এক রাষ্ট্র মেঘ
চোখ খুললেই মেঘ হয়ে যায় সমগ্র পাখিশাস্ত্র…
আকাশ মুখস্থ করতে, জানতে হয় মেঘ, পাখি এবং আঙুলের জীবন।
ক্লাসঘরে, কে যেন একবার চিৎকার ক’রে বলেছিল—
অন্তত একটা জানলা থাকা উচিত ছিল
পৃথিবীর গায়…
সমস্ত স্কুল সেদিন ফিরে গিয়েছিল মেঘেদের ডাকবাক্সে
আর তাকে পাখি ভেবে কেউ কেউ খাঁচা কিনে এনেছিল;
খাঁচা
এবং
জানলার
মধ্যে
পার্থক্য
শুধু
রাষ্ট্রবিজ্ঞান
সঙ্গম মুহূর্তে তবুও বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত জানলা
আকাশে বিঁধে যায় আঙুল গুনে মুখস্থ মেঘেরা।
অথচ খাঁচার মধ্যে কে যেন খুলে বসে থাকে—
এক রাষ্ট্র মেঘ।
পৃথিবী বিক্রেতা
এরপর, অনধিত সমগ্র বর্ষার পতনধ্বনিতে—পৃথিবী বিক্রেতার ঘুমসংক্রান্ত দুঃস্বপ্ন বিচ্ছুরিত হয়ে পড়ে চতুর্দিক। মানুষগুলো তলিয়ে যায় ঘুমঘুম সওগাতে। মা’র ঘুম থেকে উঠে আসা হাঁসের পালকাবৃত গৃহস্থের পথের পাশে—তুমি একটা স্নান রেখে গেছো। পৃথিবী বিক্রেতার জন্য রেখে গেছো—শেকড়।
দেখো, রৌদ্রপ্রখর এই নির্জন জলাশয়ে শেকড় ছড়িয়ে আছে সূর্যাস্ত। আর তোমার বুকের বাঁ-পাশে সব আলো নিয়ে তলিয়ে যাচ্ছি আমি—একজন পৃথিবী বিক্রেতা।
সমুদ্রে যাবার পথ
নিচুমুখে জুতো সারাই করা লোকটা, মানুষের পায়ের ব্যথা বোঝে
ব্যথার সাথে ব্যথা যোগ করলে যোগফল নিয়ে হারিয়ে যায় মানুষ
মার্গারেট, তুমি হারিয়ে যাওয়া মানুষটার কাছ থেকে শিখে নাও—
কিভাবে জুতোর মধ্যে নিজের মৃতদেহ লুকিয়ে রাখার গল্প ফাঁদতে হয়
কিভাবে সবুজ সংকেত চুরি ক’রে আনতে হয় ট্রাফিকের জুতো থেকে
অথচ তুমি শিখে নিলে:
সমুদ্রে যাবার পথ—যেখানে ঢেউয়ের মতো দুঃখ ভাঙে
লবণচাষিরা যেখানে আমার সমস্ত ব্যথা থেকে
তোমায় আলাদা ক’রে রাখে,
মার্গারেট—ব্যথার পাশে, একজোড়া চটি থেকে তখনো কী
ভেসে আসে যোগাযোগ
ভেসে আসে যোগাযোগ!