সূর্যাস্তের স্বরলিপি-৬
রূপের আঁধারে মরেছিল নার্সিসাস
হাঁটুমুড়ে প্রার্থনা জানাই
ভুল হয়ে গ্যাছে বনপরী
টাইরেসিয়াস বলেছিলেন ঠিক
আমার মৃত্যু লেখা আছে যেদিন
আমি
মোহিত হব আমার তৈরি চক্রবালে
কাঁচ-পারদের ঘনিষ্ঠতা
তখনো বোঝেনি অবয়ব
চলে যাচ্ছি ফিরব একযুগ বাদে
তোর নতুন ভিটের ঘ্রাণে
তল নিরূপন
দিয়েছি মেঘের সংসারে
ভিক্ষা দাও এই করতলে
প্রাণ ভরে তোমার অবজ্ঞা
সর্বনাশে প্রোথিত সমস্ত স্নায়ুকোষ
কৌশলী
নিভে যাচ্ছে অহঙ্কারের
তিমির ধোঁয়া
আর ভেসে উঠছে পাপাশ্রু
ছুঁড়ে দিলে প্রেমের পাচক-প্রণালীতে
বৈতরণী-আঘাট-আদাড়ে
সন্তরণ কৌশলী ছিলাম না কখনো
জেনে-বুঝে কেন
ফেলে দিলে গোলোক-পাচক-প্রণালীতে
গাভির ল্যাজে নাস্তানাবুদ
বোষ্টুমি
ওপারে
নাকি ছিল সুখের আধার
সহজিয়া-বোলে দোতারায় গাও অহরহ
তবু এভাবে ভাসিয়ে দিলে
সাঁতার না-জানা মানুষটাকে!
লোকচক্ষু
(পড়শির মুখে ফুলচন্দন, সত্যি হোক ওদের ফিসফাস)
দৈবাৎ বেরোলেই দু’জন
দল বেঁধে জেগে ওঠে
পাড়ার জানালাগুলো
এক পা বাড়ালেই আমরা
চায়ের সাথে চানাচুর
দু’পা এগোলেই দেখি
কলঙ্ক-ভরা-কলস
তিন পা দিলে তুই হবি
গাঁয়ের কলঙ্কিনী রাই
শত্রুর মুখের ওপর দে
উড়িয়ে ছাই আমাদের
গান্ধর্ব বিবাহ হোক।