পাপ এবং কিছু কাঁটা
আজও এখানে শিরীষ ফোটে পাতার আড়ালে,
রোদমাখা চিকচিক আলো ঠিকরায়।
তুমি চাইলে এখনো হাঁটতে পারি
ভোর ভোর হলুদাভ রোদে।
পায়ে পায়ে পারি দিতে পারি
শিমুলফোটা রক্তিম পথও,
আঁচলে বিঁধুক কিছু বিষকাঁটা—
বিঁধতে চায় যদি;
জঠরে জমুক কিছু পাপ,
ভালোবাসা হলে হোক বাঁশপাতাটির সুরে।
বিকেলের বিষণ্নতা আর
প্রার্থনার সব আয়োজনে
সন্ধে নেমে আসে,
পাখিদের সমাপনী কলকাকলি উদাসী বাতাসে
বিদায়ের বিউগল হয়ে বাজলেও—
আমাদের সাথে নিয়ে
গড়াবে সময়।
শব্দমালা ভাসছে হাওয়ায়
প্রজাপতি মন আজ ক্লান্ত ভীষণ
শুনে শুনে পলকা আস্থার বাণী-কথাগুলো
বাগযন্ত্রের প্রতিবাদী ধ্বনি হয়ে বাজে,
বায়বীয় ভাব শুনি-
বানোয়াট আবেগ তরঙ্গে
কথার ফুল ফোটে থরে থরে; লাল নীল
অযুত নিযুত। ভালোবাসা কখনো
উঠোনের কোণে ফোটা নয়নতারা
কখনও দুর্লভ অর্কিড,
আবেগের ঘোর ছেড়ে চোখ মেলে
তাকালেই দেখা যায়–শব্দমালা হাওয়ায় ভাসছে;
পেঁজা তুলোর মতন।
ফ্রেমবন্দি তুমি আমি
থাক, রাতটুকু পড়ে থাক
আলেয়ার আলোর ওপারে,
খাতাতেই লেখা থাক
বেহিসাবি ঘর-সংসার,
দেয়ালজুড়ে আঁকিবুকি আর
ঘর পালানো স্বপ্নের খসড়া!
(একটা দু’টো চুমুর পর
অস্থির দুঃস্বপ্নে অপরিপক্ব মিলন)
দিন শেষে চালচুলোহীন প্রেমালাপ
ক্লান্ত বিদ্রূপ যেন।
ফ্রেমবন্দি তুমি-আমি
সকাল বিকাল একই ছবি;
বেলা গড়িয়ে অবেলা,
আর কতো খেলা যায় সন্ধি
সন্ধি খেলা!
চা বা কফির কাপে দেয়া শেষ চুমুতে
আধুনিকতম তুমি আর আমি
একদিন মন ভাসালে কী এমন হয়
উন্মাতাল হাওয়ায়?
তারাদের দেশ থেকে অভিমান
ঝরুক না আজ,
সমুদ্র দেখো আজ সেজেছে ষোড়শী!