শহরে উঠেছে নতুন চাঁদ
তোমার শহরে আজ উঠছে নতুন চাঁদ তারাদের গালে
পালাতে গিয়ে আটকে যাই মাছের মতোন জালে।
তুমি আছ, তুমি নেই
মায়বী শহরে তুমিই একখণ্ড আশ্রয়ভূমি।
হাতে শীতল পরশ, ওষ্ঠে বরফজল
হুট করে বেরিয়ে যাও, ছায়ার মতো মায়া
এ শহর মায়াবী অতি, বার্তা নেই কোনো প্রেমহীন।
তোমাদের শহরের অলি-গলি চিনতেই বারো বছর…
দুপুরের রোদ কাশফুল আর মঠ ও মন্দির
অলি-গলি ঘুরে ভিজেছে শরীর
নরম রোদের মায়া কাটেনি আজও
মৃদু বাতাসের এমন সহজ আলিঙ্গন
মায়বী শহরে তুমি একখণ্ড ছায়াসুনিবিড় আশ্রয় আমার!
ভূমিপুত্র
শিশিরের বোঝা বইছে ভূমি—ভূমির বোঝা মানুষ;
মানুষের ভূমি তুমি পরখ করে দেখছ শব্দের গাঁথুনি।
বৃষ্টি বোঝাই নাও; কী করে যে বাও!
একের পর এক—শব্দ বিবেক; বৃষ্টি নামাও।
ঘটনাক্রম
মাটির শরীর—নাদীর ওপর
ছইয়ের ওপর
ঢেউভাঙে অসহায়; বইছে স্মৃতি
ছুটছে কৃষক—রাত্রিদিন
ঘাম ঝরে
ক্লান্ত শরীর; মুখ মলিন!
বাড়ছে ভীড়; নিত্যদিন
চোখের সামনে
উথাল-পাতাল; স্মৃতি রঙিন।
চিত্রাভিলাষ
ধারণ করার আগে দৃশ্যসব ফুরিয়ে যায়
কবিতার খাতা, সাদাপৃষ্ঠা আর অকারণ
শব্দসব অকারণেই জেগে ওঠে
আঙুলে শব্দ; কলমে শব্দ
পেছন ফিরে দেখি তুমি নেই, ঝরাপাতার ধ্বনি।
অক্ষরে অক্ষরে জেগে উঠে অপরূপ দৃশ্য!
দৃশ্যসব জেগে ওঠার আগেই ওঁত পেতে থাকি
বাতাসে, বৃষ্টিতে রচিত হয় শব্দ
কবিতার মতো ময়াবী কী আছে জগতে?
মুগ্ধ করো; গেয়ে ওঠো শিশিরের গান
দৃশ্যসব ধারণ করার আগেই হয়ে ওঠে শব্দমালা।
শাদাপৃষ্ঠাজুড়ে শুধু জীবনগাথা।
ফলন
স্মৃতিরা ছবি হয়ে ভাসে; ছবি কেবলই স্মৃতি।
পাতাদের মজ্জাগত দোষ, কথা বলে বাতাসে
এই গরমে নাড়িস না কেউ জল
ভাতের হাড়ি ভাঙিস না কেউ।
উঠোন ভরতি মানুষ ছিল—হারিয়ে গেছে
সোনালি দিন মিলিয়ে গেল জলের দেশে
নাড়িস না কেউ জল।
মাটির চুলা একই আছে; ধুপধোঁয়া মন
ধানের ডগায় বসছে শিশির; শর্ষে ফুলে মৌ।