গরমকালের সন্ধ্যারাতে
আকাশে নিকিয়ে থাকা সব ঘন আলো
কমে আসার ভেতর উড়ে যাচ্ছে সব
ভরপেট সারসেরা; প্রান্তরের দেহে
পড়ে আসা রোদে মানুষের যাতায়াত
অনুমিত হয়; যেন তারাও ফিরছে
নিজ হাতে গড়ে রাখা উষ্ণতার কাছে,
কমলা রঙের পাশে অবিরাম কাঁপে
শীতলষষ্ঠী দিনের অনুগামী চাঁদ—
এরপর আকাশের বুক খুলে ধীরে
বের হয়ে আসা অনুপম হাওয়ারা
পৃথিবীর সব তামারঙা লোকদের
দেহের ভেতর দিয়ে উড়ে যায় আর
গাছদের সরু পাতাগুলো ঘিরে শুধু
শব্দ হয় যেন রাত্রি এবার নামবে—
নরম সুমিত জলে
আয়ু কাকে বলে; কিভাবে বিকেল আসে
অনাহত দিনে; সেসব বুঝতে গিয়ে
অনেকেই দ্যাখে হাতে রাখা আছে যেন
গোল গোল চেরি ভরা কোনো পানপাত্র—
সংক্রান্তি পেরিয়ে এরপর অবিরাম
ফলাহারের মেজাজে রোদ কেটে গেলে
একদিন আকস্মিক চোখে পড়ে যায়
তাদের ফুরিয়ে যাওয়ার ঘন দৃশ্য—
তবু কেউ কেউ দ্যাখে; অনেকে দ্যাখে না,
যারা দ্যাখে তারা আরও জিহবা খুলে
আরও গহিন হয়ে যত বেশি পারে
স্বাদগুলো ঘরে তোলে; যেন এতো দিনে
আয়ুর কিনারে এসে তারা বুঝে গেছে
কিভাবে সুমিত জলে আবৃত অঙ্গুলি—