বরষার পূর্বপাঠ
আনমনা বৃষ্টি শুনছি আর সাবেক প্রেমিকার মুখ দেখছি। মনে পড়ছে—ক্লাস এইটের প্রথম সাময়িক পরীক্ষায় অংকে আমি আট পেয়েছিলাম। সেদিনও অনেক বৃষ্টি ছিলো—ভেতরে-বাহিরে। এসএসসিতে পিছনের শূন্যটা সামনে এসে যোগ হয়ে লেটার মাকর্স আশি হয়েছিল। এরপর ওভাবে আর অংক করতে হয়নি। বহুদিন গভীর মনযোগ দিয়ে বৃষ্টির শব্দ গুনতে হয়নি। সে সব পরীক্ষার কথা ঝাপসা হয়ে আসছিল। পুরনো তেলবাড়ি মাটিদিয়ে আয়নার বৈশিষ্ট্য অঙ্কনে আগ্রহী হয়ে উঠেছিলাম। কিছুদিন ধরে কাঁচঘর ঘিরে অংকের ডালপালা গজাচ্ছে; পা থেকে মাথা পর্যন্ত সংখ্যার বিভ্রম!
এখন এই বৃষ্টির অবসরে সাবেক প্রেমিকার খোলা পিঠে হাত রেখে থার্মো মিটারের অংক কষছি। বরফের তাপমাত্রা পা থেকে মাথায় উঠে যাচ্ছে।
যদিও সুদের হারে বৃষ্টি
গড় হিসেবে বৃষ্টি
শুধু বারান্দায় ঐকিক নিয়মের কান্না…
দুপুরগ্রাম
ভেঙে পড়ে দূরত্বের বাতি
অবহেলায়—
ছড়িয়ে হাসে ঘাসের গান
রকমারি ভুলের শ্মশান বিষণ্ন ইশকুলে
অন্ধকার বারান্দায় শিষ খুঁজে
তবুও বিকল শ্বাসের যৌবন!
আরেকটু গোপনে আদরের ভাষা থেকে
খুলে দিলে কাম—বোবা গাড়ির
বাড়ি থেকে নদী নাম বেঁচে ফিরে!
শেষবার
ঘড়ির গান
দূরত্ব সহজ করে
বিষের সোহাগ নিয়ে খুনসুটি-
এই গ্রামে ভুল পথের ধারাপাত
আরেকবার
তবু আরেকবার…
কালোআয়না
অসুখ তোমকে নিয়ে একঘর আমি; পুরো পৃথিবী
থাকুক বৈধ। চোখের আগুন পিপাসা বাড়িয়েছে আরও―
নোঙরের স্বাদ। মহৎ কয়লায় শানিত আমি বিবিধ
কোরাশে কি আর ভয়―অন্য মুদ্রায় অক্ষত
আপন শিক্ষিত লোবানে অমর!
বেহুলার সিথানে কবেকার লানত―কুকুর ভক্তির
শিহরণ জানে। আসন বিলাসে রোপিত নুপুর কবেকার
বন্যার আঁচলে। বন্ধঘরে আমাদের মুখ বিপরীত
পর্দার টানে―বাম দেয়ালে অসুখ ডাকে; উচ্চতা হারিয়ে
পাগল দৌড়ের ভ্রূণ। কথিত দশদিক শূন্যতার মোড়কে
ঢেকে আছে―বহুরূপী ছায়ায়। তবুও ডান দিকের আয়নায়
দেখো তুমি-আমি একই ফ্রেমে!