই সেই ডুমুর। সেটাই স্মরণ করিয়ে দেয় তাঁর কবিতা। কবি বলেন—
চোখ খুলে লাটিমের মতো ঘুরছে মাঠে
গাছে গাছে ফুরিয়ে যাচ্ছে ডুমুরের আয়ু
আগুনের স্বনির্মিত পথে পায়ে পায়ে দূর—
কোনো গ্রামে পুড়ছে ওই মাটির শরীর।
(ডুমুরের আয়ু)
তাঁর কোনো কোনো কবিতা মনে হয় একেকটা গল্প। যেন কাব্যিক সুরে একটা নাতিদীর্ঘ গল্পই বলে গেলেন কবি। গদ্য কবিতার এসময়ে এসে মনে হয়, তিনি কবি হলেও গল্প নির্মাণে যথেষ্ট বাহাদুরি দেখাতে পারতেন। যেহেতু দীর্ঘ একটি গল্পকে ছোট এক কবিতার ফ্রেমে বন্দি করার কৃতিত্ব কেবল মুক্তক ছন্দে কবিতা লেখার কারণেই সম্ভব হয়। কবি তার গল্প বলে যান এভাবে-
সে বাড়ি অনেক দূর—দিনাজপুর। হাওয়ার আঁকশিতে ধরে আনি সহজিয়া সুর। মাটির জাহাজ হলে জলে ভেঙে যায়—ধূলি ও তুলির আঁচড় মুছে দেয় কলিজার কালি। নদীপথে পায়ে পায়ে হেঁটে গেলে ছাতিমগাছ—কারো কারো চোখ কপালে ওঠে দেখে নেয় যমের দুয়ার! ইতিহাসে কলাপাতা আছে তাই ধানপাতায় মুড়িয়ে রাখি গোপন আনাজ।
(ছায়াগমন)
কবি শামীম হোসেনের দীর্ঘ সীসৃক্ষার ফসল এই ‘ডুমুরের আয়ু’। কবিতায় তিনি মিতভাষী। তবে ব্যঞ্জনায় বাচাল। এমনকী কম খাবারে অধিক স্বাদ এবং ক্ষুধা নিবৃত্ত করার ক্ষমতা তাঁর রয়েছে। ডুমুরের আয়ু ক্ষণিকের হলেও তাঁর কাব্যগ্রন্থটি আপন মহিমায় সমুজ্জ্বল হয়ে উঠবে। কবিকে দান করবে অমরত্বের প্রত্যাশা। গ্রন্থটির বহুল পাঠ এবং আন্তরিক অনুধাবন প্রত্যাশা করতেই পারি।
ডুমুরের আয়ু
কবি: শামীম হোসেন
প্রকাশনী: প্লাটফর্ম
মূল্য: ১৬০ টাকা
প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ।