তোমার কাছে ফেরার পর
যেসব কথা আমি হারিয়ে ফেলেছি
সেইসব কামরাঙা সন্ধ্যের উঠোন
তোমার লাল পায়ের নৃত্যের আবেশে
আজ রঙিন পাথর, আমার থলেতে
জমানো সব লুপ্ত হাসির দিন
মর্মে মর্মে হচ্ছে প্রকাশ
এবং দেখো, এইসব পুরোনো লাবণ্যের আঁশ
হচ্ছে চাষ মনের নীলগ্রহে, স্বপ্নের পাখায়
আমি সময়ের মেঘ থেকে কেবলই কুয়াশা সরাই
আর ভাবি, এতসব জাগরণ যতটা শারীরিক
তারচে অধিক মায়ার অঘ্রাণ
তারচে অধিক সুরের কাফেলা, আতরের আয়ু
যেসব কথা আমি হারিয়ে ফেলেছি
বিশেষত, তোমার কাজলচোখের ডেরা থেকে বের হয়ে
এই নিরুদ্দেশনামা ঈষৎ বিকেলে
যতটা পরীক্ষিত, ততই আপেক্ষিক লাগে
বিশ্বাস করো, তোমার নাভির কসম
এতদিন আমি ছিলাম এপিঠ-ওপিঠ পুরো রামপ্রসাদ
রক্তজবার ওম
সেই কবে, তোমার কাছে রেখে এসেছি আমার রক্তজবার ওম
তারপর পৃথিবীতে সহস্র বছর শীতকাল, হিমবাহ বইছে শরীরে
খরকুটো ঠোঁটে নিয়ে উড়ে যাওয়া পাখি আকাশেই বেঁধেছে বাসা, হয়ে মেঘের ম্যুরাল
একটু আগুনের জন্য যারা গেয়েছিল প্রমিথিউসের গান—তারাও এসেছে ফিরে
আর বলে গেছে, তুমি দূর গৃহে-বনে-মনে, হে প্রিয় মোম
রঙকাতর
তুমি আঁকলেই আকাশ হয়ে যাচ্ছে, হয়ে যাচ্ছে নদী, উড়ন্ত একটি পাখিকেও তুমি বেঁধে দিচ্ছ রঙের বিদ্যায়
জ্যামিতি আকারে শেখাচ্ছ আমায় স্রোতের সংলাপ, গোপন হয়ে যাওয়া গভীরকেও তুলে আনছো অদ্ভুত আঁকিবুকিতে
শুধু দেখি আর ভাবি, আশ্চর্য তোমার আকাশ হওয়ার দিন, নদী হওয়ার দিন!
কিন্তু এই শহরে তুমি তোমার আকাশে থাকো না, নদীতেও না
আর আমি, শৈশবে একটাও রঙপেন্সিল পাইনি, তবু ছিল আলতারঙের দিন, তবু আমি আকাশে থাকি, নদীতেও…