তল্পিবাহক
আমি ভালোবাসার তল্পিবাহক মাত্র! ভালোবাসা সে ঋতুতে ঋতুতে আসে; পাখিতে পাখিতে আসে। ঝরিয়ে যায় একসঙ্গে পাতা ও পালক।
আমি পাতা ও পালককুড়ানির মতো কুড়াই তাকে,প্রতিটি পাতা দেখতে এক কিন্তু আলাদা আলাদা। প্রতিটি পালকও। তাই পালকেরা ভালোবাসায় সংখ্যায় ভারী; পাতারাও তাই নীলটুনটুনির অজস্র মুখোচ্ছবি শুধু উঁকি দেয় পাতা ও পালকে
শত্রুর ঠোঁট
শত্রুর ঠোঁটে চুমু খেয়েই তবে ভালোবাসার গেরিলা যুদ্ধে যেতে হয়!
ঠোঁটে থাকবে বিষ;যেন থুতুর সঙ্গে চলে গিয়ে মিশে যায় রক্তে!
তারপর বাঁচার তীব্র আকুতি ফুটে উঠবে চোখে; যেন স্বপ্নাঙ্কুর ফুল!
তারপর দু’হাত ল্যাম্পপোস্টকেই অবলম্বন ভেবে জড়িয়ে ধরবে পাগলের মতো…
আসামি ও পুলিশের ঠোঁটের মধ্যে কোনো ব্যবধান থাকবে না
সমাজ ও সংস্কারকের ঠোঁটের মধ্যে কোনো ব্যবধান থাকবে না
সব ব্যবধান ঘুচে যাবে ছোট্ট কিন্তু ব্যঞ্জনাময় একটি চুমুতে!
সাদা কাগজের ক্ষুধা
অর্ধেক লেখা উপন্যাসের মতো বিপ্লব এসে থেমে গেছে! কলমও পাই না খুঁজে; অর্ধেক মুখ শত্রুর আসাও ভালো! পূর্ণ পৃষ্ঠার সৌহার্দ্য ব্যতীত মানুষ ভেতরে ভেতরেও অর্ধেক হয়ে যায়। ময়ূরপালকের পাখায় বাতাস আছে; কিন্তু সেই পূর্ণ হওয়া নেই! হাজার হাজার পৃষ্ঠা কবিতা আমি হেমন্তের ঝরা পাতার মতো বিছানা,বালিশে; উঠানে, বারান্দায় ছড়িয়ে গেছি…
বয়স ও কালের পূর্ণতা বলে কিছু আছে? শুধু ভাসমান বিছানার মতো কবিতাগুলো বাতাসে উড়ে…ভাসমান মেঘের মতো আমি হাত ছুঁই,ছুঁই চিবুক
জীবন জ্ঞানীভূত তার শরীর থেকে ছন্দ আর উপমার গন্ধ! শুধু যা বলার এবং যা বলা হয় না; তার মাঝে দূরত্ব অপার, আর নাক ডাকার মাঝে জানা যায় গোপন ঘুমের কথা। হৃদয় জয় করার জন্য আক্রমণ চালাবে না কোনো রাজা…তবু খণ্ডিত হবে চোখের ভেতর চোখ; ভুল কান্নার মতো অরণ্য গজিয়ে উঠবে এদিকে-সেদিকে। কান্নাকে মুছতে গিয়ে হয়তো দেখা যাবে শীতের নদীতে শাদা হাঁস লিখিত হওয়ার জন্য মেলে দিয়েছে ডানা। ডানা নয় সাদা কাগজ! পৃথিবীতে সাদা কাগজের ক্ষুধা অনেক বেশি!