সর্বনাশের সর্বনাম
এইসব ইতিকথার ভূমিকায় অনামিকারা প্রসন্ন হলেও ছিদ্র হয় বায়োলজি
লিরিক কলসির ছলাৎ ছলাৎ ঝুমকে
বাঁধা পড়ে একটা ওই ডাক
কোকিল কোমল কেয়ারে
বোতামের দ্বিতীয় সিঁড়ি উন্মুক্তই ছিল
একরোখা আঙুল
একুশ আলিঙ্গনের সুড়ঙ্গে
ঘেমে গিয়েছিল পরান
ঢলঢলে নেশায়
এ-ই সেই ছল আলোয় লোমশ বাগানের
উগ্রতায় বখাটে পেয়ার
ছিনিয়ে নেয় একটা নীল ওড়না
তাহার তাহাতেই ছিলেন তিনি
ছিপছিপে সেকেন্ডের শরীর
যখন ছাড়িয়ে যাচ্ছিল ফার্স্ট স্টেজ
ক্ষেপে ওঠা সর্বনাশের রঙ পোক্ত হওয়ার ধাঁচে
সর্বনামেরা হেফজ করে খুন হওয়ার বৃত্তান্ত
এমন আযানী জোয়ারে
সেকেন্ডের শরীর উ-ম বর্ণে
ক্ষতের খোয়াব রাঙায়
রক্তপাখি রিক্ত কলিজার ঘ্রাণে
পোয়াতি হয় একটা সুনীল সর্বনাশ
যে সাক্ষ্য ঘুণপোকার ঠোঁটে
বিস্তর বন্ধ হলেই বেদনারা প্রশস্ত হয়
ধৈর্য্য পাকার বিভৎস গন্ধে জুয়াড়ি বলপেন
হাঁটিহাঁটি পায়ে জড়ো করে
ঝরে যাওয়া বাক্স
নিকেস মিটলে ফুরিয়ে যায় দোদুল নাচ
ঘুণেখাওয়া ক্যানভাস খুলে
দরিদ্র শিশিরের আভিজাত্য দেখি
সাতরঙা রোদের অপেক্ষায় যে শ্রাবণ কাঁদে
তার চুলে বিলি কাটি
তবুও আমি দেবী হতে পারি না
কাঠকরবীর ছোঁয়ায়
হু-হু কবরের শিথানে একটা পাখি হয়ে
আমারে দেখি
শূন্যস্থান দৌড়তে জানে না
তাই স্থির বেদুঈন তাহারে পড়ে
লয়হীন মাজেজায়
স্নিগ্ধতা হারানোর বৃত্তান্ত
পুনঃহারানো পঞ্জিকা থেকে ছিটকে গিয়েছে যে ঈশ্বরের পেয়ালা
তারে আমি হারাইয়া ফেলি নাই
ভাঁজ করে রেখেছি স্নিগ্ধ সংখ্যায়
কলবলে সাদা কইতরের চোখে
স্পষ্ট মনিটরের আড়ালে থাকা ঝিরঝির
হয়তো স্বীকার করবে
একটা বন্দেগিতে কোনো ত্রুটি ছিল না
এইসব মলিনতায় লিপস্টিক পরিয়ে
ট্রাংকে থানকাপড়গুলোতে যারা লেপথন লাগায়
সংজ্ঞাহীন ভেদে রচনা করে তুমুল দূরত্ব
যুতসই মন্থন শেষে
প্রেম ধর্মের স্লোগান দিয়ে ভোগে প্রীত-পীড়ায়
তাদের করিডরে আপিল হয় না মননের চার্জশিট
অথচ তারা প্রেমেই ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচিত নবীনের কবিতা