অদ্ভুত কোভিকে মিশে যাই
কার্নিশের কিনারে বসে ভাবছি একাই
টুকরো হয়ে আবার—
অদ্ভুত কোভিকে মিশে যাই।
ঘ্রাণ হতে চেয়েছি, কখনো আলো;
কখনো ঝরাপাতার হাওয়ায় দিকশূণ্য ভালো।
কিছুটা জানিয়ে রাখি উড়বার ইচ্ছে ছিল:
চুরি করে নিজেকে উড়িয়ে দেব—
হৃদয়ের ঝড় বইবে যত, তত কিলো।
দক্ষিণের হাওয়া বৈশাখী ঘোর,
পরমাণু ঢেউ কেন?
কিছুতেই ছুঁতে পারছি না শরীর গন্ধ তোর…
হরিণীর দ্যুতি!
কী ছিল? স্বপ্ন কি তবে ওঁৎ পেতে আছে?
কার্নিশে কাক বিচ্ছুটি।
জ্বরের চিহ্ন ছড়ানো রক্তের ফোঁটা
বেরুচ্ছে শরীর ফুঁড়ে তোমার নৃত্যের যমজ পা
হারানো মন্ত্রের তাল—
উড়ছে সময় স্বপ্ন থেকে বেড়িয়ে আসা দেহের প্রাণ।
ভোরের শিশির মনে পড়ে?
নিয়মের ফোঁটা, চিনির বয়াম খুলে ঝরে;
শরীর উত্তাপে গলে যাওয়া ঘ্রাণ—
কিছু জ্বরের চিহ্ন লাল সিরাপে মেতে ওঠা
দাগকাটা বোতলের গায়ে লেগে আছ;
ছড়ানো রক্তের ফোঁটা—
গরম রৌদ্রের দেহ জড়ানো পোষাক তুমি অন্ধকার,
আলো আঁধারের চিৎকার…