প্রতিবেশী দিনগুলো, রাত্রিগুলো
অনিঃশেষ ভূমিকার ভেতর গলে যাচ্ছে দিনগুলো,
উচ্ছল রাত্রিগুলোও গলনপ্রবণ; সময়ের ভাঁজে ভাঁজে ক্রমেই
স্পষ্টতর হচ্ছে বাঁক ও প্রতিবাঁকশিল্প-
নির্লিপ্ত রহস্য চারপাশে; তারই ভেতর হেঁটে যাচ্ছে পথ—
পথে পথে কারা তবে ঢেলে দিচ্ছে হিংসার তরল?
ওরা কি জানে, আটপৌরে শোকের মিছিলে—
আমরা হয়ে উঠতে জানি বিচক্ষণ বেয়াড়া?
অনুশোচনা সেলাই করতে করতে, আমাদের যূথবদ্ধ হাতে
ভিনদেশি কত শত বেজন্মা শ্বাপদ হেঁটেছে সরলরেখায়?
পৃষ্ঠা খুলে দেখতে বলি—কেমন বারুদ আমাদের চোখে;
প্রতিবেশি দিনগুলো, রাত্রিগুলো তোমাদের বলি:
যৌবনের মাতাল সাপিনী কাঁধে নিয়ে চুপ হয়ে আছি;
সংবিধিবদ্ধ
হয়তোবা, জলপাই বৃষ্টি হবে—আসন্ন ঋতুতে,
বৈষম্যের চিন্তারেখা বেয়ে অসংখ্য তিতির
নেমে আসবে উঠোনের অতি কাছাকাছি;
কিছু উজ্জ্বল রীতি এবং নীতি কুয়াশার যাদু মেখে
মুষ্টিভিক্ষা চাইবে—
ঝাঁঝালো সন্ধ্যার দিকে; তবুও বিস্তৃত হবে অবনত ক্ষণ
অতটুকুই প্রশান্তি যেন—মগ্নশীতে!
জলপাই বৃষ্টি হবে—এবারের ডিসেম্বরে, খুব—
ঘাস গড়ানো মানুষ মর্যাদা পাবে যারপরনাই;
এভাবে ছায়াবৃত্তগুলো আরও বৃত্তাকার হলে পদচিহ্ন
বেঁকে যাবে তোমার দিকে, মুগ্ধস্তব্ধতা নিয়ে
থই থই বসে থাকবে সময়—দুরাকাঙ্ক্ষায়…
হর্ষনাদ
(প্রিয় ভালোবাসা—তোমাকে)
সময়ের কণ্ঠ থেকে খসে পড়ছে তুমুল হরিতকি—
ধানসিঁড়ি চোখ গড়ানো প্রবহমান ধারায় ভিজে যাচ্ছে
কামরাঙা সুখ; পার্থিব অনুষঙ্গের ভেতর ক্রমেই—
অপার্থিব একটি রাত, পাখির স্বর নকল করে উড়ে যাচ্ছে দূরে;
বিপরীতে চিন্তার প্রচ্ছদ ছিঁড়ে কিছু রাগী শব্দ—
ক্লান্ত পায়ে ঘোষণা করছে—মাঝরাত এমনই দুঃখিত;
এভাবেই, বিভ্রমের পালক তুলেছে নশ্বর প্রেমিক, বহুদিন;
ঘঁষামাজা ফসিল হয়ে জ্যোৎস্নানন্দনে; এখন—
আলোর আসমানে, বিকশিত হচ্ছে ফের, দীঘল নীরবতা!
প্রতিদিন কিছু মৌন, জমা হচ্ছে স্পর্শের বাইরে—এভাবেই;
চিন্তার অলীক খুঁচিয়ে ফোটাচ্ছে—নীল ফ্লুরোসেন্ট;
চারিপাশে রকমারি জীবনের বিপুল হর্ষনাদ; তবুও—
সহাস্য আঙুল তার, ছুঁয়ে যাচ্ছে ‘ভালোবাসা’র বিমূর্ত পাণ্ডুলিপি…