পাতাটি
পাতাটি চিৎ হওয়ার পর
খবর হয়েছিল—
হলুদ রোদের অপবাদ
এ পাড়ার ধ্যান ভাঙে-শ্লোকে
কিংবা অনিচ্ছুক মাটির দেরাজের
উৎকীর্ণ কাঁটায়
পাতাটি চিৎ হয়েই থাকবে।
যখন রাত আসে এবং
ভোরের পাড় ভেঙে
বেরিয়ে পড়ে পরিচিত হাওয়ায়
সে সময় নির্ণীত অনুতাপে
প্রাণে নাচে নিটোল মুদ্রা
পাতাটি এমন ভেবেই—
চিৎ হওয়ার গল্প ছড়িয়ে দিলো—
ধাঁ ধা
কী একটা ছায়া ছায়া
পড়ে আছে—কিঞ্চিত
চারপাশে কবুতরের পাখা
প্রহর ঘুরছে, কলহাস্য যেন
অন্তিম দাহের ছায়ায়
সহস্র ডাক
ওপরে আকাশ কালো
হলো তবে কোন দূর
ক্ষুধার বেড়াল ঝোলে
এধারে-ওধারে নামে ঝর্ণা
সবুজ ঘাস জানুক
দয়া করে আর ডাকবেন না
এ তো মূলে—শূন্যে—অন্যে
কিংবা সত্তার পুনর্বার বসন্তে
পাখিদের দুয়ার থাকতে নেই
একটি জীবন্ত শোকের পরে
উড়ে যাওয়া ভালো—ভালো অন্ধ
বরং হাত তুলুন
অবিকল শিশুর মতো
অন্তত সবুজ ঘাস জানুক—
ফণাটি কিভাবে উজ্জীবিত হয়ে
এমন উড়তে শিখিয়েছিল
হেলুস
হেলুস চু পান করে চিৎ হও
অথচ আমি দেখি
উল্টে যাওয়া আরশোলার মতো
একটা রাষ্ট্র না পেরে উঠে
শেষমেশ ঈশ্বরের কাছেই
পুনরাবৃত্তি করছে
তোমার অনুচ্ছেদ ভরা আনন্দ!
হেলুস তুমি আরও চু খাও
আর আমাকে শুয়ারের বাচ্চা বলে
আরেকবার গালি দাও
বলো, বলতে থাকো
‘তোমরা তো মানুষ, বেঁচে আছ
ক্রুশবিদ্ধ কুকুরের হয়ে, এবং
আমার এমন হলুদ দাঁতের রঙে রঙে!’
ইক্যুয়াল
তাই তো সকল বন সবুজ হয়—পুড়ে যায়
পাড়াগাঁর কিশোরীর মতো ঋতু লয়
প্রার্থনাসমেত কখনো বর্ণনা আসে
প্লাবিত হয় বংশের কৌশল
এই হিসাবের জ্বলজ্বল চোখ
সমূহ বিলাপের রহস্য নিয়ে
ঢেউয়ের মতো ছড়িয়ে দেয়
সাবলীল দৃশ্য—
সে যাই হোক
সকল উপস্থিতির শেষের দিকের সংজ্ঞা
সমানই হয়ে থাকে—