সমর্পণ
পকেটে হাত দিয়ে অন্ধকারে হাঁটি
মহিলা পুলিশ দেখে দুহাত তুলি—
যেন আমি তার ফেরারি আসামি!
গ্রীষ্মে আগুনশাড়ি পরেছে পৃথিবী
বর্ষায় জল চেয়ে দুচোখে তার—
নদী খুঁজে মরি।
গভীর দূরত্বে লুকিয়েছে চূর্ণচাঁদ—
পথের কাছে পা জমা দিয়ে আসি।
বসন্তের জাদুঘরে
পোশাক পাল্টে নিলে তুমি হও লেবুর বাগান
আমার সুগন্ধ বাসনা ডেকে আনে ভয়
বহুদূর ফেলে আসা পাথরগাছ—গ্রাম্যস্মৃতির মতো
ঝাপসা হয়ে আসে, বিস্ফারিত চোখে রক্ত জমাট বাঁধে
সমূহ ব্যাধ ও ব্যাধির গোপন কুঠার
ঘুণপোকার মতো ধীরে ধীরে হৃদয় কেটে রাখে
তোমার প্রকাশ্য রূপ বসন্তের জাদুঘরে
কোকিল হয়ে ডাকে
টুটুওলার ভ্রমণ
এই যে সুনীল সরেন—
তালগাছে ওঠেন।
ধূলিতে হেঁটে হেঁটে
আমোস টুটুওলা
ক্লান্ত ভীষণ!
আফ্রিকা থেকে এসে
তার মন—বেশ উচাটন
দেখবে তালের বাগান
হাঁড়ি হাঁড়ি রসের সম্ভার।
এই যে সুনীল সরেন—
তালগাছে ওঠেন।
ধীরে ধীরে হেঁটে হেঁটে
দেখছে আমোস—
প্রান্তরে ধানক্ষেত
ফণীমনসার ওপর
বসেছে রঙিন ফড়িঙ…
মহিষের পিঠে চড়ে
আমোস টুটুওলা
ঘুরে ঘুরে দেখছে—
তালগাছের চূড়া
রসের নহর…
ফাটা মাটিতে জল ঢেলে
বুনছে সংগ্রামের বীজ
আমাদের পোড়খাওয়া
আদিবাসী তামাটে শরীর।
এই যে সুনীল সরেন
সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলো
এবার ওঠেন!