স্বয়ম্ভু-প্রহর
এখন বুঝতে পারি বিপন্ন ক্রুদ্ধ জল
তীরবিদ্ধ তোমার বাণী
এভাবেই তো শিক্ষিত হলাম
ঝাড়া রাত-দিন, ঝিমঝিম দুরন্ত চিৎকার
শীৎকার পুরাতন ভঙ্গিতে সঙ্গমক্লান্ত দেহে
বিধিবদ্ধ স্বয়ম্ভু-প্রহর টপ টপ ঝরে পড়ে
তামাদি স্রোতের শ্বাস খুব ভারী পাথরপ্রবণ
কত গল্প গালাগাল, কত রক্ত রক্তিম লাল
পরস্পরে লেপটে থাকে পাহাড়ে প্রতিধ্বনি হয়ে
এভাবেই বুঝতে শিখি ঝোঁকে ঝোঁকে কেটে গেছে
জীবনের যৌথ কারসাজি, মিলিত উত্তাপ
নৌটঙ্কি দেখানো সেই চূড়ান্ত হেঁয়ালিভরা সন্ধ্যা
চারুমেঘ
এক কাজ করুন, যে নদীতে মাছের আনাগোনা বেশি
সেখানেই বসিয়ে দিন প্রেমকল, তারপর সারাদিন সারারাত
জাল ফেলে ভরা হোক প্রণয় আরত। এসব কথায় সে
হো হো হাসে, হাসতে হাসতে বিষম খেয়ে বলে, পাগল
এমন পাগলের গল্প বা খেলাঘর অনেক দুয়ার থেকে
বিষকাঁটা তুলে এনে বুক সাজিয়েছে। তাকে নতুন করে
দেখার সময় হলে, সে খুব দৌড়ে চলে গেছে বনস্পতি মেঘে
পাগল ধরা দেবে না
দেয় না বলে এই মিথ্যা চারু চারু ভাবসাব আমাদের
ভদ্র বলে ভাবে
তারপর বৃষ্টি আসে, ধুয়ে যায় রঙ, চোখের বিকেলবেলা
নদীর পোশাক খুলে চুমু খেতে আসে। তখন গল্পের প্রেম
কবিতার ঘরে ঢুকে পড়ে
চুম্বন
চুম্বন শব্দটি উচ্চারণে বিবিধ দৃশ্য ভাসে
বাজার উজাড় হলো, ও বিধি চোখ খোলো
আমি হই তোমার গোলাম
চুম্বনে নাম লেখালাম
অনেক রাতে খুব ঘন অন্ধকারে হেঁটে যাওয়া ছেলেটা
পথহারা ঠোঁটকাটা চুম্বনের গল্পটা হাতে নিয়ে নৌকা ভাসায়
ঝড় রাতে, নিঝুম নদীর বুকে একা একা তাল ঠোকে খুব
তার নাম লেখেনি কেউ, থাকে ঠোঁটজুড়ে নিশ্চুপ নদীর নাম
ঝরে পড়ে বিমুগ্ধ যন্ত্রণা, শ্বাস থেকে টেনে ধরা অজস্র সরগম
কাছাকাছি চাঁদ এলে তাকেও এইবেলা এসবই শিখাতাম
আর কী আছে বলো, বোঁকাট্টা এলোমেলো স্বপ্ন গোলাম
চুম্বনে নাম লেখালাম