যমজ দুঃখ
চোখ এক আশ্চর্য পারদ। সকাল থেকে এই লাইনটা বিড়বিড় করতে করতে সিঁড়ি দিয়ে তোমার ওঠানামা দেখেছি। আবহাওয়া পালটে যায়৷ জ্বর আসে। ঘোর ঘোর ভাব দুচোখে। এ সময়ে তিতো খেতে ভালো লাগে। তোমার ঠোঁটে আলতো কামড়। দু-কলি ধরি চলো। বাজাবে না? ঘরের ভেতর থেকে সুর ভেসে আসে, আমাকে বাজাও। সেরে যাবে আমাদের যমজ দুঃখ। পাড়ার মোড়ে মোড়ে বেলুন উড়িয়ে বেড়াবো। এ বড় দীর্ঘ সময়, আমাদের ভবিষ্যৎ হালকা ‘না’-এর দিকে ঝুঁকে পড়েছে।
বিজ্ঞাপন
মেট্রোতে একজন বলে উঠলো—‘আত্মহত্যাই একমাত্র উপায় নিজেকে বাঁচানোর’। শহরের সমস্ত হোর্ডিংজুড়ে কে যেন টাঙিয়ে রেখেছে এক বিষাদগ্রস্ত নারীর মুখ। প্রেমিকার সাথে হেঁটে যেতে যেতে মেয়েটিকে আরও বিষণ্ণ বোধ হয়। প্রাক্তন প্রেমিকার সাথে কিভাবে যেন মিল পাই মেয়েটির চোখ, ঠোঁট, বুক…ওকে জিজ্ঞাসা করি, এ কি তোমারই ছবি? মৃদু হেসে ও আমায় বাস ধরতে বলে, বাসের ভেতরে উঠে দেখি বিষণ্ণ হোর্ডিং নিয়ে দুটি ছেলে চলেছে বিধাননগরের দিকে। বাসচালক এসব দেখে একটু বিষণ্ণ হয়ে পড়েন। মাঝরাস্তায় নেমে যাই…এবার হোর্ডিং লাগাতে আমাকে তিনতলা বাড়ির ছাদে উঠতে হবে। বেল টিপতেই যে মেয়েটি বেরিয়ে এলো, আজ তার চোখে মুখে কোনো বিষণ্ণতার ছাপ নেই। ওর হাত ধরে ওপরে উঠে যাই, সারা শহরজুড়ে ওকে টাঙিয়ে রাখব অলঙ্কৃত এক বিজ্ঞাপনের জন্য।
অনুপস্থিতির শব্দ
এতদূর থেকে এই যে আমি তোমার কথা ভাবছি
আর দীর্ঘ ছায়ায় ঢেকে দিচ্ছি মাথার সিঁদুর
যা কিছু পুড়িয়ে দেওয়ার নয়
ফেলে দিচ্ছি জলে
ভাসতে ভাসতে সেসব আটকে যাবে কোথাও,
বেশ কিছুদিন যেভাবে আটকে আছি স্রোতহীন…