এক.
যে বয়সে তোমার ঠোঁটে শরাব খুঁজবে কবি
রূপের বর্ণনাকালে চুপ করে কেন থাকো নারী?
সেই বয়সে মনের জেলে আঁকো ধর্মযুদ্ধ ছবি;
মন ও দেহের সংসর্গের বর্ণনা না দিয়ি কি পারি?
তোমার নাভির নিচে ত্রিকোণ যে লবণের নদী
আমি যাকে ভালবাসি সে অন্য কেউ ভিতরে অধীর
মধুকর নামতে গিয়ে নন্দন ভুলে যায় যদি
তোমার ভিতরে তুমি থেকে জন্ম কজন তুমির?
ঈর্ষা হয় কে প্রথম তোমার ঠোঁটে দিয়াছে চুমু
ঘোড়ার উদভ্রান্ত ক্ষুরে লেগে আছে যুদ্ধের সুর
তাকে পেলে ডুয়েল লড়ে তোকে নিয়ে মাতাল হবো
আবাবিল পাখি নাই মুক্তিকামী মেধাবী দুপুর।
কেন তুমি লজ্জায় ঢাকো অমন কারুশিল্প দ্বীপ
চেয়ে দেখো সবার অলক্ষ্যে আমি জ্বেলেছি প্রদীপ।
দুই.
বন্দরসখী দেখে পাখি ওড়ে অশরীরী পাড়ায়
নিদ্রার কীর্তনে স্বপ্ন এসে দেখা দেয় কার মনে?
হরিণা চাহুনিতে ডায়েনার রূপ নিদ্রা যায়
দিব্যজ্ঞানী শুধু অনন্ত আলোক দেখে রাতের নির্জনে।
যতটা ভেসেছে কৃষ্ণ, বেশি ভাসি তোর যমুনায়
অন্তর্বাস ফুঁড়ে প্রকাশিত হয় খরগোশ স্তন
তোমার উরুর নিচে নেমে যায় পাখির সময়
রাধাকে দেখতে চাই না দেখাও যদি তোর মন।
কবর ওপারে যেয়ে সেখানেও পেতে চাই সাকী
এখানে শিশুরা লাটিম ভেবে গ্রেনেড নিয়ে খেলছে সকাল
অনুভবে ডাকি তোকে কোথা থাকো রূপকথা পাখি?
ডিমের হলুদ থেকে উঁকি দেয় বিষাদ বিকাল।
শরীরী ঘ্রাণে তোর মুগ্ধ আমার অশান্ত যৈবন
সালাম তাকে অন্ধজনে যে মেয়ে কাটায় জীবন।
তিন
আগুন নিয়ে খেলতে খেলতে কত পুড়েছি মন
ঘুমের মধ্যে কারা জেব্রারক্ত ঢুকিয়েছে শরীরে
তুমিও জানো না যে, দেশলাই জ্বালিয়েছো কখন;
শুধু ছুটতে ইচ্ছা করে তোর ভূমি থেকে প্রান্তরে।
তোর কফিতে চুমুক, এ বছর বৃষ্টি হবে খুব
তোর মনকে কখনও দুর্গম দুর্গ মনে হয়
আমাদের স্বর্গ এই দেখো সেনেটোরিয়ামে চুপ
দৌড়ে ঢুকতে গিয়ে গলিতে আটকে যায় সময়।
জোছনার পায়ে চুমু খেয়ে তোকে ভাবি একি বিস্ময়
পুরানো বুটজুতার মধ্যে জন্মেছে সাদা ইঁদুর
ভিখিরির মতো রহস্যহীন কেন করি অভিনয়
লুকানো হাসি মাঝে ঈশ্বর হাঁটুমুড়ে চায় প্রণয়
আন্তরিক ভাবে প্রেমিক প্রেমিকাদের বলি শোনো
ঠোঁট ঠোঁটকে বিশ্বাস করে না কখনো কখনো।