কথা ছিল আমাদের ঘরে ঘরে গড়ে উঠবে
ভাতের দুর্গ,
সবুজ পাহাড়গুলো গভীর গুহা সাজাতে সাজাতে
আমাদের জন্যে
. নির্মাণ করবে বর্ণিল ধ্যানকেন্দ্র—
আমরা ধ্যানী হবো, সবুজ সাধনায়, স্বপ্ন সাধনায়।
ডায়াগনস্টিক সেন্টারে শুধুই নির্ণিত হবে
প্রেমের অসুখ। যারা এতদিন বিচ্ছেদী গেয়ে
কণ্ঠ মেলাতো পদ্মার ঢেউয়ের সাথে,
তারা তারাভরা আকাশের আয়নায় দেখবে
নিজেদের মুখ। কেউ কেউ,
দ্বীপবাস চিরতরে পরিত্যাগ করে,
ফিরবে গৃহে। প্রিয়তমার জন্যে সাথে আনবে
কয়েকটি পুষ্ট শালুক।
একদিন বৃষ্টিগবেষক খ্যাতি পেয়ে
যে কৃষক কুড়িয়ে এনেছিলেন
‘রাষ্ট্রপতি পদক’—
তার কান্না থামিয়ে দেবে বসন্তের বৃষ্টি।
শীতের পরম্পরা, জমা রেখে পর্বতের বুকে—
কয়েকটুকরো বিদ্যুৎ,
ঘোরবিহীন তপস্যায় গাইবে মানুষের বন্দনা।
যে প্রকৃতি, বিমুখ হয়ে মানুষকে দূরে
ঠেলেছিল,সেও আবার বিছিয়ে দেবে ছায়া।
আর ছায়াসম্বন্ধীয় বারুদ বুকে এই তল্লাটে
জেগে উঠবে প্রজন্ম, উত্তর প্রজন্ম।
আমি বারুদের পক্ষেই রেখে যাবো সকল
মমি’র সমর্থন। কেউ জাগবে না জেনেও
তুলবো সুর—
সূর্যের মতো বাঁশির বিভাসে—
একদিন যে সূর্য মৃত্যুবরণ করেছিল
আমার সহপাঠি ননীগোপালদের ডোবায়!
হাঁটুপানিতে সাঁতার দিতে দিতে যারা
পার করে জীবন—
তাদের জন্যে আমার কোনো দুঃখ নেই!
যারা শোষণের হাতিয়ার শিয়রে জমা রেখে
পোহায় নির্ঘুম রাত;
তাদের প্রতিও কোনো কৃপা নেই আমার!
একদিন শাবল দিয়ে ভাঙা হতো পাথর।
পৃথিবীতে—
একদিন কাস্তে দিয়ে করা হতো
নবীন ধানচারার পরিচর্যা।
সেই পরিচর্যা এখন দখল করেছে,
মানুষে মানুষে দূরত্বের মহড়া।
যে বাঁকে একদিন নৌকো ভিড়ে
অচেনা পথিককে পার করে দিত নদী,
সেই বাঁকেও এখন দখলদারদের ইমারত।
আজ সেই চারদেয়ালের উত্তাপে বসে যারা
খুঁজে দেখছে স্প্যামের উৎস,
তারা কি জানে,
এই মহাগ্রহ মূলত নির্মিত হয়েছিল
স্পাম রিসার্চ সেন্টারের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে—
আদম-হাওয়া ছিলেন সেই বিন্দুময় নায়ক-নায়িকা।