সে যে আমার কিচ্ছুটি নয়
সে তো আমায় অনেক কথা এমনিই বলে,
হঠাৎ যেমন কারণ ছাড়াই বৃষ্টি নামে।
সে যে আমার কিচ্ছুটি নয়, তবুও জানি,
তার কথাতেই মন কেমনের ঝরটা থামে।
আমার সঙ্গে রাগ তো সে এমনিই করে,
জৈষ্ঠে যেমন মাটি পোড়ে রৌদ্র তাপে।
সে যে আমার কিচ্ছুটি নয়, তবুও জানি,
তার রাগেই এই হৃদয় পোড়ে অনুতাপে।
সে তো আমায় অনেক সময় এমনি ডাকে,
অসময়ে হঠাৎ যেমন কোকিল ডাকে।
সে যে আমার কিচ্ছুটি নয়, তবুও চাই-
তার ডাকটা যেন সদা এমনই থাকে।
সে তো কেবল এমনিই কেমন আমায় দেখে,
মানুষ যেমন তাকিয়ে দেখে স্নিগ্ধ বিকাল।
সে যে আমার কিচ্ছুটি নয়, তবুও চাই
এমন করেই আমায় দেখুক অনন্তকাল।
সে তো আমায় এমনিই কত গল্প বলে,
নদী যেমন জলের ঢলে খরস্রোতা।
সে যে আমার কিচ্ছুটি নয়, তবুও জানি,
আমি যে তার গল্প শোনার মুগ্ধ শ্রোতা।
সে তো আমায় এমনিই চায় সঙ্গ দিতে,
সন্ধ্যা যেমন রাতের সঙ্গে থাকে মিশে।
সে যে আমার কিচ্ছুটি নয়, তবুও জানি,
সেই তো আমার সবটা জুড়ে, নেই বা কিসে?
সহযোদ্ধা
তুই যখনই মন কেমনে বর্ষাপ্রবণ,
আমি তখন বর্ষাবিহীন, চাইছি ক্ষমা।
উজাড় হয়ে ভিজবো ছাদে এক্ষুনি চল!
ঝিরঝিরে নয় মুষলধারে বৃষ্টি নামা।
মন গহীনের যেখানটা খুব বৃষ্টি নামে,
ঠিক নিচে তার আলো-ছায়া, খাদও আছে।
আজ স্পর্ধাটুকু ভাসিয়ে দিলাম বৃষ্টিজলে।
নে যা আছে, সব সমর্পণ তোরই কাছে।
তুই যখনই বুকের খাঁচায় দুঃখ রাখিস।
আমি তখন উদাস মনে, খোঁজ রাখিনি।
চাইছি ক্ষমা, থাকবো পাশে সঙ্গী হয়ে।
ফেরার পথে নামটি হারাক, ‘সেই দুঃখিনী’।
ঘামে ভেজা গায়ের জামা জড়িয়ে রাখে,
একটু হাসি ঠিক উঁকি দেয় কাজের ফাঁকে।
আমরা কেন খোঁজ রাখি না সুখী প্রেমের,
রোজ খুঁজি না পাশের সহযোদ্ধাটাকে?