Twin Gloom
The morning-breeze touched your soft arm, midday sun silently,
Your hair spreads melancholia widow-song, violin tuned sad song;
A helpless red ochre vaishnaba wrapper looking for clay-face at river bank in twilight
His eyes on the left side the forest.
By the magical music you have sketch the face of day and night,
Has one seen that silver sky is a loving place of the wildfire doe?
I am a man flying by desire and burning swallow all the gloom
And remain the moon-light tune and hum—and forget those paths of lightening time.
As a sun-burnt scarecrow forgetting the pain of night, think by standing alone,
In the north-west point the cloud-stream,
On your wings pileup twin-gloom in Ashar
The burning Furnace
Your scarf is fluttering the sky— lustre of water in the Milky way or wings of magical sunshine,
and stand before me a spinning top.
The Radhachura-bird will be colored by evening-rad.
Don’t you know — a plunged is not silent? Crematorium is not crying. The death is a unknown pleasure-bird.
The sky knows the star. And the sunburnt pigeon of river knows him. Has one covered me? Then some piece of
morning, flying bird is in your window.
No condition, no self-interest and not any gold coin
Life is morning-stream, the bankrupt moon- red and blue burning furnace- is a fire-house.
The Boul-sick
In market-place
. Field
And road
The night of Kartik;
Cutting -love- and love-cutting is trickling from the stomach
of darkness.
At a paradox you are sewing ocean-like world by needle
Sketching finest dream, surging up a swinging boat.
After the drunkard night the anchor moves; crossing boat seating on the boat-prow.
Then rings the dewy night, fresh khoi, half-moon- sister’s nose-ring
In illusion the shadow of absconder kiss floating to come
Like a golden sweet
Looking for your location the Baul-sick goes to temple— milk-maid’s home.
Translated by Qazy Mohammad Ashraf
যমজ আঁধার ও অন্যান্য ॥ মুহাম্মাদ আমানুল্লাহ
যমজআঁধার
তোমার কোমল হাত ছুঁয়ে গেছে ভোরের বাতাস, দুপুরের রোদ—সন্তর্পণে একা,
তোমার অলকদাম ছড়িয়েছে বৈধব্য বিষাদ গান, বেহালা বিজনসুর;
বিপন্নবৈষ্ণব এক গেরুয়া আঁচল তার খুঁজে ফিরে মৃত্তিকার মুখ—সায়াহ্নে নদীর
তীর দূর অরণ্যের বাঁয়ে দুই চোখ তার।
কী মধুর সুরে যাদুর ছোঁয়ায় এঁকে গেছো তুমি দিন ও রাতের মুখ, কেউ কি দেখেছে
এই রুপোর চাঁদোয়া—বনপোড়া হরিণীর আদিমঅভিসার!
আমিও মানুষ—ইচ্ছের ফানুসে উড়ে আর পুড়ে আঁধারের সবটুকু গিলে গিলে খাই;
রেখে যাই জোছনার শিস আর সুর—ভুলে যাই যতো পথ—পিদিমপ্রহর।
রাতের বেদনা ভুলে নীরবে দাঁড়িয়ে ভাবো রোদপোড়া কাকতাড়–য়া একা; ঈষাণে
মেঘের নদী, তোমার ডানায় জমে ঘোর আষাঢ়ের যমজআঁধার।
উজালা হাপর
দূরের আকাশে তোমার আঁচল ওড়ে—জলের জৌলুশে ছায়াপথে অথবা মায়াবী রোদের ডানায়;
লাটিমের মতো ঘুরে ঘুরে আমার সমুখে দাঁড়ায়; বিকেল আবিরে রাঙে রাধাচূড়া পাখি।
তুমি কি জানো না হায়—মগ্ন নীরবতা নয়, শ্মশান মাতম নয়, মৃত্যু এক অচেনা অধীর সুখপাখি;
আকাশ নক্ষত্র চিনে, জানে তাকে রোদপোড়া দূর দরিয়ার গাঙকবুতর। আমাকে আড়াল করে কেউ কি
রেখেছে তবে কয়েক টুকরো ভোর, বিহঙ্গ উড়াল তোমার জানালা পাশে!
শর্ত নয়, স্বার্থ নয়, নয় কোন সোনার মোহর—
জীবন ভোরের নদী, দেউলিয়া চাঁদ—লালনীল উজালা হাপর— এক আগুনের ঘর।
বাউলবিমার
হাটে মাঠে বাটে
. আনমনে হাঁটে
. কার্তিকের রাত;
আঁধারের পেট বেয়ে ঝরে টুপটাপ উলফাত-জুদাই, জুদাই-উলফাত।
ব্যাকুল বিভ্রমে তুমি সুঁইসুতো গেঁথে বুনে যাও জলের সংসার
এঁকে যাও মিহিন স্বপন; ঢেউতোলা মাতাল তরণী—
মহুয়া রাতের শেষে নিথর নোঙর নড়ে; নাওয়ের গলুইয়ে বসে খেয়া পারাপার;
তবুও হৃদয়ে বাজে শবনম রাত, দানাদার খই; আধখানা চাঁদ—বুবুর বোলাক;
সোনালি মোয়ার মতো ভেসে আসে ফেরারি চুমোর ছায়া ইথারের ঘোর।
খুঁজে খুঁজে তোমার সাকিন বাউলবিমার যায়—ধীর লয়ে দেবালয়ে—গোপিনীর ঘরে।