নেহায়েত ভণ্ডামি
শখ করে সিগারেটও খাইনি কখনো
উৎসবে।
মদ!
তওবা, তওবা, ছুঁয়েও দেখি না।
মেয়ে বন্ধু কখনোই ছিল না আমার।
রাতের আড্ডায় কেউ দ্যাখেনি আমাকে।
তাই বলে—
পুরোদস্তুর হাজী সাহেব বলেও নিজেকে দাবি করি না!
জুয়ার টেবিলেও বসিনি কখনো।
বাঈজি নাচ তো রীতিমতো অবিশ্বাস্য!
সকালে ক্লাসে যাই
তারপর খাতা নিয়ে সেমিনার—
নোটপাতি খুঁজে নিয়ে বিকেলে পাঠাগার।
সন্ধ্যায় বাগানে হাঁটি—
কোক-চা-তাও ঠিকমতো খাই না
কখনো মনে হলে পিরিচে ঢেলে নিয়ে চুক চুকে চেষ্টা।
নেহায়েত ভালো ছেলে আমি
রাজনীতি বুঝি না।
প্রেম-ভালোবাসা!
তওবা, তওবা, ভুলেও ওসব ভাবি না।
তাই বলে—
পোপ কিংবা পুরোহিত বলেও নিজেকে দাবি করি না।
মাঝে মাঝে উল্টোটা বলি আমি
এটাই শুধু—
শোধরাতে পারি না!
মৃত্যুর মিছিলে
এসো সব মৃত্যুর মিছিলে
দলে দলে
একা একা।
যেভাবেই হোক চলে এসো
নাঙা গায়ে
অথবা
সোয়েটার পরে
এসো মৃত্যুর সরব মিছিলে
নীরব মিছিলে!
একটা কালো কাফন নিয়ে এসো তোমরা
সাদাতে আমার বেঢপ ভয়
বীভৎসতা!
আলোড়িত মৃত্যুতে চাই ললাট লিখন—
রক্তাক্ততা।
একটা উজ্জ্বল মৃত্যুর জন্যই
এই বেঁচে থাকা—
ঘাম ঝড়িয়ে
সুখ হারিয়ে
নিঃশ্বাসের হিসাব মিলিয়ে মিলিয়ে
আর,
মন আকুপাকু করা ভাবনাগুলো
ওই নোংরা ডাস্টবিনে ছুড়ে
বেঁচে থাক দীর্ঘদিন-
যুগে যুগে!
নয়তো—
চলে আস, কুয়াশা ভেজা ভোরে
মধ্যরাতের জোছনাতে
তাপদুপুরে
তিলোত্তমা জ্যামে।
চলে আস কালো কাফনে।
দোয়েলের মতো করে
ছু্য়িট ছুয়িট শিষ কেটে
শহরের লনে
তারার মতো ছড়িয়ে থাকা
বকুল কুড়াতে কুড়াতে।
চলে আস
মৃত্যুর মিছিলে।
লাল-সবুজ-নীল-হলুদ সাজে
রঙ চঙে তালি দেওয়া প্রিন্টবল পোশাকে
চলে আসো মৃত্যুর সরব মিছিলে
ধিন তাক ধিন তাক
নাচতে নাচতে।
চলে আসো মরণের নীরব গলিতে
একা একা নিভৃতে
চলে আস চির সুখের খোঁজে
অমরত্বের মন্ত্র লিখে।
প্রেম ও বেদনা সম্পর্কে
১. প্রেমই তো
নিখাদ প্রেম যন্ত্রণা দেয়
পুরনো প্রেম বেদনা জাগায়
২. বেদনা বটে
বেদনায় ডানা মেলে ভেসে চলে গাঙচিল
বেদনার বিষে বিষে নীল হয় লাল চিল
নারী ও নদী
নারী
জলহীন নদী
তরঙ্গে তরঙ্গে
ঢেউয়ে ঢেউয়ে মুখরিত
নারীও নদী
অসম ঢেউয়ের কলকল ধ্বনি
নারী
বিধাতার অনন্য সৃষ্টি
বাঁকে বাঁকে নতুন জগত, খুঁজে ফেরে দৃষ্টি…
সম্পর্কের গোলকায়ন
কোনো কোনো চুমুক পেয়ালায় নির্ভার ঠোঁট ডুবিয়ে, ডোবার আগেই বিব্রত এঁটো পরশে।
নিরিবিলি চার ঠোঁটের মাঝে ক্রমশ আরও কিছু অদৃশ্য ঠোঁটের অস্তিত্ব খোলাসা হয়ে ওঠে
ইদানিং তাই প্রতিটি অপূর্ণ চুমুতে নারীর ঠোঁট থেকে পুরুষালী গন্ধ আসে প্রেমিকের ঠোঁটে।
কিছু কিছু বুকজুড়ে শুধু অতীতের হাতড়ানি, ধূলিঝড়ের মতো ব্যস্ততা সেখানে।
কোনো হাতে রূপার রিং, কোথাও বাউটি, সিগারেটে পোড়ার গন্ধ কারও কারও হাতে
প্রেমিকের প্রেম-প্রেম-হাত তাই আর নিরালা খুঁজে পায় না প্রেমিকার পর্বতে।
যন্ত্রনগরীর ব্যস্ততা নেমে আসে এইসব প্রেমনগরে, প্রেমিকারাও বিশ্বায়নের খপ্পরে পড়েছে।
হংস মিথুন
তোমার ইউনিক নিপলে কামড়ে দেবো ঠোঁটে।
একটা চুমু দেবো
একটা উল্কা আঁকব পিঠের তলদেশে
নাভীর ফুলে আদর ছুঁয়ে
চুমে চুমে
. চুমে চুকে
. চুকে চুকে
বাকিটা বললাম না…
নিশ্চই ভিজে গেছ বাঁধভাঙা স্রোতে!
জল জোছনায় সাঁতার দেব তাথৈ তাথৈ রাতে।