ইতিহাস
এই পথ দিয়ে হেঁটে গেছে মানুষ। মানুষের পঁচিশ শ বছর। শেষে কাঁঠালের ডাল থেকে তিনটি গাঢ় খয়েরি খেজুরের ঝরে পড়া দেখে চমকে উঠেছিল পরশুরাম। ইতিহাসবেত্তার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেছিল আপাত মাধুর্যের হাসি, এক পরিবর্তক মাহীসওয়ার। হিসেবে ভুলের হাসি হেসে, ভেদ-ভাঙা সামুরাই শেষে কি ছিঁড়ে নিল মোহিনী মসলিন? আর প্রতিসরণের সুত্র অশুদ্ধ করে আলোর নামে ছুটিয়ে দিল কে মশলার গৌরবিনী ঘ্রাণ?
আর নয়। এবার হেমন্তে খুলে দেব বুক।
ফল নয়। খেজুরের রসে এই মগজ ভরুক।
কবি মূলত একলা থাকে
খুব ছোটতে গুড্ডি করে পাঠাই তোরে
নিজের কাছে বুদ্ধি করে নাটাই ধরে
রেখেছিলাম। এক সকালে নিজেই আমি
কবির কাছে কবির চেয়ে আকাশ দামি
এইনা ঘোরে দিলাম ছেড়ে জীবন-হারা
স্মৃতির সুতো গুছিয়ে রেখে ছুটছে কারা!
এবার যখন পাঁচজোড়া চোখ মিলছি সাথে
কে ঢেলে দেয় কাতলার ঝোল নোনতা ভাতে…
আবার আমি একলা হব প্রজ্ঞাপনে
তোমার কানে জানাচ্ছি আজ ঢের গোপনে।
যাপন-২
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বালক।
ভাবিতেছে জল।
টুপ আর টুপ-এ গাঁথা ক্যানসার!
উঠোনে কাঁঠালের ডালে
ঝুলে আছে হলুদ বিড়াল।
প্রশ্নচিহ্নের মতো মৃদু দোলে, থামে।
বলে, ‘আত্ম’-র সাথে ‘হত্যা’-র যোগটুকু
আরেকবার ভেবে দেখো ব্যাকরণ!
বাঁশঝাড় কেটে ফেলা হাতে
করাতের গন্ধ থাকে জেনে
তাস ফেলে চলে আসে পিতা।
আয়নায় জল থাকে। গোপনে, খুব।
পেছনে পারদ নয়, মাতাময়ী টুপ।