ইতি মানেই শেষ নয়
প্রেম যখন শরীরে গড়ায়
সেটা ভেঙেচুরে একাকার হয়ে যায়
আত্মার মরণে জেগে ওঠে কামনা
বাসনা হয় দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর
তারপর শেষ হয়ে যায় সব মোহমায়া
কেউ কেউ শুরু করে আবার
টুকরো টুকরো কুড়িয়ে এনে জীবন
দূরপাল্লার ভালবাসায় ভরপুর আবেগ
যৌবনের তাড়না থেমে বিশ্রাম নেয়
ভালোবাসায় ইতি মানেই শেষ নয়।
প্রেমের কোনো বয়স নেই
প্রেমের কোনো বয়স নেই, সত্যি না মিথ্যে?
সমান্তরাল রেল লাইনের দুপাশে হেঁটে চলা
দুই আধোচেনা পথিকের মতোন
চোখে মুগ্ধতা নাকি বিস্ময়, জানা নেই
দূর নক্ষত্রের মতো হয়ে গেছে সব।
এত কাছে তবুও স্পর্শের বাইরে সব
পথিকের কল্পনায় ঊর্বশী মেনকা
অমরাবতী থেকে নেমে আসে প্রতিদিন
একটু একটু করে ভেঙেচুরে আবার গড়ে
আরেকজনের মনে কেবলই একটি প্রশ্ন
ভালোবাসায় এত কষ্ট কেন হয় তবু
প্রতি রাতে সে জাগরণী স্বপ্নে হয় বিভোর
চোখ মুদে সঙ্গমে সঙ্গমে করে শিৎকার
ভালোবাসায় ভরপুর ছিল না কোনোদিন
অব্যক্ত বেদনাহত মন নিজেকে বোঝায়
প্রেমের কোনো বয়স নেই, সত্যি নাকি মিথ্যে!
হটফ্লাস
রাতের ঠিক মধ্য প্রহর
বুকের ভেতর ছলকে ছলকে ওঠে প্রেম
সে কোন অস্তপারের সূর্যের আলোয়
দেখেছি কিছুই নেই, অথবা কিছু আছে
জেগে ওঠে বুকের ভেতর অকারণ বাঁশি
বাঁশি বাজায় স্পর্শের বাইরে বাঁশিওয়ালা
নিদারুণ প্রেমে পড়ে পাথর জমে জমে
বুকের ভেতর গড়ে উঠেছে হিমালয় এক
আজ কে সেই আধোচেনা বাঁশির সুরে
বরফ গলে গলে খসে পড়ছে আস্তরণ
জেগে ওঠছে রক্তমাংসের বাইরে শূন্যতা
অনুভব করে চিনচিনে ব্যথার দহন
রাতের ঠিক মধ্যপ্রহর প্রেম জেগে ওঠে
ঠিক যেন ভিসুভিয়াসের মতো হটফ্লাস
পা থেকে চুলের ডগা অব্দি পুড়ে যায়
দূরের বাঁশিওয়ালা তখনো বাজায় বাঁশি
মধ্যরাতের প্রহরগুলো কেটে যায়
নিদারুণ প্রেমহীন, নিদ্রাহীন যন্ত্রণায়।