পথ প্রহেলিকা
এক উজ্জ্বল সকালে
যাত্রা শুরু হবে আমাদের।
গতানুগতিক ধারায় আমাদের শেখানো হবে
হামাগুড়ি।
এরপর পায়ে ভর দিয়ে আমরা
হাটব
চলব
দৌড়াব
প্রহেলিকায় কেটে যাবে এভাবে
এমন হাজারো দিন
গন্তব্য হীন।
কে জানে,
এই হেটে যাওয়া টাই পথের গন্তব্য কি না!
আমরা চলতেই থাকব
পূর্ব নির্ধারিত কোন গোলক ধাধায়
দাদা-পরদাদা এবং আরও বহু প্রবীণ তরিকায়।
এক ই পথে যার
শেষ আর শুরুয়াদ।
এরপর শেখানো হবে
লাঠিতে ভার ঠেকানো
শেখানো হবে,
বিশ্রাম!
প্রস্তুতি নাও,
সামনে হাজারও রাত।।
নিজেকে তৈরি করব আমরা
তজবি হাতে
পূণ্য পথে
সংযমের
পূর্ব নির্ধারিত এক গোলক ধাধায়
দাদা-পরদাদা এবং আরও বহু প্রবীণ তরিকায়।
তারপর একদিন যাত্রা শেষ হবে
উজ্জ্বল কিংবা অন্ধকারে
সকাল কিংবা মধ্য রাতে
যাত্রা শেষ হবে
এক অনন্ত
প্রগাঢ় বিশ্রামে।
শেখানো পথে
এক থেকে অনাদি তে
কেটে গেছে কত
হাজারও দিন হাজারও রাত।
এরপরও কেটে যাবে পথ
প্রহেলিকায়।
পূর্ব নির্ধারিত এক গোলক ধাধায়
দাদা-পরদাদা এবং আরও বহু প্রবীণ তরিকায়।
যতদূরেই যাই
নদীর পাড় আর বালুচর
একাকী বিচরণ
পেছনে নিজের ই পদচিহ্ন
একাকী প্রেম
তাতে একাকী বিরহ
নৈশব্দে নিজের ই কণ্ঠ।
সব এক ই।
চোখের নিচের নদী আর
বুকে জেগে উঠা চর
অনেক কথা নিয়ে
সে কথা বলার
কেউ নেই
নদীর পাড় আর বালুচর
কোথাও না!
মৃত্যুতে অন্তত চাই
কোন কোন মৃত্যুর অনেক পরেও
সে অন্ধকারে সংসার চালিয়ে নেয়
মৃতের স্বজন।
মৃত্যুতে আমার ও ভয় নেই।
আমার সংসার ও দিব্বি পেরিয়ে যাবে
আরও কয়েক দশক।
স্বামী ও সন্তান গড়ে নিবে নিজ নিজ জগৎ।
তবে বৃদ্ধাশ্রমে তোমার সাথে
দিন ও রাত কাটাব বলে
ঠাকুরদার ঝুলিতে জমিয়ে রেখেছি
জীবন ও মৃত্যুহীন এক পৃথিবীর
কোটি খানেক গল্প!
তোমাকে বলা হবেনা ভেবে
মায়া হয় ভীষণ
এক জীবনের সে গল্প গুলোর জন্য।
মৃত্যুতে একটু আধটু ভয় কিন্তু আমার হয়
বৃদ্ধাশ্রমের অসংখ্য অলস সময়
তোমার যদি জানতে ইচ্ছে হয়
জীবন ও মৃত্যুহীন সে পৃথিবীর গল্পগুলো
যদি নাই থাকি তো
কে শোনাবে তোমায়
আমৃত্যু আমি ছাড়া!