শ্রাবণ সন্ধ্যায়
সভ্যতার ঝলমলে আবরণগুলো
ভিজিয়ে রেখেছি মন খারাপের জলে
আজ সারাদিন বৃষ্টি
আজ সারাদিন মেঘলা আকাশ
তোমার বানানো সত্যিগুলো থেকে
অনেক দূরের আমি
যেন বর্ষার নদীর বুকে সূর্য ছেঁড়া মায়া
শুধু হাতছানি দেয়, জড়ায় না বুকে।
মন খারাপের জলে দিগন্ত চিহ্নের বাঁক
মুছে দিতে চায় সভ্যতার আবরণ
সবুজের পাপে পুড়ে পুড়ে
শ্রাবণ সন্ধ্যায় নামে ঝড়
তুমি কৌতূহলী?
আমি দীর্ঘশ্বাসে বাড়াই দু’হাত।
সময়টা গুঁটি বাঁধা
সময়টা গুঁটি বাঁধা আটকানো পিনে
খুলে দেবে? পার যদি, ফেরাবো সুদিনে।
পথ কেটে যেতে হবে গভীর খনন
ঘর যাবে, বাতাস মুখর; উড়ে যাবে মন।
সরে যাবে বুকে ভাসা মেঘের আদর
দাঁড়াবে কি? দাঁড়াবে না? আঁধারে বিলীন চরাচর
ছুটবে তুমিও, জানি, হাতে নিয়ে রক্তাক্ত ফসিল
সম্ভোগে পুড়বে একা; কবিতায় পাবে তবে
বিচ্ছুরিত মিল।
প্রেম
ভেবেছিলাম ভুলে গেছি
রাতকান্নার মায়া থেকে ঝরে গেছে হেমন্তের সোনারঙা শ্বাস
দুয়ে দুয়ে চার মেলানো সন্ধেগুলো বকুল ছড়ানো প্রেমে হামাগুড়ি দিয়ে
যেদিন উদ্বাস্তু হলো
সেদিনও ভেবেছি, মনে নেই আর কিছু।
নিষিক্ত নীলের বোঁটায় সারাদিন অপেক্ষারা ক্লান্তমগ্ন ছিল
ভালোবাসা ভেঙে ভেঙে জড়ো হলো ডুবোচরে
সেখানে গহন বর্ণিল স্রোতে পাক খায়
আমারই রক্ত ঋণে বেড়ে ওঠা বোধের বিষাদ।
ভেবেছিলাম অনন্ত হিরক চিত্র থেকে ধসে গেছে মগ্নতার কুচি
মুখ থুবড়ে পড়ে গেছে যাবতীয় বেদনার ল্যাম্পপোস্ট
লকলকে ইশারা আগুন ছেড়ে চলে গেছে অরণ্যপথ ধূলিমাখা চাঁদ
আর নবীন বাতাবি ঢেউ।
তুমি এসে দাঁড়াতেই বুঝলাম
পাঁচের ভেতর উল্টে থাকা এক
কতটা ক্রন্দররত
কতটা নিঃসঙ্গ ছিল এতকাল।