প্রত্যাবর্তনের সুর
ফ্যানটা বয়সী বিড়ালের মতো হাফাচ্ছে; আমি ঘুমের সিজদায় নত। যেদিন তরজমারত জীবনে শবেবরাত চলছিল সেদিনও আমি নিদ্রিত বাল্ব পুষছিলাম অন্ধকারের অভ্যন্তরে। এ কথা বিকেলের ছায়ায় মেখে দিতে গিয়ে মনে হলো আমি তো কখনোই মেঘের ছিলাম না, বরষার তাঁবুতে কেটেছে শৈশব।
বিরতি শেষ হলে—আবার সূর্যের সাথে মানুষ আবাদে লেগে যাব, দূরেই থাকুক রোদমাখা চিবুক আর গোধূলির গল্প।
দীর্ঘশ্বাসের ওম
আবেগের সেলোয়ার খুলে সময়ের হাততালি পৌঁছে দিও। আর সাবালক নির্মাতার মুখে একফোঁটা বিষাদ তুলে দিয়ে জানিয়ে দিও—তুমিও বেঁচে আছ। যে আমি’র আমাকে নিয়ে তুমি ভাবছ—সে আমি জীবনকে তুড়ি দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছি বৌচি খেলার দিনে। তখন তো নদীর স্রোতবিমুখ নথি জমা ছিল আমার রাফখাতায়।
এখন কেবল ধৈর্য আর আকাশি ভাবনায় ঘেমে উঠছে মমতার বাক্সো। আর দূরে বরষাতির কোমলতা ডেকেই যাচ্ছে কান্নার শব্দে।
বিষাদের ডাকঘর
মিথ্যের আসবাবগুলো কখনোই তোমার সাথে খেয়াপার হতে চায়নি। সময়ের দোলনায় দুলতেও তার কোনো আপত্তি ছিল না। তবুও সাদাকালো পর্দায় সাজিয়ে রেখেছিলে অদৃশ্য শীৎকার—আমি দেখেছি; কী দেখিনি সে প্রশ্ন আজ আর করিও না। ধারাপাত শেখার বিকেল আর মৌয়াল হওয়ার সন্ধ্যা ঝাপসা হয়ে গেছে বিয়োগের বাহানায়।
নির্বাচিত মুহূর্তরা বাঁকা সংলাপে চুপ হয়ে গেল। লোভহীন ব্রা’র ওমে নেতিয়ে আছে সুখের নিপল। এখন রাত বাড়লেই ছুতারের ফরমায়েশ পালনে ঘুমন্ত শহর খেয়ে হাওয়ার বাড়িতে রোজ চিঠি লিখি।