বিস্ময়…!
আমি তাকে ভুলিবার মতো করে ভুলেছি, বিস্ময়!
পুরনো বাগানের ফুলগুলো বুকের গভীরে নিয়ে;
সে যেন চলেছে কোথায়, কোন্ বকুলের গন্ধে?
সেও এক বিস্ময়!
আকাশ ঘনিষ্ট মেঘের কাছে তৃষ্ণা নয়, চাই জীবনের সঞ্চয়
তবু তৃষ্ণা বাড়ে, জীবনকে ভুলে গিয়ে জীবনের বিস্ময়!
জলের জীবন শুধু কথা কয় অব্যক্ত নগরের
আইল্যান্ড পড়ে থাকে শূন্য নির্দেশনায়
যাত্রাপথ থাকে অরক্ষিত বিপন্ন
তৃষ্ণায় জল চায়, সূর্যের অধিকারে
ধু ধু মন উড়ে যায় গন্তব্যহীন হাওয়ায়
সেও এক বিস্ময়!
তোতাপরি
আমের বাজারে থরে থরে সাজানো কত না আম
দেখি, উঁকি দিয়ে আমাকে দেখছে তারা কিশোরী লাজে
আমিও ভয়ে ভয়ে তাকাই ব্যাপারীর চোখে, না জানি দাম তার কত!
চোখ মন চলে যায় তোতাপরি সুন্দরীর সৌষ্ঠবে
এইসব কিশোরী তরুণীরা বাজারে এসেছে ঘরের বাধন ছিঁড়ে।
বাজারেও হাজার ক্রেতা কিশোরী প্রেমে!
কিশোরীদের চেহারা ও গঠন ভেদে দামও ভিন্ন সে জীবনের
ক্রেতা ও ব্যাপারীদের মধ্যে চলছে দাম-দর…
রূপালী চোখের দৃষ্টে তাকিয়ে থাকি,
সিঁদুররঙা তোতাপরির দিকে। সিঁদুরে সেজেছে যেনো প্রণয় প্রহ্লাদে।
বড্ড জড়তা নিয়ে ব্যাপারীর সাথে সব দাম-দর চুকে
ভয়ে ভয়ে বাড়িতে ঢুকি সুন্দরী তরুণীরে নিয়ে।
ঘরে আছে সুন্দরী বউ;
তোতাপরি তার কাছে আম শুধু, দেখি সুন্দরী নয়।
নারী বুঝি একা একাই সুন্দরী হয়!
ঘরে আসে তোতাপরি আম, স্বাদে মনকাড়া
সুন্দরী বাজারেই তারা, কিশোরী তরুণী রূপে সেজে থাকে যারা।
হৃদয়
কোনো একদিন একজন
হৃদয় বানানটা লিখে দিতে বলেছিল,
আমি বলেছিলাম, হৃদয়টাই তোমাকে দিয়ে দেই?
সে বলেছিল, কেটেকুটে দিলে নিতে পারে সে।
আমিও হৃদয় কেটে তার হাতে দিয়ে দিলাম।
তারপর সেই থেকে আমি হয়ে গেছি হৃদয়হারা!
শুনেছি, তারপরে কোনো একদিন
আমার হৃদয়টাকে সে বিক্রয় ডট কমে
বিক্রি করে দেয়।
এখন আমার হৃদয়টা এঘাট থেকে ও ঘাটে
ফেরি হয়ে যাচ্ছে শুধু।
আমি এখন হৃদয়টাকে
আবারও কিনে নিতে চাই, তার হৃদয় পূরণে।