প্রকাশনা
কিছু বের করছো?
—বললে।
হ্যাঁ।
মা কালীর জিহ্বা
বাবা যিশুর ক্রুশ
পকেট থেকে রুমাল
খাঁচা থেকে পক্ষীর ছানা।
—কী চাও?
—কবিতা।
না না …
ভালোবাসা, সেটাই তো বেরুচ্ছে
মুদ্রণের ঘটাং ঘটাং শব্দ ছাড়া
যুগল সমাচার
চুরি করে ভাবি
একটা চরের ছবি
লাঙলের ঘর্ষণে
কেউ কেঁদে ওঠে—
চুরি করে ভাবি
একটা লেকের ছবি
ডানা ঝাপটানো পালকের শব্দে
ফিসফিস স্বরে স্বর্গ নামে—
চুরি করে ভাবি
একটা চোরের ছবি
চিতাবাঘ দৌড়ে আসে—
অঙ্গীকার
আসমান থেকে তো আসিনি
আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা।
জন্মের গ্রাম এশিয়ার বজরা
আঙুলের মতো উঁচু-নিচু স্বরে
যতোই বোঝাও বেটা
জিন-অরিজিন কথা,
এই মহাদেশ বাপ-দাদার
চৌদ্দ পুরুষের শুধু তোর না
এই এশিয়া আমারও মা।
কোদালে লাঙলে রক্ত-ঘামে
পিতা-প্রপিতা
ঘুমিয়ে আছেন এইখানে।
এশিয়া ছেড়ে আমি কোত্থাও যাব না
না শুভ, না অশুভ
উপুড় হয়ে কা কা করে যাচ্ছে কাক
কুচকুচে কালো ওর গা।
মনে হয় বউ মরে গেছে,
সাবান চুরি করতে গিয়ে
যুবতীর তাড়া খেয়েছে
তাড়া দেবে না? লাজুক শরীর, তাও আবার স্নানরত!
মরবে না? চোরের ঘর-সংসার কার ভালো লাগে!
ফর্সা হলেও এক কথা ছিলো।
কা কা ডাকের খাঁখা দুপুরে
পাণ্ডুলিপি ভরে উঠছে
কাকের চিৎকারে।
টা টা …
শুভরাত্রি। বেঁচে থাকলে
কাল আবারও কথা হবে।
এই কথা বলে বিদায় নিলাম
তারার কাছে
যে ঘরে শুয়ে কবিতা লিখি
বরফের মেশিন
বৈদ্যুতিক চুলা
চকচকে বটি
ধারালো চামচ
তাকিয়ে থাকে!