এক.
শীতকাল এলে দুঃখ নবায়িত হয়।
চেষ্টা শুরু হয় নতুন দহনের। আবর্তনের সূত্রে আকাশের কোণ
থেকে সূর্য উঁকি দেয় আর আমার হাতে থাকা বইয়ের খোলা পৃষ্ঠা
একবার ছুঁয়েই তাপটা ঠিক কপালে উঠে যায়।
না, কপালের সঙ্গে খেলাটা সহজে শেষ হয় না। খানিক সরে বসি।
মাথা হেলাই এদিক-সেদিক। সংশপ্তক কপালে ক্লিপের মতো আটকে
থাকে উত্তাপের যন্ত্রণা!
দুই.
ফিরে আসি অন্ধকার মতো আলোছায়াময় ঘরে। নিজের চোখের
ওপর ক্ষোভ। এক সময় প্রায়ান্ধকার মেঘময় বিকালের কথা
মনে পড়ে। বিপুল উল্লাসে চোখ ঠিকরে পড়ে যেতাম পাতার পর
পাতা। আহা , সময় বেগুনি করে দিয়েছে দিগ্বলয়, সব সক্ষমতার
ধার, নিজের দৃপ্ত প্রখর দৃষ্টি । আমি ব্যথার মতো চশমার কাচ মুছতে
থাকি। অবশেষে, সব প্রকৃতি ছেড়ে, ন্যাচারাল ছেড়ে, আদির
অবসান সেই—সেই বিজ্ঞান নির্ভরতা!
তিন.
রোদ্দুর নিজের নিয়মেই কাউকে আরক্ত করে,
মাইগ্রেনের ব্যথা কূল কিনারাহীন বেড়েই যায়। বেগুনি কাচ
ধরে রাখতে পারছে না। নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে নিজেকেও
ভাবি রোদ্দুর। তেমনই গনগনে কপাল, ব্যথা। নিয়তি।