শিরোনামহীন
ঢাকার আকাশ ধূসর, মাঝে মাঝে বৃষ্টি ঝরছে
দিঘার বালির মতো শোষণ ক্ষমতা নেই বলে
রাস্তাগুলো আবদ্ধ, জলের শব্দ যেন তোমার হাসি
একলা নীরবে আমিও ক্রন্দনে ভাসি
জগৎসুখের চিবুক ছুঁয়ে দাও হে বিপাশা নদী
প্রিয়তমা আমার মায়াদেবী কীর্তিপুর
সমস্ত আকাশ ক্যানভাস হয়ে ফুটে ওঠে
তোমার মলিন মুখ, ভেজা চিবুক
ফেওয়া লেকে ছড়িয়ে থাকা ফুল-পাতার সাথে
আমার উদ্বিগ্ন স্বভাব প্রতিমুহূর্ত অপেক্ষমাণ।
জল গড়িয়ে ধৌলগিরি মিলিত হবে তিতাসের সাথে
আমি হিড়িম্বা মন্দিরে প্রার্থনায় বসি, তুমি লুম্বিনি
যোগাযোগ কমে আসে পুড়ে পুড়ে মন
মিলন বিরহে ভীষণ দহন।
রূপান্তর
সাদা হাঁস এক পা তুলে দাঁড়িয়ে আছে
ইচ্ছেমতো ডুবসাঁতার কাটছে পানকৌড়ি
ধ্যানমগ্ন বকের মতো জলে শব্দ খুঁজে বেড়াই একলা কবি
দু শত গজ দূরত্বে কপাট খোলে বসে আছো বিদূষী
আমি তাকে স্নেহা বলে ডাকি
শুকনো পাতা জলের সাথে ভেসে যায় অজানা
চিত্রশালার পাশ দিয়ে পথ ভুলে যে মেয়েটি এইদিক-ওইদিক ছুটছে
সেও ঠিক পথ চিনে নেয়—
কবির চোখ স্থির খোলা কপাটে
শূন্যতায় বাতাস ভিড় করে
কানে আসে শঙ্খের আওয়াজ
দূরে কারা যেন গেয়ে চলে বেদনার শৈশব
নিমগ্ন দৃষ্টি খোলা কপাটে স্থির
সকালের আলো হেলে পড়ছে তোমার শরীর।
আলোর দিকে
ঋষিপাড়ায় নেমেছে ঘুম।
জেগে থাকে শুধু রাত।
তিতাসের ঢেউ স্বপ্ন আঁকে কিশোরীর নীল চোখে
আহা জলের নগর, শরীর ভরা বিষের কাঁটা!
কেন তবে এই রাতে হানা দিলি মাঝির ডেরায়
বুনোহাঁস ভেসে যায়, ঢেউয়ে-ঢেউয়ে
কলমিলতার ঘ্রাণে দুলে ওঠে ক্লান্ত ডানা তার।
তিতাসের এলো চুলে বিলি কাটে সোনালি সকাল।