হাতের ইকোনমি
এইভাবে এক পাখির দোকান স্বপ্নে পরিযায়ী
বাগান ছেড়ে খাঁচার জীবন যথেষ্ট উদ্বায়ী
যত্ন কি বা, স্বপ্নজবা, হাঁটছে মেঘের সুদূর
আজকে তোমার স্মৃতি এসে আঁকছে রোদের খুর!
এইভাবে এক ধীবর স্বভাব, রক্তে কুপি জ্বালায়
মর্ত্য ফুঁড়ে আরেক জনম, ভাবনারে ফুসলায়
আঁধার নামে, আঁধার জানে, রক্ত বিষাদঘেঁষা
মানুষ কাঁদে, মনন কাঁদে, দেশের বিরূপ ভাষা!
এইভাবে যায়, দিন চলে যায়, স্বপ্নবিলীন ঘুমে
হাত নাড়ে হাত, হাসছে বেদাত, সবুজ বিস্মরণে
যত্ন সবুজ, মৃত্যু সবুজ, এসব নাকি স্মৃতি
আজকে হাতের ইকোনমি, মানতেছে দুষ্কৃতি!
ভাষার চেহারা
একদিন মৃত্যুর কাছে গিয়ে বসি
আর দেখি ঘুম, দ্বিধা, ক্লান্তির সাথে তার
সম্পর্কের গ্রাফ, সমস্ত দেয়ালিকা-ধারা
ছিন্ন করে উজ্জ্বলতর—
একদিন নিজেদের কাছাকাছি মেঘ
সর পড়ে যেন আবছা আকাশ চেয়ে;
অশোক-মঞ্চের ন্যায়, পৃথিবীতে যত
পাহাড়-প্রতিভা খাড়া, আয়ু তত নির্বিঘ্ন?
এখানে অসুখ
বাসনাস্বত্ব চেপে, খুঁটে খায় মানুষের ছায়া;
এত জল চারধারে, এত খল হাসির ফোয়ারা
সব গান ধ্বনিহীন লাগে, নির্বোধ লাগে ভাষার চেহারা!
বন্যা
নদী ভাঙছে বুকে
তলিয়ে যাচ্ছে জল
তোমার কবিত্ব, সে কি
বন্যায় দুর্বল?
সভাসদ হয়ে দ্যাখো
কবিতায় হাসে জোছনা
গাছ ভেঙে পড়ে ঘাটে
নদী উসকায় বন্যা!
নদী ভাঙছে বুকে
নদীর ত্রিদিক ঢেউ
মানুষের ভাঙা মুখে
কেউ তাকায় না, কেউ!
ডেওয়া ফল
নিজ পুরুষের কাছে ফিরে গেলো খরগোশ কপোতী হেঁটেই—
ডানা ভরা ঠুমরি তালেরা, কত শত প্রাচীন গাছের গায়ে
গির্জার ঘণ্টী হয়ে বাজে।
মিথ্যাকে সবুজ এক পারদের আয়নায় দেখি
ছোপ রেখে গিয়েছে, বিবর্ণতার, তার পাশে বসি;
নদী আর ধূলি মিলেমিশে, পুথিপত্র শোনায়
চাঁদ সওদাগরের।
টুপ করে ডেওয়া ফলেরা, পড়ে চৌচির ঘাসেই।
দূরের বলাকা
এতসব বিভাজন
মানে নাকি তোমার আমার!