স্তনের ভেতর নাকফুল
কামনার তৃষ্ণার্ত স্তন চু’য়ে-চু’য়ে পড়ছে
বরফগলা রাত ও শীতের নাকফুল,
তোমার স্তনের ভেতর ঘুমিয়ে আছে
কামনার দীর্ঘ প্রহর—স্বপ্নের সাঁকো;
তোমার স্তনের উত্তাপে
গলে-গলে পড়ছে পাথরের প্রাসাদ,
মঠের-গম্বুজের চূড়ায় ঝুলে আছে
রাতের তৃষ্ণার্ত গাঙচিল;
তোমার স্তনের রক্তিম আভায়
উজ্জ্বল হয়েছে শস্যের সম্ভার,
সরিষার ক্ষেতে মৌমাছির গুঞ্জন
স্তনের ঘ্রাণে মুখরিত মগজের প্রতিটি কোষ;
তোমার স্তন ছুঁয়েছে অক্ষরেখা-দ্রাঘিমারেখা
অক্ষিগোলকে তোমার কুমারী স্তনের মানচিত্র আঁকা।
তোমরা যাও ওপাড়ে
তুমি-তোমরা মিশে যাও বেলা-অবেলায়
মিশে গেলেই আনন্দ, ঢেউ-ঢেউ উৎসব!
খেলাটি চলছে—চলুক, ভোর থেকে শালিক
বোবা হয়ে বসে আছে জমির আইলে
জল ছুঁয়ে দেখেছি অনেক মধু;
তোমরা পারো স্বাধীনতা খেতে, স্বাধীন পাখি
হাতে-পায়ে পরেছে শিকল,
তোমরা পারো পরাধীনতা নিতে
তোমাদের মাথায় লজ্জাহীনতার মুকুট
আমরা তোমাদের জানাই কবিতার প্রেম!
আমরাও কি তবে মিশে যাবো
বৃষ্টির জলের মতো নালার নর্দমায়!
মিশে গেলেই আনন্দ—ব্যাঙাচির উৎসব…
না, থাক; তোমরা যারা গিয়েছো ওপাড়ে, যাও—
আমরা অনন্তের ভেলা ভাসিয়েছি অসীমের মেলায়।
পুরুষের খেলনাপুতুল
আমি বলেছিলাম তৃষিত প্রহরে—
দিব্যি চলবো আমি তোমাকে ছাড়া
বিপরীত রেললাইনে, আলো-হাওয়ার বাজারে;
ফুটন্ত জলে তোমার বিকৃতমুখ
অর্থহীন উন্মত্ততায় হইচই করে,
আমি ভুলে গিয়েছি পাতিলের উত্তাপ;
হাত-পা ছড়িয়ে শুয়ে থাকা বালিকার গোপনাঙ্গে
হাজার-হাজার চোখের উল্লাস—পশুর আনন্দ,
ধাত্রীমা’র হাতের ছোঁয়া বালিকাবধূর স্বর্গফুল
আমি জানি তুমি শুধুই পুরুষের খেলনাপুতুল;
সেদিন তোমাকে বলেছিলাম জ্যোৎস্নাঝরনায়—
তোমাকে ধরে রাখা মানে—নদীর মোহনায় ঝড়,
অনন্ত মৃত্যুস্রোত, আমার বাগানে তুমুল শিলাবৃষ্টি;
তোমাকে ভুলে গেলেই—গান শোনাবে টিয়াপাখি।